শিরোনাম :
শ্বাসকষ্ট থাকায় চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেলেন বানিয়ারচরের নিপু বৈদ্য
সুমন কোড়াইয়া || ডিসি নিউজ
গোপালগঞ্জের বানিয়ারচর ধর্মপল্লীর নিপু বৈদ্য শ্বাসকষ্ট থাকায় চারদিন পাঁচটি হাসপাতালের দাড়ে দাড়ে ঘুরেও চিকিৎসা না পেয়ে অবশেষে আজ সকালে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে মারা গেলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৪৫ বছর।
পেশায় ম্যাডিকেল টেকনোলজিস্ট নিপু দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিক ও এজমায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা জানান, চারদিন আগে শ্বাসকষ্ট হলে প্রথমে নিপুকে নেওয়া হয় রাজৈর এলকার স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রে। সেখানে তাঁর করোনা টেস্ট করা হয়। কিন্তু করোনার রিপোর্ট তো আর একদিনেই দেওয়া হয় না। করোনার রির্পোট না থাকায় ফরিদপুরে কোনো হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হলো না। তাঁকে নেওয়া হলো গোপালগঞ্জের হাসপাতলে। সেখানেও করোনার রিপোর্ট না দেখাতে পারাতে হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হলো না তাঁকে।
এদিকে একটি অক্সিজেন কেনার দরকার। যেটির দাম ৮ হাজার টাকা, সেটি বাজারে না থাকায় বিভিন্নজনের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে কেনা হলো ২২ হাজার টাকায়!
দীঘ পথ অতিক্রম করে ঝুকি নিয়ে পরিবারের সদস্যরা নিপুকে বাঁচাতে ঢাকায় নিয়ে আসেন। ঢাকায় কুর্মিটোলাসহ তিনটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় নিপুকে। কিন্তু সেগুলোতেও ভর্তি নেওয়া হলো না। বলা হলো করোনার কোনো রিপোর্ট না দেখালে ভর্তি নেওয়া হবে না। কুর্মিটোলা হাসপাতালে (তখনো ভর্তি নেয়নি) থাকা অবস্থায় কোনো চিকিৎসা না পেয়ে এ হাসপাতাল থেকে ও হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে অবশেষে তাঁর জীবন প্রদীপ নিভে গেল। মরতে হলো নিপুকে। করোনাকালে পরিবারের সদস্য ও নিকটজনেরা অবলোকন করলো দেশের স্বাস্থ্যখাতের ভঙ্গুর এক অবস্থা। ইতিমধ্যে আজ জানা গেল তাঁর করোনা পরীক্ষার রেজাল্ট নগেটিভ।
নিপুরা তিন ভাই ও দুই বোন। তাঁর এক ভাই ফাদার নরেন জে বৈদ্য ও সিস্টার মেরী সঞ্চিতা বৈদ্য এসএমআরএ। নিপু বানিয়ারচর মিশনারি ডিসপেনসারীতে কর্মরত ছিলেন। মেঝ ভাই মিল্টন ও দীঘদীন ধরে প্যাথলজিস্টের কাজ করতেন । 

































































