ঢাকা ,
বার : রবিবার
তারিখ : ০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলা : ১৭ কার্তিক ১৪৩২
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ সিলেট ধর্মপ্রদেশের খ্রীষ্টভক্তগণ পেল ঐশ করুণা ক্যাথিড্রাল

সিলেট ধর্মপ্রদেশের খ্রীষ্টভক্তগণ পেল ঐশ করুণা ক্যাথিড্রাল

0
495

ডিসিনিউজডেস্ক:

‘বিশ্বাস ঐক্য ও আশীর্বাদের মিলনমেলা’ মূলভাব নিয়ে ধমীয় ভাবগাম্ভীর্য, আনন্দ-আয়োজন ও উৎসবমূখর পরিবেশে উদ্বোধন করা হয়েছে সিলেট ধর্মপ্রদেশের ঐশ করুণা ক্যাথিড্রাল।

২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ সিলেট ধর্মপ্রদেশের ঐশ করুণা কাথিড্রাল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আশির্বাদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাতিকানের রাষ্ট্রদূত কাভিন রান্ডাল।

ওান্ডাল তার বক্তব্যে উপস্থিত খ্রীষ্টভক্তদের উদ্দেশে বলেন, “ক্যাথিড্রাল শুধুমাত্র একটি ইট পাথরের স্থাপনা নয়, এটা খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ঐক্য বিশ্বাস ও সেবার প্রতীক।”

বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ খ্রীষ্টযাগে পৌরহিত্য এবং ক্যাথিড্রাল আশীর্বাদ পরিচালনা করেন।

তিনি বলেন, “এই ক্যাথিড্রাল আশির্র্বাদ ও উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভ করেছি।”

এই ক্যাথিড্রাল গির্জা নির্মানের জন্য বিভিন্নভাবে বিশেষভাবে আর্থিকভাবে সাহায্য সহযোগীতা করেছে তাদেরকে বিশপ গমেজ ধন্যবাদ জানান এবং সকলের প্রার্থনা কামনা করেন।

এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ ক্রুজ, চট্রগ্রামের আর্চবিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদার, রাজশাহীর বিশপ জের্ভাস রোজারিও, খুলনার বিশপ জেমস রমেন বৈরাগী, দিনাজপুরের বিশপ সেবাস্টিয়ান টুডু, ঢাকার সহকারী বিশপ সুব্রত বনিফাস গমেজ, কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও এবং অবসরপ্রাপ্ত বিশপ থিয়োটনিয়াস গমেজ।

দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ এর প্রেসিডেন্ট ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া ক্যাথিড্রাল উদ্বোধন ও আশির্বাদ অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং ধর্মপ্রদেশের খ্রীষ্টভক্তদের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামান ও তাদের জন্য প্রার্থনা করেন।

ক্যাথিড্রাল উদ্বোধন ও আশির্বাদ অনুষ্ঠানে প্রায় ৪৫০০ খ্রীষ্টভক্তের উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

২০১১ সালে পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট সিলেটকে ধর্মপ্রদেশ হিসেবে ঘোষনা করেন। তখন প্রথম বিশপ হিসেবে দায়িত্ব পান বর্তমানের আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ ক্রুজ।

দীর্ঘ ১৫ বছর পরে সিলেট ধর্মপ্রদেশের খ্রীষ্টভক্তগণ পেল ঐশ করুণা ক্যাথিড্রাল। সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজর প্রশাসনিক জেলা নিয়ে গঠিত ধর্মপ্রদেশটিতে প্রায় ১৯৫০০ কাথলিক খ্রীষ্টভক্তের বসবাস। খ্রীষ্টভক্তদের মধ্যে রয়েছে বাঙালী, খাসিয়া, গারো, সান্তাল, ওঁরাও’সহ বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠি।