শিরোনাম :
ঢাকা ক্রেডিটের নবনির্বাচিত ব্যবন্থাপনা কমিটির ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান
ডিসিনিউজবিডি।।
দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা (ঢাকা ক্রেডিট)-এর নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা, ক্রেডিট ও সুপারভাইজরি কমিটির ওরিয়েন্টেন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ঢাকার পূর্বাচল সংলগ্ন মঠবাড়ীতে ঢাকা ক্রেডিটের বৃহত্তম প্রকল্প ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল লি:, এর অডিটোরিয়ামে ঢাকা ক্রেডিটের নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট মাইকেল জন গমেজের নেতৃত্বে সেক্রেটারি মঞ্জু মারীয়া পালমা’র সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, বাবু মার্কুজ গমেজ, ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, প্রাক্তন ভাইস-প্রেসিডেন্ট পাপড়ী দেবী আরেং, প্রাক্তন ম্যানেজার নিপুন সাংমা, ভাইস-প্রেসিডেন্ট শিপন রোজারিও, ট্রেজারার সুমন জেসম ডি’কস্তা, ঢাকা ক্রেডিটের সিইও জোনাস গমেজ, ডিভাইন মার্সি হাসপাতালের স্ইিও ডা. আহমদ সফিকুল হায়দার, আটজন বোর্ড ডিরেক্টরসহ ক্রেডিট ও সুপারভাইজরী কমিটির সদস্যবৃন্দ।
শুরুতেই নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাইকেল জন গমেজ উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমাদের ২২ জনের হাতে ঢাকা ক্রেডিটের যে বিশাল কর্মযজ্ঞের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং আমাদের এই দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে।”
আমাদের বৃহৎ কর্মের মধ্যে ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল অন্যতম এবং অন্যান্য প্রজেক্ট বা প্রকল্প রয়েছে যেগুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। এর জন্য আমাদের ২২ জনকে নিষ্ঠার সাথে একত্রে কাজ করতে হবে, বলেন প্রেসিডেন্ট গমেজ।
উক্ত অরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে বিষেশজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, বাবু মার্কুজ গমেজ এবং ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া।
সকালে খ্রিষ্টযাগের মধ্যেদিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। পরে তিনজন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন।
নির্মল রোজারিও বাংলাদেশের সমবায়ের আন্দোলন নিয়ে উপস্থিত ব্যবস্থাপনা কমিটিকে অবহিত করেন। তিনি এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামকে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, আমাদেরকে বাংলাদেশে সমবায় আন্দোলন সম্পর্কে জানতে হবে।
“তৎকালীন সময়ে সমাজের যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সেটার সুযোগ নিয়ে সুদখোর ব্যবসায়ী এবং কাবুলীওয়ালারা আমাদের অর্থনৈতিকভাবে নির্যাতন করতো। এই অবস্থা থেকে বের করে আনার জন্য তৎকালীন মিশনারী ফাদার চার্লস জে. ইয়াং এর নেতৃত্বে ঢাকা ক্রেডিট এবং এর আশে পাশে অন্যান্য ধর্মপল্লীতে কো-অপারেটিভ আন্দোলন চালু হয়।” বলেন প্রাক্তন এই প্রেসিডেন্ট।
তিনি সমবায় সমিতিতে কৌলশগত পরিকল্পনাকে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, আমরা যদি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করে কৌশলগতক পরিকল্পনা করি এবং যেই অনুযায়ী কাজ করি তাহলে সমিতির উন্নয়ন অবধারিত।
“সাধারণ জনগণের অর্থের দায়িত্ব যখন আপনি নিয়েছেন তখন হেলা-ফেলার কোনো সুযোগ নেই।” বলেন রোজারিও
সুশাসন সম্পর্কে বলেতে গিয়ে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ বলেন, আমরা কথায়, কাজে, চিন্তা ও অবহেলায় পাপ করে থাকি। কিন্তু আপনারা নির্বাচনের পরে প্রতিজ্ঞা ও শপথ নিয়েছেন এর বাইরে গিয়ে কিছু করলে কিন্তু আপনী অপরাধ করছেন।
“ঢাকা ক্রেডিটে কোনো ধরণের দুর্নীতি, মাদক, অর্থ কেলেঙ্কারীর কোনো স্থান নেই। আপনারা যারা দায়িত্ব নিয়েছেন আমাদের এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। সেটা সমিতির ভিতরে এবং পারিবারিক যেখানেই হউক, কারণ, আপনি ঢাকা ক্রেডিটকে রিপ্রেজেন্ট করেন।” বলেন গমেজ।
সমবায় আইন, বিধিমালা ও সমিতির উপ-আইন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সদ্যসাবেক প্রেসিডেন্ট ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া বলেন, এই আইন,বিধি ও উপ-আইন আমরা যত বেশি জানবো ততবেশি সমবায় সমিতি পরিচালনায় দক্ষ হবো।
“আমাদেরকে দক্ষতা, সততা এবং আইনের মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে তাহলেই সমবায় সমিতি বা নির্দিষ্ট করে বললে ঢাকা ক্রেডিট সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।” বলেন কোড়াইয়া ।
পরে ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট শিপন রোজারিও উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদন জানিয়ে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।































































