শিরোনাম :
আনন্দ আয়োজন ও স্মৃতি চারণের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ ন্যাশনাল ওয়াইএমসিএ’র সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব
আনন্দ শোভাযাত্রা, যুব সেমিনার, স্মৃতিচারণসহ নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটলো তিনদিন ব্যাপী বাংলাদেশ ন্যাশনাল ওয়াইএমসিএ’র সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব।
৩০ জানুয়ারী শুরু হওয়া সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব ফেব্রæয়ারী ১, ওয়াইএমসিএ বাংলাদেশের বিভিন্ন ইউনিটের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক উৎসবের মাধ্যমে সমাপ্তি হয়।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ওয়াইএমসিএ এর প্রেসিডেন্ট মার্সিয়া মিলি গমেজ এর সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড এ্যালায়েন্স অব ওয়াইএমসিএ এর সেক্রেটারী জেনারেল কার্লোস সানভে মাডজরি, গেষ্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের আর্চবিশপ বিজয় এন.ডি’ ক্রুশ ওএমআই।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও, এশিয়া ও এশিয়া প্যাসিফিক এ্যালায়েন্স অব ওয়াইএমসিএ এর জেনারেল সেক্রেটারী নাম বোও ওন, প্রক্তন এশিয়া ও এশিয়া প্যাসিফিক এ্যালায়েন্স অব ওয়াইএমসিএ এবং বাংলাদেশ ওয়াইএমসিএ এর প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুস গমেজ, ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া ও সেক্রেটারী মাইকেল জন গমেজ, ন্যাশনাল কাউন্সিল অর ওয়াইএমসিএ ইন্ডিয়া থেকে আশীষ জনারধন থোরাট, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন এর প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, বিবিসিএস এর প্রেসিডেন্ট খ্রীষ্টফার অধিকারী, ওয়াইডবিøউসিএ এর ন্যাশনাল জেনারেল সেক্রেটারী হেলেন মনিষা সরকার, ঢাকা খ্রীষ্টান বহুমুখী সমবায় সমিতি এর প্রেসিডেন্ট সুরেন মন্ডল, দি কলেজ অব খ্রীষ্টান থিওলোজি বাংলাদেশ এর প্রিন্সিপাল ডিকন ওয়াইলস রাংসাসহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

সভাপতি মার্সিয়া মিলি গমেজ তার বক্তব্যে উপস্থিত অতিথিবৃন্দকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ৫০ বছরে বাংলাদেশ ওয়াইএমসিএ এর পেছনের যারা অক্রান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদেরকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, “যাদের অক্রান্ত শ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ ওয়াএমসিএ গৌবরময় ৫০টি বছর অতিক্রম করেছে তাদেরকে জানাই শ্রদ্ধা।”

আগামী বছরগুলোতেও আপনারা বাংলাদেশ ওয়াইএমসিএ এর পাশে থাকবেন এবং সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিবেন, বলেন বাংলাদেশ ওয়াইএমসিএ এর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট মার্সিয়া মিলি গমেজ।
প্রধান অতিথি ওয়ার্ল্ড এ্যালায়েন্স অব ওয়াইএমসিএ এর সেক্রেটারী জেনারেল কার্লোস সানভে মাডজরি ডিসিনিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ওয়াইএমসিএ এর ৫০ বছরের পথচলাকে সাধুবাদ ও ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেক নেতৃত্ব ওয়াইএমসিএ এর মাধ্যমে উঠে এসেছে, এমনকি আমরা প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেয়েছি। এর জন্য ওয়াইএমসিএ’র নেতৃত্ব ধন্যবাদ পাবার যোগ্য।
কার্লোস বাংলাদেশ ওয়াইএমসিএ নেতৃবৃন্দকে বলেন, আগামী দিনে যুবদের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে, তাদেরকে নেতৃত্ব শিখাতে হবে, তাদেরকে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে যুক্ত করতে হবে। বিশে^ এখন আর্টিফিসিয়াল এন্টেলিজেন্স বেশ প্রভাব ফেলেছে তাই আমাদের যুবদের সঠিকভাবে শিক্ষিত, প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে না পারলে অনেক পিছিয়ে যাবো।
“একই সাথে আমাদের দেশের মধ্যে মাইরোরিটি ইস্যুস, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠি ও পরিবেশ নিয়ে বিশেষ ভাবে কাজ করতে হবে।” বলেন কার্লোস

আর্চবিশপ বিজয় এনডি’ ক্রুশ মনে করেন ওয়াইএমসিএ বাংলাদেশ যুবদের জন্য একটি কমন প্লাটফর্ম। এটি একটি পুরোনে প্রতিষ্ঠান যা খ্রিষ্টিয়ানদের মধ্যে উন্নয়ন, নেতৃত্ব তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে।
“ওয়াইএমসিএ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা আন্তঃমান্ডলীক যুব সমাজ প্রতিষ্ঠা করছে এবং যুবদের মধ্যে খ্রিষ্টীয় মূল্যবোধ বৃদ্ধি, শিক্ষা, একতার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
খ্রীষ্টীয় নেতৃত্বের যেন কোনো ঘটতি না পরে সেই দিকে ওয়াইএমসিএ এর প্রতি আহŸান জানান নেতৃবৃন্দ। একই সাথে নেতৃবৃন্দ মনে করেন আগামী দিনে ওয়াইএমসিএ সমাজ ও দেশের জন কাজ করে যাবে।
শেষে আমন্ত্রিত অতিথি, ওয়াইএমসিএ এর প্রাক্তন কর্মী, বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিনিদিসহ অন্যান্যদের মাধে স্মৃতি স্মারক তুলে দেয়া হয়।
































































