শিরোনাম :
আমি একজন বাবু মার্কুজ হতে চাই : বাবু মার্কুজ গমেজকে ‘আজীবন সম্মাননা’ প্রদান
এশিয়া প্যাসিফিক এ্যালায়েন্স অব ওয়াইএমসিএস ও ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ পেলেন ‘‘আজীবন সম্মাননা’’।
নেতৃত্বে অনবদ্য অবদানের জন্য ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ওয়াইএমসিএস অব বাংলাদেশ তাকে এই ‘আজীবন সম্মাননা’ প্রদান করেছে।
এটাই প্রথম কোনো ব্যক্তিকে সম্মান প্রদান করেছে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ওয়াইএমসিএস অব বাংলাদেশ।
২৮ জুন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজধানী কাকরাইলে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ওয়াইএমসিএস অব বাংলাদেশের কার্যালয়ে এক জনাকীর্ণ অনুষ্ঠানে এই ‘আজীবন সম্মাননা’ প্রদান করা হয়। একই সাথে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ওয়াইএমসিএস অব বাংলাদেশের কনফারেন্স হলের নামকরণ করা হয় ‘বাবু মার্কুজ গমেজ কনফারেন্স হল’।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ-১ আসনের সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ওয়াইএমসিএস অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং।
এ ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব হেমন্ত আই. কোড়াইয়া, ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, ভাইস-প্রেসিডেন্ট শীরেন সিলভেষ্টার গমেজ, ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ওয়াইএমসিএস অব বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল নিপুন সাংমাসহ বাংলাদেশ ওয়াইএমসিএ’র বিভিন্ন শাখার সভাপতি ও সেক্রেটারি, ঢাকা ক্রেডিটের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিশিষ্টজনেরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এমপি আরেং বলেন, ‘সমাজের জন্য কাজ করা অনেক কঠিন, সেখানে টিকে থাকাও চ্যালেঞ্জিং। প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ সেই অসাধ্য কাজগুলো খুব সুন্দরভাবে করে গেছেন। প্রেসিডেন্ট গমেজের সেই কষ্টার্জিত কাজ এবং কর্মকান্ড সব সময় উপরের দিকেই থাকবে।’
‘আপনার কাছে আমরা আরো অনেক কিছু চাই। বিশেষ করে আপনার কাছে প্রত্যাশা, আপনি তরুণ সমাজ নিয়ে আরো বেশি কাজ করবেন এবং তাদের সঠিক দিক নির্দেশনা দিবেন। আশা করি, আপনি এমন একজন আদর্শ হয়ে উঠবেন, সমাজের আগামীর বাচ্চারা বলবে, ‘আমি একজন বাবু মার্কুজ হতে চাই’। আর সেই কাজের সাক্ষর আপনি রেখে চলেছেন,’ বলেন এমপি আরেং।
এ দিন সভাপতি অধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং বলেন, ‘বাবু মার্কুজ গমেজ আত্মত্যাগী, সৃষ্টিশীল, নেতৃত্বগুণে পরিপূর্ণ একজন মানুষ। তিনি সব সময় ভিন্নধর্মী প্রোগ্রাম আয়োজন করে তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করেন। তিনি একজন সাকসেস লিডার। যারা সমাজসেবা করেন, তারা সব সময় প্রশংসিত হন না। তারা নিজেদের ঘর সংসারের অনেক কিছু ত্যাগস্বীকার করেন। বাবু মার্কুজও তেমন একজন ত্যাগী মানুষ। আজ তিনি সত্যিকার সম্মান পাচ্ছেন।’
বিশেষ অতিথি নির্মল রোজারিও বলেন, ‘আজকে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ওয়াইএমসিএস অব বাংলাদেশ বাবু মার্কুজকে এই বিরল সম্মান দিচ্ছে এবং সেই সাথে তাদের কনফারেন্স হলের নামকরণ বাবু মার্কুজ গমেজের নামে করেছে বলে আমরা গর্বিত।’
‘বাবু মার্কুজ আজ ওয়াইএমসিএসের সফল কর্মকান্ডের কারণে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ওয়াইএমসিএস অব বাংলাদেশ থেকে যে সম্মান পাচ্ছে, তা তার বাবা খ্রীষ্টফার গমেজের অনুপ্রেরণার ফল। বাবু মার্কুজ শুধু ওয়াইএমসিএস নিয়ে কাজ করেন না, সে ক্রেডিট ইউনিয়ন, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন, ছাত্রকল্যাণের মতো অসংখ্য সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে সমাজের সেবা দিয়েছেন। তবে ওয়াইএমসিএসকে সবচেয়ে বেশি ভালবেসেছে’, বলেন প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও।
এ সময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘বাবু মার্কুজ ছাত্রজীবন থেকেই ওয়াইএমসিএস নিয়ে কাজ করেছেন, আজ আমরা সেই অবদান আজ উপভোগ করছি। আমরা দেখেছি তার পরিবার কীভাবে এই সম্মানের স্বর্ণশিখরে উঠতে তাকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়েছে। বাবু মার্কুজ এমন একজন মানুষ, যার কাছে সবাই সমান। তিনি একজন সদালাপী এবং যোগ্য নেতা। তার নেতৃত্ব সমাজকে অনেক ভালকিছু দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে দিয়ে যাবে। তিনি অচিরেই ওয়ার্ল্ড ওয়াইএমসিএস’র প্রেসিডেন্ট হবেন সেই প্রত্যাশা করি।’
অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট গমেজ অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি আমার পরিবারকে ধন্যবাদ জানাই, বিশেষ করে আমার সহধর্মিনী মার্সিয়া মিলি গমেজ যিনি আমাকে সব সময় অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ দিয়ে এতদূর আসতে সহযোগিতা করেছে।’
এ সময় তিনি বাংলাদেশে ওয়াইএমসিএ’র পটভূমি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে ওয়াইএমসিএস-এ তরুণদের কোনো নেতৃত্ব ছিল না। ৯০’র দশকের দিকে আমি ওয়াইএমসিএস’র সাথে যুক্ত হই, সেই সময় থেকেই ওয়াইএমসিএস-এ তরুণ নেতৃত্ব আসতে শুরু হয়েছে।’
ওয়াই আন্দোলন দেশের ও বিশ্বের উন্নয়নে আরো বেশি ভূমিকা রাখবে এবং একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে সাহায্য করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ওয়াইএমসিএস অব বাংলাদেশ তাকে এত বড় সম্মান দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে আগামীতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন প্রেসিডেন্ট গমেজ।
অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট গমেজকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন অতিথিরা।
এ সময় প্রধান অতিথি এমপি আরেং এবং বিশেষ অতিথি বিসিএ প্রেসিডেন্ট রোজারিওকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিরা ফিতা কেটে ‘বাবু মার্কুজ গমেজ’ কনফারেন্স হলরুমের শুভ উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ওয়াইএমসিএস অব বাংলাদেশের জেনারেল সেক্রেটারি নিপুন সাংমা।
আরবি.আরপি. ২৭ জুন ২০১৮