ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ উচ্ছেদ সাঁওতালদের পুনর্বাসনের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

উচ্ছেদ সাঁওতালদের পুনর্বাসনের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

0
197

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে উচ্ছেদ হওয়া সাঁওতালদের পুনর্বাসনে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতকে প্রতিবেদন আকারে জানাবেন।

গাইবান্ধার ঘটনায় আলামত নষ্ট নিয়ে জারি করা রুল শুনানিতে স্বত‍ঃপ্রণোদিত হয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে সুপ্রকাশ দত্ত অমিত এবং রংপুর চিনিকলের পক্ষে শুনানি করেন এ এম মাসুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

পরে সুপ্রকাশ দত্ত বলেন, ৬ নভেম্বর উচ্ছেদ হওয়া সাঁওতালদের পুনর্বাসনে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা ৩০ দিনের মধ্যে জানতে চেয়েছেন। এছাড়া রুলও জারি করেছেন। রুলে উচ্ছেদ হওয়া সাঁওতালদের পুনর্বাসনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

দুই সপ্তাহের মধ্যে ভূমি সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, শিল্পসচিব, গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক, গাইবান্ধার পুলিশ সুপার, গোবিন্দগঞ্জের ইউএনও এবং ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদেশের আগে আদালত বলেন, যারা উচ্ছেদ হয়েছে আমরা চাই তাদের পুনর্বাসন হোক।

আইনজীবী সুপ্রকাশ দত্ত ০৭ ডিসেম্বর রংপুর সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল আউয়ালকে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে একটি নোটিশ পাঠান। নোটিশে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের ওপর হামলার ঘটনার আলামত কোন কর্তৃত্ববলে অপসারণ করা হয়েছে, চিনিকল কর্তৃপক্ষের কাছে তা জানতে চেয়েছেন।

নোটিশে বলা হয়, ৬ নভেম্বর সাঁওতালদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে, সাঁওতালদের হত্যা করে তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে পত্রপত্রিকায় এসেছে। কিন্তু ৮ তারিখ থেকে আপনি (চিনিকলের এমডি) উচ্ছেদকৃত এলাকায় ট্রাক্টর চালিয়ে ঘটনার আলামত নষ্ট করেছেন। সরকারি কর্মচারী হিসেবে আলামত সংরক্ষণ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করা আপনার দায়িত্ব। কিন্তু আপনি এবং অন্য কর্মকর্তারা ক্রাইম সিন এলাকা থেকে আলামত অদৃশ্য করে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। এটা দণ্ডবিধি ২০১ ধারায় ফৌজদারি অপরাধ।

নোটিশে আরও বলা হয়, সাক্ষ্য (আলামত) ছাড়া ওই ঘটনায় নিহত শ্যামল হেমব্রম ও মঙ্গল মার্ডির হত্যায় ন্যায়বিচারের নিশ্চিত হওয়া কষ্টকর হবে।

নোটিশের জবাব না পাওয়ায় তিনি হাইকোর্টে রিট করলে ৮ জানুয়ারি রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

ওই দিন সুপ্রকাশ দত্ত বলেন, গত বছরের ৬ নভেম্বর সংঘর্ষের ঘটনার পর আলামত নষ্ট করায় রংপুর সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ২০১ ধারা অনুসারে ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং ইচ্ছাকৃতভাবে আলামত নষ্ট করার অভিযোগে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে কেন ফৌজদারি মামলা করতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

এছাড়াও কী কারণে (উচ্ছেদকৃত এলাকায় ট্রাক্টর চালানো) ওই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে, তা জানিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ব্যাখ্যা আকারে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পরে চিনিকল কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিবেদন দাখিল করে। সেই প্রতিবেদনের শুনানিকালে হাইকোর্ট ওই আদেশ দেন।

আরবি/ আরপি/ ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭