ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ঢাকা ক্রেডিট উৎসবে রঙিণ ঢাকা ক্রেডিট রির্সোটের সবুজ গালিচা

উৎসবে রঙিণ ঢাকা ক্রেডিট রির্সোটের সবুজ গালিচা

0
762

ঢাকা ক্রেডিট এমপ্লয়ীজ ওয়েলফেয়ার এন্ড ক্রেডিট সোসাইটি ২৫ বছর পূর্ণ করেছে। এ উপলক্ষে গাজীপুরের মঠবাড়িতে ঢাকা ক্রেডিট রিসোর্ট এন্ড ট্রেনিং সেন্টারে রজত জয়ন্তী উৎসবের আয়োজন করা হয়।

২৫  ফেব্রুয়ারি, শনিবার ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ উৎসবের উদ্ধোধন করেন।

ঢাকা ক্রেডিট এমপ্লয়ীজ ওয়েলফেয়ার এন্ড ক্রেডিট সোসাইটি’র চেয়ারম্যান রিচার্ড ফ্রান্সিস রোজারিও’র সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া, ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, ট্রেজারার বিপুল লরেন্স গমেজ, ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন পরিচালক পংকজ মিখায়েল কোড়াইয়া, ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিন্টু খ্রীষ্টফার গমেজ, এসিও লিটন টমাস রোজারিও, চীফ অফিসার সুদান গাইন ও জোনাস গমেজ, এইচআর প্রধান সুইটি শিশিলিয়া পিউরীফিকেশন, ঢাকা ক্রেডিটের নারী কমিটির নেতৃবৃন্দসহ সোসাইটির প্রাক্তন ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।IMG_6509
ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ সোসাইটির প্রাক্তন-বর্তমান সকল কর্মকর্তাদের কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে বলেন, ‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সোসাইটি আজ এ পর্যায়ে এসেছে। আপনাদের উন্নয়নে বোর্ড সর্বদা সচেষ্ট।’ তিনি ঢাকা ক্রেডিটের ভবিষ্যৎ লক্ষের কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০২০ সালে ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল এবং ২০৩০ সালে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসহ নার্সিং ইনস্টিটিউট এবং ২০৫০ সালে নিজস্ব এয়ারলাইন্স সেবা দেওয়ার মত লক্ষ নিয়ে ঢাকা ক্রেডিট এগিয়ে যাচ্ছে। যেখানে আপনাদের ছেলেমেয়েরা উন্নত জীবন লাভ করবে। পরে তিনি ওয়েলফেয়ারের জন্যে বোর্ডের পক্ষ থেকে ৫০ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন।IMG_soronika
বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়শনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিটের কর্মীদের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার জন্যে ১৯৯৩ সালে এই এমপ্লয়ীজ ওয়েলফেয়ার এন্ড ক্রেডিট সোসাইটির জন্ম। একটি শক্তিশালী ঘরের মধ্যে আরেকটি শক্তিশালী ঘর তৈরি হয়েছে। এটি ঢাকা ক্রেডিটসহ আমাদের সবার জন্যেই আনন্দের। এর মধ্য দিয়ে আপনাদের মধ্যে সৌহার্দ ও সম্প্রীতি বেড়েছে। ঢাকা ক্রেডিটের উন্নয়ন ও আপনাদের উন্নয়ন একই সুত্রে গাঁথা।’ তিনি আরও বলেন, এই ওয়েলফেয়ারের মাধ্যমে আপনাদের পেশাদারিত্ব বাড়বে। ঢাকা ক্রেডিট ও ওয়েলফেয়ার শক্তিশালী হওয়ার মধ্য দিয়ে সবার কল্যাণ হবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী ৫০ বছর ওয়েলফেয়ার কোন উচ্চতায় যাবে সে ব্যাপারে পরিকল্পনা ও সময়োপযোগী কৌশল গ্রহণ করতে হবে।
সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা বলেন, ‘জয়ন্তী মানেই আনন্দ। ২৫ বছর উদযাপন অনুপ্রেরণার। একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করা ও নেতৃত্ব দেওয়া গৌরবের। আপনারা সেই সুযোগ পেয়েছেন। এই ওয়েলফেয়ারের অনেকেই আজ দেশে-বিদেশে অবস্থান করছেন। আজ আপনাদের মূল্যায়নের দিন। আগামী ৫০ বছর আপনারা ওয়েলফেয়ারকে কোথায় দেখতে চান। আজই সেই প্রতিজ্ঞা হোক। সেই লক্ষে পরিকল্পনা ও কৌশল নির্ধারণ করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন,‘আপনাদের বাড়তি পাওনা আপনারা নিজেদের বাড়িতে (ঢাকা ক্রেডিট রিসোর্ট) পরিবার-পরিজন নিয়ে উৎসব করতে পারছেন। বোর্ড যে কোন প্রয়োজনে সর্বদা আপনাদের পাশে আছে। আগামীতে আপনাদের সোসাইটি বৃহৎ পরিসরে  আত্নপ্রকাশ করুক সেই কামনা করি।’IMG_03
বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া রজত জয়ন্তী উৎসবের সাফল্য কামনা করে বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিটের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার কর্মীদল। যারা ঢাকা ক্রেডিটের পরিকল্পনা ও লক্ষ বাস্তবায়ণের সাথে সরাসরি যুক্ত। বর্তমান জীবনযাত্রার মানের উপর ভিত্তি করে কর্মী ও তাদের পরিবার যেন ভাল থাকে এই ব্যাপারে বিগত ও বর্তমান বোর্ড বদ্ধ পরিকর। ৫ম ত্রিবার্ষিক কৌশলগত পরিকল্পনা অনুযায়ি ঢাকা ক্রেডিটের লক্ষ যদি অর্জিত হয় তবে সবচেয়ে বেশি লাভবান আপনারই হবেন। আপনাদের আবাসন সমস্যা নিরসনে বর্তমান বোর্ড চিন্তা করছে। ঢাকা ক্রেডিট অতীতেও ওয়েলফেয়ারকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, আগামীতেও করবে।

এর আগে সকালে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ এই উৎসবের উদ্ধোধন করেন। সোসাইটির চেয়ারম্যান রিচার্ড রোজারিও প্রধান অতিথিসহ বিশেষ অতিথিদের নিয়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন। পরে প্রধান অতিথি রজত জয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ ‘স্মরণিকার’ মোড়ক উন্মোচন করেন। সোসাইটির পক্ষ থেকে ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ, সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট  কস্তা, কাককো’র চেয়ারম্যান নির্মল রোজারিও ও বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়াসহ সোসাইটিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্যে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। IMG_02রজত জয়ন্তী উপলক্ষে র‌্যাফেল ‘ড্রো’ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। সবার পদচারণায় রির্সোটের সবুজ গালিচা মিলনমেলায় পরিণত হয়। ঢাকা ক্রেডিটের কর্মীদের কল্যাণার্থে ১৯৯৩ সালে ঢাকা ক্রেডিট এমপ্লয়ীজ ওয়েলফেয়ার এন্ড ক্রেডিট সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

এসএস/আরবি/আরপি/২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭