ঢাকা ,
বার : রবিবার
তারিখ : ০৫ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলা : ২১ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ঢাকা ক্রেডিট ঋণখেলাপিরা যেন ঋণের কুফল থেকে বেরিয়ে আসতে পারে: ঢাকা ক্রেডিটের সেবাপক্ষের শুভ...

ঋণখেলাপিরা যেন ঋণের কুফল থেকে বেরিয়ে আসতে পারে: ঢাকা ক্রেডিটের সেবাপক্ষের শুভ উদ্বোধন

0
441

‘সুদূরপ্রসারী চিন্তা করবো, পরিকল্পিত ঋণ নিবো, খেলাপিমুক্ত সমাজ গড়বো’ মূলসুর নিয়ে ঢাকা ক্রেডিটে যাত্রা শুরু হলো সেবাপক্ষ ২০১৯।

১ জুন, সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা ক্রেডিটের বিকে গুড কনফারেন্স হলে ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ ১৫ দিনের জন্য সমিতির সেবাপক্ষের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এ সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হিউবার্ট গমেজ, এসোসিয়েশনের মহাসচিব হেমন্ত আই. কোড়াইয়া, ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট শীরেন সিলভেষ্টার গমেজ, দি মোট্রেপলিটন খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির প্রাক্তন ভাইস-চেয়ারম্যান অনিল লিও কস্তা, ঢাকা ক্রেডিটের সহকারী প্রধান নির্বাহী অফিসার লিটন টি. রোজরিও।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সমিতির পরিচালনা পর্ষদ, কর্মী এবং সদস্যগণ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা।

অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিট ১২ বছর ধরে সেবাপক্ষ পালন করে আসছে। নির্মল রোজারিও প্রেসিডেন্ট ও আমি সেক্রেটারি থাকাকালীন সময়ে প্রথম সেবাপক্ষের প্রচলন করি। তখন অনেকেই বলতেন, সেবাপক্ষের প্রয়োজন কি! কিন্তু এখন প্রায় সমিতিতেই সেবাপক্ষ, এমনকি সেবা মাসও পালন করে।’

‘মূলত সদস্যদের বাড়তি সুযোগ প্রদানই হলো সেবাপক্ষের উদ্দেশ্য। সেবাপক্ষে ঋণখেলাপিদের আমরা অনেকাংশে ছাড় দেই, তারা যেন ঋণের কুফল থেকে বেরিয়ে হয়ে আসতে পারে। নিয়মিত সদস্যসহ ঋণখেলাপিদের ঋণের কুফল থেকে বের হয়ে সকলে মিলে একটি সুন্দর সমাজ গড়তে চাই। সেবাপক্ষে সদস্যদের জন্য বিশেষ সুবিধা ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাই,’ বলেন প্রেসিডেন্ট গমেজ।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘আমরা সারা বছরই সেবা দিয়ে থাকি। কিন্তু একটি বিশেষ মুহুর্তে উৎকর্ষ সেবা দেওয়ার সময়ই হলো সেবাপক্ষ। এ সময় ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে ঋণের বেড়াজাল থেকে বের হয়ে আসার জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। সারা বছরের চেয়ে এই সময়ে অফিসের পরিবেশ এবং উপলদ্ধি একটু আলাদা থাকে। সেবাপক্ষে সর্বোত্তম সেবা প্রদান করে এবং এর শিক্ষা নিয়ে সারা বছর সর্বোচ্চ সেবা প্রদান ও সেবাগ্রহণ করাই হলো সেবাপক্ষের উদ্দেশ্য।’

তারা বলেন, ‘সেবাপক্ষ সকল প্রতিষ্ঠানেই অপরিহার্য। সেবার মান বৃদ্ধি ও উৎকর্ষ সাধনের জন্য সেবাপক্ষ বিশেষ ভূমিকা রাখে। সেবাপক্ষ শুধু সদস্যদের জন্য নয়, এটা কর্মী, পরিচালনা পর্ষদসহ সকলের জন্য বিশেষ সময়। এ সময় সদস্যদের সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। সদস্যরা যদি নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে উন্নয়ন করার জন্য পরামর্শ দেন, তাহলে সেই মতো ব্যবস্থাগ্রহণ করে সমিতির আরো বেশি সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব।’

ঋণগ্রহীতার বিষয়ে বক্তারা বলেন, সদস্যদের শুধু ঋণ দিলেই চলবে না। তাদের ঋণ নেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। তেমনি সদস্যরা ঋণ নিয়ে যেন তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে, তারও নিশ্চয়তা সৃষ্টি করা প্রয়োজন। ঋণের অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।

সমিতির বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্পের অন্তত একটি সঞ্চয় সেবা এবং সেবাপক্ষের সুবিধা গ্রহণ করতে বক্তারা এ সময় সদস্যদের আহ্বান জানান।

সেক্রেটারি কর্তৃক ঘোষিত সেবাপক্ষের সুবিধাসমূহ (পংকজ গিলবার্ট কস্তা):

সেবাপক্ষের সুবিধাগুলো নিয়ে আপনি হন লাভবান, তেমনি বিভিন্ন দায়বদ্ধতার হাত থেকেও পান মুক্তি।

সেবাপক্ষে সদস্যরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সার্ভিস প্রদান, ঋণখেলাপীদের বিশেষ সুবিধা প্রদান, বিভিন্ন প্রডাক্টসমূহের সহজলভ্য এবং সুবিধা প্রদানসহ নানা বিষয়ে ভিন্নতার নিশ্চয়তা পাবেন।

সেবা পক্ষে-এককালীন সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধে ৫০% জরিমানা মওকুফ, এমআইসিআর চেক প্রদান সাপেক্ষে খেলাপি ঋণের সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধ করলে ২৫% জরিমানা মওকুফ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

খেলাপি ঋণ পুনঃতফশীলঃ-এ থাকছে-

– এমআইসিআর চেক প্রদান সাপেক্ষে ঋণের সম্পূর্ণ সুদ প্রদান করে পুনঃতফশীল করলে ৫০% জরিমানা মওকুফ
– এমআইসিআর চেক প্রদান সাপেক্ষে ঋণের অর্ধেক সুদ প্রদান করে পুনঃতফশীল করলে ২৫% জরিমানা মওকুফ
– এমআইসিআর চেক প্রদান সাপেক্ষে ঋণ পুনঃতফশীল করার সুযোগ প্রদান

আরো রয়েছে: খেলাপি ঋণের বকেয়া সুদ ও জরিমানা ফ্রিজ করে রেখে চলতি মাসের সুদ ও সদস্যদের সামর্থ্যঅনুসারে কিস্তি প্রদান করার সুযোগ, রিলিজের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ঋণের অংশ নিয়ে রিলিজ করার সুযোগ,সমিতিতে যেকোনো সঞ্চয়ী প্রডাক্ট খোলা হলে উপহার প্রদান, ১০ লক্ষ টাকা বা তদোর্ধ্ব টাকার দীর্ঘ মেয়াদি সঞ্চয়ী আমানত খোলা হলে ১ দিন, ১ রাত বান্দুরা গেস্ট হাউজে/মঠবাড়ী রিসোর্টে বিনামূল্যে থাকার সুযোগ প্রদান, আইইএলটিএস এবং স্পোকেন ইংলিশ কোর্সে ভর্তির জন্য বিনামূল্যে ভর্তি ফরম এবং উপহার প্রদান।

এ ছাড়াও রয়েছে সমিতির প্রধান কার্যালয়ের নিচ তলায় বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত সুগার টেস্ট, প্রেসার মাপা ও ওজন পরিমাপের সুবর্ন সুযোগ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
উল্লেখ্য, ঢাকা ক্রেডিট প্রতি বছর সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা এবং মানসিক উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে ১-১৫ জুন সেবাপক্ষ পালন করে।