শিরোনাম :
কাফরুলের সাধু লরেন্স উপ-ধর্মপল্লী এখন পূর্ণাঙ্গ ধর্মপল্লী
ডিসিনিউজ ।। ঢাকা
কাফরুলের সাধু লরেন্স ধর্মপল্লী পূর্ণাঙ্গ ধর্মপল্লী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এর আগে তেঁজগাও ধর্মপল্লীর অধিনে উপ-ধর্মপল্লী হিসেবে পরিচালিত হত।
৩০ অক্টোবর ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় এন. ডি’ক্রুশ ওএমআই কাফরুলে এক অনারম্ভর অনুষ্ঠানে সাধু লরেন্স ধর্মপল্লী হিসেবে ঘোষণা দেন। নতুন এই ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করেন ফাদার যাকোব স্বপন গমেজকে।
সকাল ৯টায় মহাখ্রিষ্টযাগের শুরুতে ধর্মপল্লীর ঘোষণাপত্র পাঠের পর আর্চবিশপ বিজয় ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন এবং নতুন ও ধর্মপল্লীর প্রথম পাল-পুরোহিত হিসেবে ফাদার যাকোবের যাজকীয় ব্রত পাঠ করিয়ে আশির্বাদিত করেন। মহাখ্রিষ্টযাগের পৌরহিত্য করেন আর্চবিশপ বিজয় এবং সহযোগিতা করেন ফাদার যাকোব ও ঢাকার ভিকার জেনারেলর ফাদার গাব্রিয়েল কোড়াইয়া। খ্রিষ্টযাগসহ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এ দিন উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত এ্যালেন এ. ডেনেইজা ও তার সহধর্মীনি, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য অনিতা মাধবী গমেজসহ ফাদার-সিষ্টার এবং কাফরুল ধর্মপল্লীবাসী।
খ্রিষ্টযাগের পর এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় আর্চবিশপ নতুন ধর্মপল্লীর খ্রিষ্টভক্তদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি খ্রিষ্টের সাক্ষ্যবহন করে ধর্মপল্লীকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত এ্যালেন এ. ডেনেইজা বাংলাদেশ খ্রিষ্টমন্ডলীর প্রশংসা সেই সাথে নতুন ধর্মপল্লী হিসেবে সাধু লরেন্স চার্চের জন্য শুভ কামনা করেন। এ সময় তিনি ধর্মপল্লীর খ্রিষ্টভক্তদের শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে নতুন ধর্মপল্লীর জন্য কেক কাটা, স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন, নতুন ধর্মপল্লীর ও লরেন্স ভবনের ফিতা কেটে নামফলক উন্মোচন করেন আর্চবিশপ ও অতিথিবৃন্দ। এ দিন কাফরুলে যে সকল প্রয়াত ও বর্তমান খ্রিষ্টভক্তগণ অবদান রেখেছেন তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন কাফরুল খ্রিষ্টান সমিতির চেয়ারম্যান সামুয়েল দিলীপ গমেজ। শেষে স্থানীয় যুবক-যুবতীদের আয়োজনে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।