শিরোনাম :
কারিতাস বাংলাদেশের নবনিযুক্ত কর্মসূচী পরিচালককে ঢাকা ক্রেডিটের শুভেচ্ছা প্রদান
ডিসিনিউজ ।। ঢাকা
কারিতাস বাংলাদেশের নবনিযুক্ত পরিচালক (কর্মসূচী)- জেমস্ গমেজকে ঢাকা ক্রেডিটের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
৭ সেপ্টেম্বর, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান কার্যালয়ে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা, ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলবার্ট আশিস বিশ্বাস, সেক্রেটারি হেমন্ত আই. কোড়াইয়া, ট্রেজারার রতন কোড়াইয়া, বাংলাদেশ খ্রীস্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান নির্বাহী অফিসার লিটন টমাস রোজারিওসহ ঢাকা ক্রেডিটের বোর্ড অব ডিরেক্টর, ক্রেডিট কমিটি ও সুপারভাইজরি কমিটির সদস্যগণ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ঢাকা ক্রেডিটের পক্ষ থেকে নবনিযুক্ত পরিচালককে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় ক্রেডিটের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট কস্তা নবনিযুক্ত পরিচালককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে ঢাকা ক্রেডিট ও কারিতাস বাংলাদেশ একে অপরকে যেকোনো বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।
ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা নবনিযুক্ত পরিচালককে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত খুশি আপনি নতুন দায়িত্ব নিয়ে আমাদের মাঝে এসেছেন। ঢাকা ক্রেডিট ও কারিতাস উভয়ই মানব উন্নয়নে কাজ করছে। আশা করি, মানব উন্নয়নে আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা করবো।’
‘কখনো যদি আমাদের সহযোগিতা প্রদান প্রয়োজন হয়, আমি নির্দ্বিধায় সেই সহযোগিতা করবো। পূর্বেও আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করেছি, এখনো সেই সকল সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে’ যোগ করেন প্রেসিডেন্ট কস্তা।
এ সময় তিনি ঢাকা ক্রেডিটের বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রডাক্ট নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে ঢাকা ক্রেডিটের নিমার্ণাধীন ডিভাইন মার্সি জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় কারিতাস বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
নবনিযুক্ত পরিচালক জেমস্ গমেজ বলেন, ‘চট্টগ্রামে বসেই আপনাদের সকল প্রকল্পের বিষয় আমি আপডেট নিতাম। বিশেষ করে কোভিডের সময়কালীন সময়ে আপনাদের চিন্তাগুলো যেভাবে সদস্যদের নিকট পৌঁছে দিয়েছেন। তাদের অর্থ দিয়ে, মূলছাড়ে পণ্য দিয়ে, যারা ঋণ ফেরৎ দিতে পারেনি তাদের সহযোগিতা দিয়ে আপনারা খ্রিষ্টের ভালবাসা দেখিয়েছেন। ডিভাইন মার্সি হাসাপাতাল খুবই ভাল উদ্যোগ। আমি নিশ্চয়ই চেষ্টা করবো কিভাবে আমাদের সহযোগিতার ক্ষেত্রটাকে আরো উন্মুক্ত করা যায়।’
‘দুই বছর পর কারিতাস ৫০ বছরের জুবিলি করবো, তখন ঢাকা ক্রেডিটকে সহযোগি করে আমরা আনন্দ করবো। সেটা যেন ছড়িয়ে যায় এবং আমরা একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। আপনারা যে চলমান প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, সেগুলো যেন চলমান থাকে, তার জন্য আমরা ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করবো। বর্তমানে পরিবারের মধ্যে যে মিশ্র বিবাহ করছে, তা নিয়েও ঢাকা ক্রেডিট ও কারিতাস কাজ করতে পারে। থেমে থাকলে হবে না, এটা যেহেতু মুভমেন্ট, তাই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন, আমরা যেন কাজের মাধ্যমে খ্রিষ্টের শিক্ষা দিতে পারি’ বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘প্রমোদ মানখিন নেতৃত্ব দিয়েছেন, নির্মল রোজারিও খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের নেতৃত্ব দিয়ে কাজ করছেন। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। আমরাও যেন নেতৃত্ব শিখতে পারি। তিনটি উদ্দেশ্য নিয়ে বৃক্ষরোপন অভিযান শুরু করেছি। আপনারাও করছেন, আমরাও বৃক্ষরোপন করছি। আমরা পাশাপাশি একত্রে কাজ করবো এই কামনা করছি।’
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, ডিরেক্টর প্যাট্রেশিয়া পাপড়ী আরেং, ক্রেডিট কমিটির চেয়ারম্যান সুকুমার লিনুস ক্রুশ, সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য বার্নার্ড পংকজ ডি’রোজারিও, ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান নির্বাহী অফিসার লিটন টমাস রোজারিও।ধন্যবাদ বক্তব্য প্রদান করেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলবার্ট আশিস বিশ্বাস।
তারা উল্লেখ করেন, ‘কারিতাস ও ঢাকা ক্রেডিট উভয়ই মানবোন্নয়ন নিয়ে কাজ করে, তাই উভয়ের লক্ষ্যও অভিন্ন। আমরা সব সময় একে অন্যকে সহযোগিতায় এগিয়ে যাব এই আশা করি।‘
এ সময় দুটি প্রতিষ্ঠানই তাদের কার্যক্রম নিয়ে মানবসেবায় নিষ্ঠার সাথে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে। একে অপরকে নিবিড়ভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দেন উভয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবর্গ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি হেমন্ত আই. কোড়াইয়া।