ঢাকা ,
বার : মঙ্গলবার
তারিখ : ০৪ নভেম্বর ২০২৫
বাংলা : ২০ কার্তিক ১৪৩২
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ঢাকা ক্রেডিট খ্রীষ্টফার এবং পারুল ষ্টাইপেন্ড ফান্ড থেকে ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশনকে সহায়তা...

খ্রীষ্টফার এবং পারুল ষ্টাইপেন্ড ফান্ড থেকে ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশনকে সহায়তা প্রদান

0
852

ডিসিনিউজবিডি।।
খ্রীষ্টফার এবং পারুল ষ্টাইপেন্ড ফান্ড দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা এর অর্থায়নে ও পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশনকে অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে।

১৮ ফেব্রæয়ারি, ২০২৫ ঢাকা ক্রেডিটের বি.কে গুড কনফারেন্স হল রুমে খ্রীষ্টফার ও পারুল ষ্টাইপেন্ড ফান্ড এক সমঝোতা চুক্তি সাক্ষরের মাধ্যমে ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশনকে ত্রিশ লক্ষ টাকার চেক সহায়তা প্রদান করে।

এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন ফাদার চার্লস জে. ইয়াং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, খ্রীষ্টফার এবং পারুল গমেজ এর সন্তান এবং ডোনার মনিকা গমেজ, বাবু মার্কুজ গমেজ, উজ্জলা রোজারিও। গমেজ সম্পত্তির বড় মেয়ে আলো ম্যাগডেলিন গমেজ উপস্থিত না থাকলেও অর্থ সহায়তা করেছেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি মাইকেল জন গমেজ, ভাইস প্রেসিডেন্ট পাপড়ি দেবী আরেং, ট্রেজারার সুকুমার লিনূজ ক্রুশ, ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি ও ঢাকা ক্রেডিটের সিইও জোনাস গমেজ, ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, খ্রীষ্টফার ও পারুল গমেজের পুত্র বাবু মার্কুজ গমেজের স্ত্রী ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ওয়াইএমসিএ এর প্রেসিডেন্ট মার্সিয়া মিলি গমেজ, ক্রেডিটের বোর্ড সদস্যসহ অন্যান্য কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং অতিথিবৃন্দ।

প্রেসিডেন্ট কোড়াইয়া শুরুতেই কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা ভরে স্বরণ করেন ফাদার চার্লস জে ইয়াং কে, স্মরণ করেন খ্রীষ্টফার এবং পারুল গমেজকে। তিনি আমাদের মন্ডলীতে খ্রীষ্টফার এবং পারুল গমেজ এর অবদানের কথা তুলে ধরেন।

“বাবু মার্কুজ গমেজ এর সময়ে ঢাকা ক্রেডিটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এবং গমেজ পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য। ফাউন্ডেশনের গঠনেও গমেজ পরিবারের অবদান রয়েছে। বিশেষ করে বাবু মার্কুজ গমেজ আমাদের বোর্ডে না থাকলেও ক্রেডিটের প্রতি তার ভালোবাসার বর্হিপ্রকাশ আমরা দেখতে পাই।” বলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট ও ফঅউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কোড়াইয়া

তিনি অন্যান্যদের আহŸান জানিয়ে বলেন, যাদের সুযোগ আছে তারাও যেন এই ফউন্ডেশনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়।

কাককো’র বর্তমান এবং ফাউন্ডেশনের প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী অফিসার ডমিনিক রঞ্জন পিউরীফিকেশন উপস্থিত সবাইকে অনুরোধ করেন এই ফাউন্ডেশনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তার জন্য। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর সময়ে লাখো মানুষ প্রাণ হারালেও আমরা বেঁচে আছি আর বেঁচে থেকে আমাদের পৃথিবীর জন্য কিছু করে যাওয়া উচিত।

ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারী ও ফাউন্ডেশনের সদস্য মাইকেল স্বর্গীয় খ্রীষ্টফার গমেজ ও পারুল গমেজ সম্পর্কে স্মৃতি চারণ করেন এবং গমেজ পরিবারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, আমাদের সমাজে কোটি কোটি টাকার মালিক আছে কিন্তু সহায়তার যে মনোভাব সেই মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। আমাদের ফাউন্ডেশনে বাবু মার্কুজসহ তার পরিবারের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

নির্মল রোজারিও খ্রীষ্টফার গমেজ’কে খুব কাছে থেকে দেখেছেন এবং তার সাথে বিভিন্ন কাজ করেছেন।
রোজারিও বলেন, আমি এবং খ্রীষ্টফার গমেজ ঘন্টার পর ঘন্টা আলাপ করতাম। তার হৃদয় ছিল অনেক উদার এবং তিনি নিজের টাকা দিয়ে স্কুলের শিক্ষকদের বেতন দিতেন এবং শিক্ষার্থীদের অর্থ দিয়ে সহায়তা দিতেন।”

“ঈশ^র চান আমরা যেন আমাদের স্বার্থের মধ্যে থেকে অল্প কিছু হলেও দরিদ্র বা যাদের প্রয়োজন তাদের দান করি। এটা একটা সমাজের প্রতি দ্বায়বদ্ধতাও।” বলেন রোজারিও

খ্রীষ্টফার ও পারুল গমেজের পুত্র বাবু মার্কুজ গমেজের স্ত্রী ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ওয়াইএমসিএ এর প্রেসিডেন্ট মার্সিয়া মিলি গমেজ তার বক্তব্যে বলেন, অনেকের অনেক প্রতিভা আছে যাদের সামান্য সহায়তা করতে পারলে তারা অনেক দূর এগিয়ে যাবে। আমি অনেক শ্রদ্ধা ভরে আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ীকে স্বরণ করি। আশা করি আমাদের পরিবারের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা বা অর্থদান সমাজের অন্যান্যদেরও উৎসাহিত করবে।

খ্রীষ্টফার ও পারুল গমেজের মেয়ে মনিকা গমেজ বলেন, আমরা যদি কারো জন্য কিছু করি তাহলে আমরা ঈশ^রের নিকট থেকে কিছু পাব।

তিনি মা-বাবার কথা স্মরণ করে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, “আমাদের অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল এবং অবশেষে ঈশ^রকে ধন্যবাদ জানাই যে পিতা মাতার জন্য কিছু করতে পারছি। আশা করি এই অর্থ দিয়ে কিছু মেধাবী সন্তান পড়াশোনা করে সমাজের জন্য অবদান রাখতে পারে।,”

ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং খ্রীষ্টফার ও পারুল গমেজের ছেলে বাবু মার্কুজ গমেজ তার অভিব্যক্তি ব্যক্ত করে বলেন, “ আমরা পরিবারের মধ্যে আলোচনা করেছি যে মা-বাবা যেভাবে মানুষকে সহায়তা করেছে আমরাও যেন কিছু সহায়তা করতে পারি।”

আমি ফাদার চার্লস জে ইয়াং ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ দেই কারণ, আমরাও চাচ্ছিলাম একটা অর্গানাইজেশণের মাধ্যমে এই অর্থ সহায়তা দেয়া যাতে করে এর যথাযথ ব্যবহার হয়, বলেন বাবু মার্কুজ গমেজ

আমাদের বাবা-মা আমাদের পৃথিবীতে এনেছেন এবং সুযোগ করে দিয়েছেন সমাজে অবদান রাখতে। গমেজ পরিবারের এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেন, বাবু মার্কুজ গমেজ।

পরিবারের দেয়া তথ্যমতে, খ্রীষ্টফার গমেজ একেবারে শুন্য থেকে পরিশ্রম করে একজন সফল ব্যবসায়ি হিসেবে জীবনর ইতি টেনেছেন। গমেজের পড়াশোনার প্রবল ইচ্ছা থাকার কারণে বহু কষ্ট হলেও পড়াশোনাটা করে গেছেন এবং এর প্রেক্ষিতে তিনি পরবর্তী সময়ে দক্ষতার সাথে তার ব্যবসা পরিচালনা করতে পেরেছে ও সফল হয়েছে।

বাবা-মা অন্যান্য মানুষকে সহায়তা করতো সেটা পরবর্তীতে জেনে আমাদের খুব ভালো লাগতো এবং আমরাও চেয়েছিলাম আমাদের বাবা-মা’র জন্য কিছু করার। আমরা কোনো প্রতিদানের আশায় না, নিঃস্বার্থ ভাবেই দান সহায়তা করে যাবো, বলেন খ্রীষ্টফার ও পারুল গমেজের ছোট মেয়ে উজ্জ্বলা রোজারিও।

পরবর্তীতে ক্রেডিটের ভাইস প্রেসিডেন্ট পাপড়ি দেবী আরেং গমেজ পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যকে ধন্যবাদ জানান এবং ফুল দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

তিনি বলেন, সমাজের প্রতি গমেজ পরিবারের অবদান চিরদিন সমাজ কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করবে। মানুষকে দেয়ার যে রীতি সেটা পরিবারের মধ্যে পূর্বে ছিল এবং তারই ধারাবাহিতা এখনো রয়ে গেছে এবং খ্রীষ্টফার ও পারুল গমেজের সন্তানেরা সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে ।