শিরোনাম :
চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে
ম্যাগডেলিন ডি’সিলভা || চট্টগ্রাম
বন্দর নগরী চট্টগ্রাম এখন করোনা সংক্রমণের হটস্পট। চট্টগ্রাম শহরের কয়েকটি থানাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে কোতোয়ালী, দেওয়ানহাট, চকবাজার, পাঁচলাইশ থানা অন্যতম। তবে এ থানাগুলোর মধ্যে কোতোয়ালী থানায় কোভিড-১৯আক্রান্ত রোগী সংখ্যা সবচেয়ে বেশী।
এদিকে, গত ৩১শে মে দিবাগত রাত দুইটায় জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন স্ট্যানফোর্ড এ. পেরেরা। পরের দিন ১লা জুন রাতে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন অপু গোমেজ নামে আরেকজন ব্যক্তি। তাঁর বরিশালের পাদ্রীশিবপুর প্যারিশে। দুজনকেই পাথরঘাটা কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
তাঁদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে খ্রীষ্টভক্তদের মধ্যে।
উল্লেখ্য, কোতোয়ালী থানাধীন পাথরঘাটা এলাকায় ক্যাথিড্রাল প্যারিশ ও আর্চবিশপ’স হাউসের আশেপাশে চট্টগ্রাম শহরের অধিকাংশ খ্রীষ্টভক্তগণ বসবাস করেন।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মোট আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যুর হার ২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। অথচ ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে এ হার দেড় শতাংশ।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সবচেয়ে বিপজ্জনক এলাকা চট্টগ্রামে অনিয়ন্ত্রিত চলাচল ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রায় উন্মুক্ত থাকার কারণে দ্রুত এর বিস্তার ঘটছে বলে মতামত প্রকাশ করেছে বলে মতামত বিশেষজ্ঞদের। চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩হাজার ছাড়িয়েছে। ২ জুন সারাদেশে মৃতের সংখ্যা ৩৭ এর মধ্যে ১৫জন চট্টগ্রামের। ৩জুন সারাদেশে মৃতের সংখ্যা ৩৭ এর মধ্যে ১৩জন চট্টগ্রামের।
এদিকে, আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় আতংকিত চট্টগ্রামবাসী।
































































