শিরোনাম :
ঢাকা ক্রেডিটের ৬৪তম বার্ষিক সাধারণ সভার ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং প্রাক বড়দিন অনুষ্ঠান
ঢাকা ক্রেডিটের ৬৪তম বার্ষিক সাধারণ সভার ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং প্রাক বড়দিন অনুষ্ঠান
ডিসিনিউজবিডি।। ঢাকা
দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা (ঢাকা ক্রেডিট) এর ৬৪তম বার্ষিক সাধারণ সভার ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং প্রাকৃ বড়দিন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৮ ডিসেম্বর, ঢাকা ক্রেডিটের বি কে গুড হল রুমে প্রতিষ্ঠানটির উপদেষ্টা, যুব ও নারী নেতৃত্ব ও অন্যান্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি মাইকেল জন গমেজ এবং সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া।
একই সাথে ডিজিটাল ঢাকা ক্রেডিট বিনির্মানে ঢাকা ক্রেডিটের সেভিংস একাউন্ট থেকে ঢাকা ক্রেডিটের ‘পাশবই’ অ্যাপ ব্যবহার করে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন সেবাটির শুভ উদ্বোধন করেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট ও অতিথিবৃন্দ।
উপদেষ্টা, যুব ও নারী নেতৃত্ব এবং অন্যান্যদের সাথে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও, ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ, দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টন কো-অপারেটিভস্ (কাক্কো) লি: এর চেয়ারম্যান পংকজ গিলবার্ট কস্তা, ফাদার তুষার জেমস্ গমেজ, ঢাকা ত্রেডিটের ভাইস প্রেসিডেন্ট পাপড়ি দেবী আরেং, ট্রেজারার সুকুমার লিনুস ক্রুশ, সাবেক ম্যানেজার নিপুন সাংমা, সিসিডিবি এর চেয়ারম্যান ডেভিড অনিল হালদার, ন্যাশনল কাউন্সিল অব ওয়াইএমসিএ’স অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মার্সিয়া মিলি গমেজ, দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি: এর ম্যানেজার বাদল সিমসাং, নারী বিষয় উপ-কমিটির যুগ্ম আহŸায়ন মঞ্জু মারিয়া পালমা, ভারপ্রাপ্ত সিইও জোনাস গমেজসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র বাইবেল থেকে পাঠ করেন ফাদার তুষার জেমস গমেজ। ফাদার বাইবেল থেকে বড়দিনের তাৎপর্য সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, যীশুর মত ঢাকা ক্রেডিটেরও দায়িত্ব মানব মুক্তির জন্য কাজ করা।
ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া উপস্থিত নেতৃবৃন্দগণকে বিজয় দিবস, বড়দিন, খ্রীষ্টীয় নববর্ষের শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানিয়ে বলেন,“আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি এজিএম সফল করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ দেয়া ও আপনাদের সাথে বড়দিনের আনন্দ ভাগ করে নিতে।”
তিনি বলেন, “এবার শুধু এজিএম ছিল না, সাথে আপনাদের সবচাইতে বড় প্রকল্প ডিভাইন মার্সি হাসপাতালের গ্রান্ড অপেনিং ছিল এবং এই দুই অনুষ্ঠানই সফল হয়েছে আপনাদের সহায়তায় যার জন্য আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।” ডিভাইন মার্সি মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং কলেজ স্থাপনের জন্য এজিএম থেকে অনুমতি দেয়ার প্রেসিডেন্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনার সময় সেক্রেটারি বলেন, আপনাদের সবার স্বতঃস্ফ‚র্ত উপস্থিতিতে এজিএম খুব সুন্দর হয়েছে। এর জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
পংকজ গিলবার্ট কস্তা বিজয়ের মাসে শহীদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন,“আজকের উপস্থিতি প্রতিনিধিত্বমূলক, সব বয়সের মানুষ এখানে উপস্থিত আছেন।”
তিনি বলেন, এজিএম এ গিয়ে আমরা আমাদের হাসপাতাল দেখে এসেছি, অনেকেই বলেছিলেন এই হাসপাতাল হবে না। কিন্তু আমরা দেখে এসেছি এবং এখন আমাদের দায়িত্ব হলো এর প্রচারণা করা।
সাবেক প্রেসিডেন্ট কস্তা বলেন, বড়দিনের আনন্দের সাথে আমাদেরর উচিত অন্যদের সহায়তা করা। আমাদের উচিত কারো সাথে দূরত্ব থাকলে সেটা ঘোচানোর সময় এখনই।
ডেভিড অনিল হালদার তাঁর বক্তব্যে বাইবেল থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, শুধু মাত্র যীশুখিষ্টের জন্মের সময়ই আকাশে তারা দেখা গিয়েছিল। তাই তিনি মহান এবং আমরা যেন প্রভুকে ও আমাদের সমাজকে ভালোবাসি।
তিনি বলেন, আমাদের উচিত পরস্পর পরস্পরকে ভালোবাসা এবং সেই ভালোবাসাকে ধরে রাখা।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকা ক্রেডিটে প্রেসিডেন্ট পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে বড়দিনের কেক কাটেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ বিজয় ও যীশুখ্রীষ্টের জন্মতিথিতে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, এবার একটা ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে যে ৬৪ বছরের ইতিহাসে ঢাকা ক্রেডিট তার এজিএম নিজস্ব জায়গায় করতে পেরেছে। এর জন্য পরিচালনা পরিষদকে ধন্যবাদ জানাই।
“সদস্যদের অংশগ্রহণ, ব্যবস্থাপনা পরিষদের এজিএম পরিচালনা সকল কিছু মিলিয়ে এটা একটা ইতিহাস হয়ে থাকবে,” বলেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
আধ্যাত্মিকতা, ভালোবাসা ও আশার বারতা নিয়ে বড়দিন আমাদের মাঝে আসে বলে মন্তব্য করেন মঞ্জু মারিয়া পালমা। তিনি বলেন, শান্তি ও ক্ষমার বারতা আমাদের সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও বলেন, আমি প্রথমত বর্তমান পরিচালনা পরিষদ ও ঢাকা ক্রেডিটের কর্মীবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই কারণ, তারা ঢাকার বাইরে এই প্রথম কোনো এজিএম’কে সার্থক ভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছে।
“এই সফলতা সম্ভব হয়েছে আপনাদের কন্টিনিউ সার্থক নেতৃত্বের কারণে। ঈশ^রকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি আমাদের আশীর্বাদ করেছেন বলেই এই আয়োজন সার্থক ও সুন্দর হয়েছে।” বলেন রোজারিও
তিনি বলেন, আমরা সকল ক্ষেত্রে যীশুখ্রীষ্টের আদর্শকে ধারণ, লালন করে সমাজ গড়তে চাই সেটা ঢাকা ক্রেডিট থেকে শুরু করে সকল জায়গায়। আমার কাজে কর্মে যেন আমরা অন্যের কাছে খ্রীষ্টের সাক্ষ্য রাখতে পারি তাহলেই আমরা প্রকৃত খ্রিষ্টান।
ধন্যবাদ জ্ঞাপনের সময় প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট পাপড়ি দেবী আরেং বলেন, আমাদের এই হাসপাতাল শুধু একটি হাসপাতাল নয়, এটা আমাদের খ্রীষ্টান সমাজের জন্য একটি ভালোবাসা।
“যীশু এসেছিলেন সেবার জন্য, ভালোবাসার জন্য এবং আমরা যেন ডিভাইন মার্সি হাসপাতালের মধ্য দিয়ে এই ভালোবাসা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারি,” বলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
শেষে উপদেষ্টাগণ, যুব ও নারী নেতৃবৃন্দ এবং ঢাকা ক্রেডিটের কর্মীবৃন্দ একত্রে বড়দিনের কীর্তনে মিলিত হয়।