শিরোনাম :
ঢাকা ক্রেডিট পরিদর্শন করেছেন সমবায় মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ
ডিসিনিউজবিডি।।
দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা (ঢাকা ক্রেডিট) পরিদর্শন করেছেন সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের উপসচিব (পরিকল্পনা-৩ এর অতিরিক্ত দায়িত্ব) তাহনিয়া রহমান চৌধুরী, সমবায় অধিদপ্তরের যুগ্ম নিবন্ধক (প্রশাসন, মাসউ ও ফাইন্যান্স) মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ও তেজগাঁও মেট্রোপলিটান থানা সমবায় কর্মকর্তা মো. রাজ্জাক উল্লা পাটওয়ারী।
৩ জুন, ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানে সেক্রেটারি মাইকেল জন গমেজ, প্রধান নির্বাহী অফিসার জোনাস গমেজ এবং চিফ অফিসার স্বপন রোজারিও, সুইটি সিসিলিয়া পিউরীফিকেশন ও খোকন মার্ক কস্তা।
শুরুতেই সমবায় কর্মকর্তাগণ ঢাকা ক্রেডিটের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন। পরে প্রতিষ্ঠানে বোর্ড রুমে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
ঢাকা ক্রেডিটের কার্যক্রম সম্পর্কে জেনে অভিভুত হয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের উপসচিব তাহনিয়া রহমান চৌধুরী বলেন, আমি এমন একটি কো-অপারেটিভ দেখতে চেয়েছিলাম যেটা সকল নিয়ম-নীতি মেনে পরিচালিত হচ্ছে এবং ঢাকা ক্রেডিট এমনি একটি পূর্ণাঙ্গ কো-অপারেটিভ।
“সদস্যদের অনেক উন্নয়নের কারণ হলো ঢাকা ক্রেডিট এবং এই প্রতিষ্ঠানটি শুধু তাদের সদস্যদের নয় একই সাথে দেশের অপামর জনগণের জন্য স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ অন্যান্য খাতে কাজ করে যাচ্ছে।” বলেন সমবায় মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকতা।
তিনি ঢাকা ক্রেডিটের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বলেন, আশা করি আপনারা আপনাদের এই কো-অপারেটিভের অগ্রগতিকে আরো বেগবান করবেন।

এর আগে ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি মাইকেল জন গমেজ ঢাকা ক্রেডিটের ইতিহাস, প্রোডাক্ট, প্রকল্প, সদস্য সংখ্যা, মূলধন এবং বিভিন্ন বিষয়ে ডকুমেন্টারী ও পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন।
সেক্রেটারি বলেন, ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল সমবায় অঙ্গণের প্রথম হাসপাতাল এবং এটি ঢাকা ক্রেডিটের বৃহত্তম প্রকল্প। ইতিমধ্যে ডিভাইন মার্সি নার্সিং ইনষ্টিটিউশন চালু হয়েছে এবং মেডিকেল কলেজের জন্য কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে খ্রীষ্টান সমাজ ক্ষুদ্র হলেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সমবায় অঙ্গণে এর ব্যাপক অবদান রয়েছে।
সমবায় অধিদপ্তরের যুগ্ম নিবন্ধক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না তা প্রকাশ করে এর ব্যবস্থাপনা পরিষদের নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপরে।
“ঢাকা ক্রেডিটের নির্বাচন স্বচ্ছ এবং সদস্যদের স্বতোঃস্ফ‚র্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে হয়। তাই এখানে আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাও রয়েছে। শৃক্সক্ষলা ও কাজের বিকেন্দ্রিকরণের কারণে ঢাকা ক্রেডিট দ্রুত এবং স্বচ্ছতার সাথে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত করতে পারছে।” বলেন এই যুগ্ম নিবন্ধক।
শেষে ঢাকা ক্রেডিটের প্রধান নির্বাহী অফিসার জোনাস গমেজ সমবায় কর্মকর্তাগণকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, আমাদের পাশে সমবায় মন্ত্রণালয় সর্বদা থাকে এবং সহযোগিতা করে থাকে বলেই ঢাকা ক্রেডিট এই পর্যায়ে আসতে পেরেছে।
“আশা করবো আগামী দিনগুলোতেও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রত্যেকটি কর্মকর্তা ঢাকা ক্রেডিটের পাশে থাকবে ও পরামর্শ দিবে।” বলেন জোনাস গমেজ।
































































