শিরোনাম :
‘ঢাকা ক্রেডিট যুব উৎসব ইতিহাস হয়ে থাকবে’: ধন্যবাদ জ্ঞাপন সভায় যুবরা
ডিসিনিউজবিডি।। ঢাকা
ঢাকা ক্রেডিট যুব উৎসব-২০২৫ দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:,-এর জন্য একটি ইতিহাস হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন যুব উৎসব-২০২৫ এর ধন্যবাদ জ্ঞাপন সভায় উপস্থিত যুব নেতৃবৃন্দ।
১৯ মে, ঢাকা ক্রেডিটের বিকে গুড কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও মূল্যায়ন সভায় সভাপতিত্ব করেন যুব উৎসব-২০২৫ এর আহ্বায়ক ও প্রতিষ্ঠানের বোর্ড ডিরেক্টর শিপন রোজারিও।
তিনি প্রথমেই যুব উৎসবের সাথে যুক্ত প্রত্যেকটি যুবককে ঢাকা ক্রেডিট যুব উৎসব-২০২৫ সাফল্যমন্ডিত করার জন্য ধন্যবাদন জানান।
“আমাদের এই যাত্রা অব্যাহত থাকবে। আমাদের এই উৎসব একদিনের জন্য নয়, আমরা সামনের দিনগুলোতে এলাকা ভিত্তিক কাজ করবো,” বলেন ঢাকা ক্রেডিটের ছাত্র ও যুব বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক শিপন রোজারিও
তিনি বলেন, ‘আমাদের যুবরা বিদেশমুখী হয়ে যাচ্ছে এবং সেক্ষেত্রে আগামীতে আমাদের সমাজের নেতৃত্ব কে দিবে? কাজেই আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এবং আমরাও ঢাকা ক্রেডিডটের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা করবো।’

৩ মে, ঢাকার চার্চ কমিউনিটি সেন্টারে হাজারো যুবাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা ক্রেডিট যুব উৎসব-২০২৫।
ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি মাইকেল জন গমেজ উপস্থিত যুব নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের উৎসবটি ছিল প্রাণবন্ত। আমরা তোমাদের নিয়ে শুধু একটা উৎসব করতে চাইনি। আমার দেখাতে চেয়েছি যুবরা একটা শক্তি, ঢাকা ক্রেডিট একটি শক্তি এবং ঐক্যবদ্ধ শক্তি। আর আমরা এই প্রচেষ্টায় শতভাগ সফল।”
তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন নেতৃত্ব গড়ে তুলবো। সমাজের মধ্যে নেতৃত্ব ও দক্ষতাকে ছাড়িয়ে দিতেই আমাদের এই যুব উৎসব-২০২৫ এর আয়োজন করা হয়েছিল এবং এই ধারা আমাদের পক্ষ থেকে অব্যাহত থাকবে।’

উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যুব উৎসবের ধন্যবাদ ও মূল্যায়ণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। যুব নেতৃবৃন্দের কথায় উঠে আসে যুব উৎসবের সফলতা, কিছু ব্যর্থতা, সার্থকতা, আগামীর করণীয় ও বর্তমানের যুবদের নিয়ে করণীয়।
যুবনেতা সোহেল কর্ণেলিয়াস গমেজ বলেন, ‘আমাদের এই যুব উৎসব-২০২৫ ঢাকা ক্রেডিটের জন্য একটি ইতিহাস হয়ে থাকবে। আমি আনন্দিত যে এই ইতিহাসের আমি একজন গর্বিত আয়োজক এবং আমরা প্রত্যেকেই এক একজন আয়োজকের ভূমিকায় ছিলাম।’
আদিত্য জন রড্রিগস যুব উৎসব-২০২৫ আয়োজনের জন্য ঢাকা ক্রেডিটের পরিচালনা পরিষদকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমাদের এই প্রোগ্রামটি যে মাত্রায় বড় আয়োজন হয়েছে সেক্ষেত্রে প্রত্যাশার চাইতেও ভালো এবং সাফল্যমন্ডিত হয়েছে। এতো বড় উৎসবে সামান্য কিছু ত্রুটি থাকবেই।”
তিনি বলেন, এই আয়োজন যেন এখানেই শেষ হয়ে না যায়, আগামী দিনে এই ধরণের উৎসব যেন অব্যাহত থাকে এবং আরো বেশি যুবকে যুক্ত করে উৎসবটি করা যায় তাহলে ভলো হবে।

মূল্যায়ন করতে গিয়ে যুবরা বলেন, বর্তমানের সমাজ ব্যবস্থায় যুবদের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই পড়াশোনার প্রতি অনিহা দেখা দিয়েছে, অনেকে মাদকের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। খ্রীষ্টান যুবদের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে বেশি কেউ নেই বা চেষ্টাও নেই। যুব প্রতিনিধিরা ঢাকা ক্রেডিটকে এই বিষয়গুলোর প্রতি দৃষ্টি দেয়ার অনুরোধ জানান।
প্রস্তাবনায় উঠে আসে, আগামীতে পুরো বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধি নিয়ে যেন যুব উৎসবটি করা হয়।
এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের বোর্ড ডিরেক্টর নিরাপদ হালদার, মনিকা গমেজ ও মনোজ ক্লেমেন্ট গমেজ। আরো উপস্থিত ছিলেন ক্রেডিট কমিটির চেয়ারম্যান উমা ম্যাগডেলিন গমেজ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুপারভাইজরি কমিটির সেক্রেটারি সুহৃদ গমেজ, সদস্য পংকজ লরেন্স কস্তা, মারিয়া ডি’ কুনা ও মলয় নাথ।

































































