শিরোনাম :
নাটোরের শিবপুরে মা-মারিয়ার মূর্তি ভাঙচূড়
নাটোরের মহিপাড়া ধর্মপল্লীর শিবপুর উপধর্মপল্লীতে কুমারী মারিয়ার মূর্তি ভাঙচুড়ের ঘটনা ঘটেছে। ২৫ জুন দুর্বৃত্তরা এই জনঘণ্য ঘটনা ঘটায়।
রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের অধিনে মহিপাড়া ধর্মপল্লী। মহিপাড়া থেকে ১০ কিমি. দূরত্বের উপধর্মপল্লী শিবপুরে ৪৭ টি খ্রিষ্টান পরিবার বাস করছে। খবরে জানা যায়, দুর্বৃত্তরা বাইবেল ও প্রার্থনার বই গির্জাঘর থেকে বের করে পাশের ধানখেতে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়দের ধারণা, ২৫ জুন রাতে দুর্বৃত্তরা এ জঘণ্য কাজটি করতে পারে।
আজ সকালে খবর পেয়ে নাটোর সদর থানার একটি পুলিশি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা স্থানীয়দের আশ্বাস দেন যে, এই ঘৃণ্যতম ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে। ঘৃণ্যতম এই কাজে স্থানীয়দের মনে ধর্মীয় অনুভূতির আঘাত লাগে, যার ফলে তারা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। এ সময় এলাকাবাসী দ্রুত দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানায়।
কারিতাস কর্মী দিলীপ বিশ্বাস জানান, ‘মা-মারিয়ার ভাঙ্গা মূর্তির কাছে স্থানীয় কাটেখ্রিষ্টর চশমার কাভার পাওয়া গেছে। এ কারণে সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে।’
এদিকে মহিপাড়া ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত বার্ণাড রোজারিও বলেন, ‘রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা সকালে খবর পেয়েছি। গির্জার দরজা জানালা ভেঙে কুমারী মারীয়ার মূর্তি, ধর্মীয় প্রার্থনা ও গানবই বাইরে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।’
‘এ ব্যাপারে নাটোর সদর থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। থানায় জিডি করতে গেলেও এখনো পর্যন্ত জিডি করা হয়নি। শিবপুর গ্রাম থেকে জিডি করতে গেলে কাটেখ্রিষ্ট মাষ্টার সুশীল মার্ডীকে (৪৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় রাখা হয়’ বলেন ফাদার বার্ণাড।
নাটোর থানার এসপি রাজশাহী থেকে ফিরে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলে জানায় নাটোর সদর থানা কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ দল পরিদর্শন শেষে মা মারিয়ার মূর্তিটি থানায় নিয়ে যায়।
আরবি.আরপি. ২৬ জুন ২০১৮