ঢাকা ,
বার : মঙ্গলবার
তারিখ : ২৮ অক্টোবর ২০২৫
বাংলা : ১৩ কার্তিক ১৪৩২
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ঢাকা ক্রেডিট পথ চলার ৭০ বছর: জমকালো আয়োজনে ঢাকা ক্রেডিটের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

পথ চলার ৭০ বছর: জমকালো আয়োজনে ঢাকা ক্রেডিটের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

0
807

ডিসিনিউজ ।। ঢাকা

জমকালো আয়োজেন পালন করা হলো দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা (ঢাকা ক্রেডিট)-এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।

৩ জুলাই, তেজগাঁও চার্চ কমিউনিটি সেন্টারে সমিতির সেক্রেটারি মাইকেল জন গমেজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রেসিডেন্ট ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া।

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমবায় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নিবন্ধক (সমিতি ব্যবস্থাপনা) জনাব জেবুন নাহার, গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় যুগ্ম-নিবন্ধক জনাব মো. কামরুজ্জামান।

এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি ও ঢাকা ক্রেডিটের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, সমবায় অধিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক (প্রশাসন) মোছাম্মত নূর-ই-জান্নাত, তেজগাঁও হলি রোজারি চার্চের পাল-পুরোহিত জয়ন্ত এস. গমেজ, ঢাকা ক্রেডিটের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভস্ (কাককো) লি:’র সাবেক চেয়ারম্যান পংকজ গিলবার্ট কস্তা, কাককো লি:’র চেয়ারম্যান টুটুল পিটার রড্রিক্স, দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি:’র চেয়ারম্যান আগষ্টিন প্রতাপ গমেজ, ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট পাপড়ী দেবী আরেং, ট্রেজারার সুকুমার লিনুস ক্রুশ প্রমুখ।

এ ছাড়াও ঢাকা ক্রেডিটের বোর্ড অব ডিরেক্টর, ক্রেডিট কমিটি ও সুপারভাইজরি কমিটির সদস্যসহ হাজারো সদস্যবৃন্দ উপস্থিত থেকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আনন্দ সহভাগিতা করেন।

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া বলেন, ‘৭০ বছরের এই মহতী ক্ষণে ঢাকা ক্রেডিটের প্রতিষ্ঠাতা ফাদার চার্লস জে. ইয়াং সিএসসি এবং প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যবৃন্দদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি। তিনি যে বীজটি ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩ জুলাই বপন করেছিলেন আজ তা এই ৭০ বছরে ফুলে-ফলে সুরভিত। সেদিন মাত্র ২টি প্রডাক্ট, ৫০ জন সদস্যের ২৫ টাকা মূলধন নিয়ে সমিতি যাত্রা শুরু করেছিল আজ এই সমিতির ৮৬টি প্রডাক্ট ও প্রকল্প, প্রায় ৪৭ হাজার সদস্যের প্রায় ১৫শ কোটি টাকার মূলধন রয়েছে।’

‘বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সমবায়ের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে ৩০০ শয্যার ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল চিকিৎসা সেবা দিয়ে যা”েচ্ছ। হাসপাতালটিতে ৭২ জন কনসালটেন্ট/ ডাক্তার রয়েছে। বৃহত্তর স্বাস্থ্য আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত করতে হাসপাতালটি ইতিমধ্যে ৭০টি সমবায় সমিতি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে কর্পোরেট চুক্তি করেছে।

এ ছাড়াও ডিভাইন মার্সি নার্সিং ইনস্টিটিউট ৩০জন শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। ডিভাইন মার্সি মেডিকেল কলেজের জন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যা খুব শিঘ্রই শুরু হবে’ বলেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট কোড়াইয়া আরো বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়মুখী করতে শিশু-কিশোরদের জন্য আকর্ষণীয় দু’টি প্রকল্প বী-সেভার্স ও স্মার্ট-সেভার্স রয়েছে, যেখানে বছরে ৬% হারে মুনাফা প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও যুবক-যুবতীরা যেন বিয়ের সময় ঋণগ্রস্ত না হয়, সেই লক্ষে ৯% লাভে বিবাহ সঞ্চয় প্রকল্প রয়েছে। ঢাকা ক্রেডিট শুধু ঋণ দেয় না, ভবিষ্যৎ-ও গড়ে দেয়। প্রতিষ্ঠানটি ৪১৪ জনকে ২ কোটি ৫ লক্ষ টাকা উচ্চশিক্ষা ঋণ, ১৩৭ জনকে ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা প্রফেশনাল ট্রেনিং লোন, ৫২৬ জনকে ৪৫ কোটি ১২ লক্ষ টাকা (দেশে-বিদেশে) উচ্চশিক্ষা সাপোর্ট ঋণ এবং ৯৪১ জনকে ২৬৪ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা ব্যাংক সলভেন্সি লোন প্রদান করেছে। সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত এবং চিকিৎসা খরচ বহনে সহযোগিতা করতে ঢাকা ক্রেডিট স্বাস্থ্যনিরাপত্তা স্কীম চালু করেছে এবং এ স্কীম থেকে ২ হাজার ৯০ জন সদস্য ১০ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকার সুবিধা পেয়েছে। এ ছাড়াও ঢাকা ক্রেডিট ডিজিটাল সেবাগ্রহণ করেছে।’

এ সময় তিনি সকল প্রাক্তন কর্মকর্তা, কর্মী এবং সদস্যবৃন্দদের স্মরণ করেন। তিনি বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে সবাইকে ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান।

সঞ্চালনাকালে সেক্রেটারি মাইকেল জন গমেজ বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিট ৭০ বছরে খ্রিষ্টান সমাজের আর্থ-সামাজিক পরির্তনের সবচেয়ে বেশি ভ‚মিকা রেখেছে। সমাজের দিকে দৃষ্টি নিবন্ধ করলে সহজেই অনুমেয় যে ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দের খ্রিষ্টান সমাজ আর ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের খ্রিষ্টান সমাজ কতটা পরিবর্তন আর পরিপক্ক হয়েছে। কাবুলিয়ালা, সুদখোর, মুনাফা লোভীরা আর খ্রিষ্টানদের পেছনে ফেলে রাখতে পারেনি। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে খ্রিষ্টানরা আজ বাড়ি ও ফ্লাটের মালিক, পাকা বাড়ি, সুন্দর আসবাব, কর্মসংস্থান, শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতি, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উন্নয়নসহ সকল ক্ষেত্রেই খ্রিষ্টান সমাজ এগিয়ে গেছে। যার সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে ঢাকা ক্রেডিট। ঢাকা ক্রেডিটের ৭০ বছরের সাফল্য গাঁথার মতো সমৃদ্ধ ইতিহাস খুব কম প্রতিষ্ঠানেরই রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের ডিভাইন মার্সি হাসপাতাল, রিসোর্ট, জীম, পার্লার, অফিস ব্যবস্থাপনা সফট্ওয়ার, এটিএম বুথ, গেস্ট হাউজ, কমিউনিটি সেন্টার, কৃষি প্রকল্প, বিভিন্ন লোন ও সঞ্চয়ী প্রডাক্ট নিয়ে ঢাকা ক্রেডিট আজ দেশের সকল সমবায়ী প্রতিষ্ঠানের কাছে অনুকরণীয়। জনশ্রæতি রয়েছে; দেশের সমবায় অঙ্গনে যেকোনো নতুন প্রডাক্ট, প্রকল্প ও উদ্যোগ প্রথম ঢাকা ক্রেডিট শুরু করে এবং অন্যান্য সমবায় প্রতিষ্ঠান ঢাকা ক্রেডিটের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তীতে সেই প্রডাক্ট, প্রকল্প ও উদ্যোগ শুরু করে। এতশত অর্জনের পরও এখনো অনেক কিছু করার রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। সামনে রয়েছে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ, সেই সাথে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ। আগামীর চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে, নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টির মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর স্বর্ণালী ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখি।’

অতিরিক্ত নিবন্ধক প্রধান অতিথি জেবুন নাহার উপস্থিত সবাইকে ঢাকা ক্রেডিটের ৭০ বছরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানটিকে তিনি অনন্য বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনাদের অনুষ্ঠানটি এক কথায় অসাধারণ হয়েছে। আমার খুব ভাল লেগেছে। ঢাকা ক্রেডিট যে আলাদা কিছু করে এটাই প্রমাণ। আমি কাককো লি:’র অনুষ্ঠানে গিয়ে শুনেছি ঢাকা ক্রেডিট প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করেছে, কালব্ প্রতিষ্ঠা করেছে ঢাকা ক্রেডিটের অর্থ তহবিল থেকে। এটাই প্রমাণ হয়, ঢাকা ক্রেডিট সব সময়ই ভালকিছু করে। বাংলাদেশের সকল সমিতির মূলধন মিলিয়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা হবে, সেখানে ঢাকা ক্রেডিটেরই একার ১৫শ কোটি টাকা। তার অর্থ ঢাকা ক্রেডিট সব সময়ই অনন্য। আপনার আজকের এই প্রতিষ্ঠার মিলন মেলায় থাকতে পেরে আমি আনন্দিত।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিট যে সমাজ পরিবর্তনে ভ‚মিকা রাখছে তার প্রতীয়মান হয় ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দের সমাজের চিত্র এবং ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের সমাজের চিত্র তুলনা করলেই। আজ ঢাকা ক্রেডিটের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষ উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। আর্থিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে ঢাকা ক্রেডিট উন্নয়ন ঘটিয়ে অবদান রেখে যাচ্ছে।’

‘মানুষের সাংস্কৃতিক, আত্মিক এবং সামাজিক উন্নয়ন খুবই প্রয়োজনীয়। এটা একটি সমন্বিত উদ্যোগ, যা আমরা ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে শুরু করেছি এবং চলমান রয়েছে। আজ ঢাকা ক্রেডিটের দিকে তাকালেই দেখা যায় কতোটা উন্নয়ন ঢাকা ক্রেডিট করেছে। ঢাকা ক্রেডিট একটি মাধ্যম, এই মাধ্য ব্যবহার করে যেন আমরা নিজেদের উন্নয়ন ঘটাতে পারি।

এ দিন শুরুতেই প্রেসিডেন্ট কোড়াইয়া প্রধান অতিথি, গেস্ট অফ অনার এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দদের নিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয়, সমবায় এবং ঢাকা ক্রেডিট পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর ৭০ বছরের ৭ দশক হিসেবে ৭টি মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেক কেটে অতিথিবৃন্দ সদস্যদের সাথে আনন্দ সহভাগিতা করেন। এ ছাড়াও ৭০ বছরকে ইতিহাসের সাক্ষী করে রাখতে ৭০ বছরের পথ চলার সমবার্তার বিশেষ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

‘কর্মসংস্থান আমাদের লক্ষ্য, আত্ম-কর্মসংস্থান আমাদের স্বপ্ন’ স্লোগানকে ধারণ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী পাঁচ জন উদ্যোক্তাকে এ দিন সম্মাননা প্রদান করা হয়। পাঁচ জন সম্মাননাপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা হলেন: অয়ন এন্টার প্রাইজের কর্ণধার আলেক্সান্ডার ঢালী, সাধন পোর্ক মিট সপ’র কর্ণধার রবি বার্ণাড জেড. রোজারিও, রাঙাই মেকওভার বাই সাথী বিউটি পার্লালের কর্ণধার আগাথা সাথী মানখিন, সিমসাং এক্সক্লুসিভ ব্রাইডাল বিউটি পার্লারের কর্ণধার, প্রমিতা সিমসাং এবং সৃষ্টি রেন্ট এ-কার প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার।

এ দিন প্রারম্ভিক প্রার্থনা করেন বোর্ড অব ডিরেক্টর স্টেলা হাজরা এবং সমাপনী প্রার্থনা করেন ক্রেডিট কমিটির চেয়ারম্যান উমা ম্যাগডেলিন গমেজ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় সহযোগিতা করেন ঢাকা ক্রেডিট কর্মী চম্পা মনিকা গমেজ।

শেষে সমিতির ভাইস-প্রেসিডেন্ট পাপড়ী দেবী আরেং সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

এদিন সকালে, তেজগাঁও, ল²ীবাজার, ধরেন্ডা, হাসনাবাদ, পাগাড়, তুমিলিয়া, নাগরী ও শুলপুর গির্জায় বিশেষ খ্রিষ্টযাগ অনুষ্ঠিত হয়। পরে, প্রয়াত কর্মকর্তা-কর্মীদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

তেজগাঁও গির্জায় বিশেষ খ্রিষ্টযাগ অর্পণ করেন তেজগাঁও ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার জয়ন্ত এস. গমেজ এবং সাথে ছিলেন সহকারী পাল-পুরোহিত লেনার্ড রোজারিও।

খ্রিষ্টযাগে ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, ভাইস-প্রেসিডেন্ট পাপড়ি দেবী আরেং, সেক্রেটারি মাইকেল জন গমেজ, বোর্ড সদস্য, বিভিন্ন কমিটির সদস্যবৃন্দ, উপদেষ্টা পরিষদ, সদস্য ও কর্মীবৃন্দ।

খ্রিষ্টযাগের পরে তেজগাঁও কবরস্থানে ঢাকা ক্রেডিটের প্রতিষ্ঠাতা ফাদার চার্লস জে. ইয়াং সিএসসিসহ প্রয়াত কর্মকর্তা-কর্মীদের সমাধীতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদ ও কর্মীবৃন্দ।

তেজগাঁও ধর্মপল্লীর সাথে সাথে ল²ীবাজার, ধরেন্ডা, হাসনাবাদ, পাগাড়, তুমিলিয়া, নাগরী ও শুলপুর ধর্মপল্লীতে বিশেয খ্রীষ্টযাগের পরে সেখাকার কবরস্থানে সমায়িত কর্মকর্তা-কর্মীদের সমাধীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।