ঢাকা ,
বার : রবিবার
তারিখ : ১৭ নভেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা Uncategorized পর্দা উঠলো প্রতিভার অন্বেষণ ২০২৪-এর

পর্দা উঠলো প্রতিভার অন্বেষণ ২০২৪-এর

0
50

ডিসিনিউজবিডি।। ঢাকা

‘শিক্ষার জ্যোতি ও সংস্কৃতির তান, দৃঢ় করুক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের টান’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পর্দা উঠলো ঢাকা খ্রিস্টান ছাত্র কল্যাণ সংঘের ৪৩তম প্রতিভার অন্বেষনের।

৯ অক্টোবর, ঢাকার তেজগাঁও চার্চ কমিউনিটি সেন্টারে পাঁচদিন ব্যাপি প্রতিভার অন্বেষণের শুভ উদ্বোধণ ঘোষণা করে তেজগাঁও হলি রোজারি ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার জয়ন্ত এস. গমেজ। এই সময়ে গেষ্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাট্যকার ফারুক আহমেদ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোর দ্যা জুট এর প্রাক্তণ পরিচালক বার্তা গীতি বাড়ৈ, ছাত্র কল্যাণ সংঘের সভাপতি সানি স্যামসনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

প্রতিভার বিকাশের জন্য প্রয়োজন একটি মঞ্চের এবং এই প্রতিভার অন্বেষণ সেই মঞ্চের সুযোগ আমাদের দিয়েছে। কিন্তু আমরা অনেকেই আবার এই সুযোগ নেই না। আমরা এই মঞ্চটাকে ব্যবহার করে দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদান রাখতে পারি, বলেন ফাদার জয়ন্ত এস. গমেজ।

“এই শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক চর্চা আমাদের সুন্দর মনের মানুষ করে গড়ে তুলতে পারে।” উল্লেখ করেন ফাদার জয়ন্ত।

ছাত্র জীবন থেকেই শিল্পকলার সাথে যুক্ত ছিলেন উল্লেখ করে জনপ্রিয় নাট্য ব্যক্তিত্ব ফারুক আহমেদ নিজের জীবন অভিজ্ঞতা উপস্থিত প্রতিযোগীদের মাঝে তুলে ধরেন।

“মানুষের মানসিকতার বিকাশের জন্য সংস্কৃতি চর্চার কোনো বিকল্প নেই, একই সাথে শিক্ষাও অপরিহার্য। আর শিক্ষা অর্জনের জন্য প্রয়োজন বেশি বেশি বই পড়া।” বলেন ফারুক আহমেদ

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, এমন কোনো সংস্কৃতি চর্চার মানুষ নেই যারা দিনে সংস্কৃতি চর্চা করে আর রাতে চুরি, ডাকাতি করে। “অতএব আমরা যদি সংস্কৃতি চর্চা করতে চাই তাহলে আমাদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার প্রয়োজন, আর এর জন্য একাডেমিক বইয়ের বাইরের বইও আমাদের পড়তে হবে।”

৯ থেকে ১৩ অক্টোবর, পর্যন্ত চলমান এই প্রতিভার অন্বেষণে বিভিন্ন শ্রেণীভেদে আবৃত্তি, ছড়াগান, দেশাত্মবোধক গান, গল্প বলা, ধারাবাহিক গল্প বলা, নির্ধারিত বক্তৃতা, উপস্থিত বক্তৃতা, একক অভিনয়, সাধারণ জ্ঞান, দেয়াল পত্রিকা, যন্ত্র সংগীত, চিত্রাঙ্কণ, নৃত্য ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগে প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করবে।

ছাত্র কল্যাণ সংঘের সভাপতি স্যামসন বলেন, “এই সংঘটি একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন যারা প্রায় অর্ধশত বছর পার করছে।”

তিনি প্রতিযোগীদের আহŸান করেন, ভালোবাসা দিয়ে ও অন্তর থেকে এই প্রতিভার অন্বেষণে অংশগ্রহণ করার জন্য।

“আপনারা আমাদের পাশে ভালোবাসা নিয়ে দাঁড়ালে আমরা সামনের দিনগুলোতে এই ধরণের আয়োজনে উৎসাহ পাব।” তিনি ঢাকা ক্রেডিটসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যারা প্রতিভার অন্বেষণ আয়োজনে সহায়তা করেছে তাদের ধন্যবাদ জানান।