শিরোনাম :
পাঠ্যবই থেকে প্রগতিশীল লেখকদের লেখা বাদ, কেন বেইআইন নয়: হাইকোর্টের রুল
প্রথম থেকে নবম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে স্বনামধন্য লেখকদের লেখা বাদ দিয়ে আনা পরিবর্তন কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৬ মার্চ) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ রুল দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ও শিক্ষাবিদ মমতাজ জাহান এ রিট আবেদন করেন। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ, সৈয়দ মামুন মাহবুব ও মোস্তাফিজুর রহমান খান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুখলেছুর রহমান।
চলতি শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে বিভিন্ন ভুলভ্রান্তি পরিলক্ষিত হয়। পাশাপাশি কয়েকটি পাঠ্যপুস্তক থেকে নামকরা কয়েকজন প্রগতিশীল লেখকের কিছু গল্প-কবিতা বাদ দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে আন্দোলন চলছে। অভিযোগ উঠেছে, কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক একটি সংগঠন পাঠ্যবই থেকে যেসব বিষয় বাদ দেওয়ার দাবি করেছিল, এবারের পরিবর্তন তার সঙ্গে মিলে গেছে। এর মাধ্যমে পাঠ্যবইয়ের কোনো কোনো লেখায় সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটেছে। এ জন্য বিভিন্ন মহল থেকে এই পরিবর্তন বাদ দিয়ে আগের মতো বই দেওয়ার জোর দাবি করা হচ্ছে।
এসএস/আরবি/৬ মার্চ, ২০১৭