শিরোনাম :
‘ফাদার শংকর ছিলেন একজন ভালো ও সুন্দর মনের মানুষ’ চির নিন্দ্রায় শায়িত হলেন হলিক্রস সম্প্রদায়ের ফাদার লেনার্ড শংকর রোজারিও
ডিসিনিউজবিডি।। ভাদুন
ঢাকার অদূরে ভাদুনের (ফাদার টেক) হলিক্রস সম্প্রদায়ের কবরস্থানে চিরনিন্দ্রায় শায়িত হলেন নটরডেম বিশ^বিদ্যালয় বাংলাদেশের রেজিষ্ট্রার ফাদার লেনার্ড শংকর রোজারিও সিএসসি।
২৩ জুন, বিকালে ফাদার টেকের চ্যাপালে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া খ্রিষ্টযাগের পর ফাদার শংকর-এর মরদেহ সমাহিত করা হয় হলিক্রস ফাদারদের করবস্থানে।
ফাদার, সিষ্টার, ব্রাদার এবং শত শত খ্রিষ্টভাক্তের প্রার্থনার মধ্য দিয়ে ফাদারের শেষকৃত্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ফাদার শংকর ২০ জুন, ৫৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা-এর প্রেসিডেন্ট ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, ঢাকা ক্রেডিটের সুপারভাইজরি কমিটির সেক্রেটারি সুহৃদ গমেজ ফাদার রোজারিও’র শেষ কৃত্যানুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন।
ফাদার শংকর রোজারিও’র শেষকৃত্যানুষ্ঠানের খ্রিষ্টযাগে পৌরহিত্য করেন হলিক্রস ফাদার সম্প্রদায়ের সুপিরিয়র ফাদার জর্জ কমল রোজারিও সিএসসি।
সুপিরিয়র বলেন, ফাদার শংকর যে সুন্দর ও ভালো মনের মানুষ ছিলেন সেটার জন্যই আজ এখানে তার শেষ বিদায়ে এতো মানুষ উপস্থিত হয়েছেন।
“যে ফুলগুলো এখন সেবা দিবে, সুবাষ ছড়াবে সেগুলোকে ঈশ্বর কেন তুলে নিচ্ছেন, বড় কষ্ট হয়। কিন্তু বিশ্বাস করি ফাদার শংকর গমের দানার মত। তিনি বেঁচে থাকলে একটিই থাকতেন কিন্তু মারা যাওয়াতে অনেক মানুষ শিক্ষা লাভ করবে।” বলেন ফাদার জর্জ কমল
তিনি বলেন, মৃত্যুই হলো অনন্ত জীবনের প্রবেশ দ্বার এবং ফাদার শংকর তার মৃত্যুর মধ্যেদিয়ে অনন্ত জীবন লাভ করবেন।
ফাদার শংকর ছিলেন একজন ব্যতিক্রমী মানুষ, পড়াশোনার প্রতি ছিল তার প্রবল আগ্রহ বলেন ফাদার জেমস ক্রুজ।
তিনি বলেন, তিনি ঈশ্বরের বাণী প্রাচার করেছেন, মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন এবং সেবা দিয়েছেন। অনেক মানুষকে খ্রিষ্টের পথে চলতে পথ দেখিয়েছেন।
ফাদারের শেষ কৃত্যানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-আপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি:-এর চেয়ারম্যান আগষ্টিন প্রতাপ গমেজ, কাককো লি:-এর সাবেক চেয়ারম্যান পংকজ গিলবার্ট কস্তাসহ খ্রিষ্টান সমাজের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের রাঙামাটিয়া ধর্মপল্লীর সন্তান ফাদার রোজারিও ছোট সাতানী গ্রামে ১৯৬৭ সালের ১১ ফেব্রæয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯০ সালে তিনি তার ব্রতীয় জীবনের প্রথম ব্রত গ্রহণ করেন এবং ১৯৯৮ সালের ২ জানুয়ারি যাজক পদে অভিষিক্ত হন।
কর্মজীবনে তিনি পালকীয় সেবার পাশাপাশি করেছেন শিক্ষকতা। তিনি সর্বশেষ কাথলিক মন্ডলী পরিচালিত বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়-এর রেজিষ্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর আগে তিনি নটরডেম কলেজ ঢাকা-এর ভাইস-প্রিন্সিপাল ছিলেন।
































































