ঢাকা ,
বার : মঙ্গলবার
তারিখ : ২৮ অক্টোবর ২০২৫
বাংলা : ১২ কার্তিক ১৪৩২
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ বনপাড়াতে সেমিনার ও খ্রীষ্টযাগের মাধ্যমে ধন্যা মারীয়ার জন্মোৎসব পালিত হয়েছে

বনপাড়াতে সেমিনার ও খ্রীষ্টযাগের মাধ্যমে ধন্যা মারীয়ার জন্মোৎসব পালিত হয়েছে

0
258

লর্ড রোজারিও।। বনপাড়া

‘পুণ্যবতী মারীয়া: দয়াময়ী মাতা ‘ মূলসুরের আলোকে ধন্যা মারীয়ার জন্মদিন উপলক্ষে  বনপাড়া ধর্মপলীর আয়োজনে ও হলি ফ্যামিলী রোজারি মিনিস্ট্রি রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের সহযোগিতায় লুর্দের রাণী মারীয়ার ধর্মপল্লী বনপাড়াতে অনুষ্ঠিত হলো অর্ধদিবসব্যাপী বিশেষ সেমিনার ও খ্রিস্টযাগ।

১১ সেপ্টেম্বর, অনুষ্ঠিত সেমিনার ওও খ্রীষ্টযাগে উপস্থিত ছিলেন বনপাড়া ধর্মপল্লীর পালপুরোহিত ফাদার দিলীপ এস কস্তা, রাজশাহী হলিক্রস রোজারি মিনিস্ট্রির পরিচালক ফাদার অনিল মারান্ডী, বনপাড়া সেমিনারির পরিচালক ফাদার সুরেশ পিউরিফিকেশন, ফাদার উজ্জ্বল রিবেরু, ৪ জন সিস্টার ও মারীয়া সংঘের সদস্যসহ মোট  ৮৫ জন।

উল্লেখ্য মা- মারীয়ার জন্মদিন উপলক্ষে মারীয়া সংঘের মায়েরা আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি স্বরুপ নয়দিন নভেনা করেন। অর্ধদিবসব্যাপী সেমিনারের সূচনা হয় পবিত্র খ্রিস্টযাগের মধ্য দিয়ে।  খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন ফাদার দিলীপ এস কস্তা। 

ফাদার দিলীপ এস কস্তা তার উপদেশে বলেন,” মা মারীয়ার জন্মোৎসব কাথলিক মন্ডলীর অন্যতম আনন্দের দিন, যা প্রতি বছর ৮ই সেপ্টেম্বর মহাধুমধামে পালিত হয়। ঐতিহ্য অনুসারে, ধার্মিক দম্পতি যোয়াকিম ও আন্না দীর্ঘ প্রতীক্ষা, প্রার্থনা ও বিশ্বাসের পর ঈশ্বরের আশীর্বাদে কন্যা সন্তানেরূপে মারীয়াকে লাভ করেন।

তিনি বলেন, মা মারীয়ার এই জন্ম মানবজাতির ইতিহাসে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে, কারণ তাঁর মাধ্যমেই পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন আমাদের পরিত্রাণদাতা যীশু খ্রিস্ট। চতুর্থ শতাব্দী থেকেই পূর্ব মন্ডলীতে এই উৎসব পালিত হতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। “

মূলসুরের আলোকে ফাদার সুরেশ পিউরিফিকেশন বলেন, ” মা মারীয়া তার পুত্রের ন্যায় আমাদের সকলকে ভালবাসেন তাই আমরা সবসময় মায়ের দ্বারস্থ হই এবং তার কাছে মিনতি জানাই।”

ফাদার অনিল মারান্ডী জপমালা প্রার্থনা বিষয়ে বলেন,” আমাদের বিপদে আপদে জপমালা প্রার্থনা বড় একটি সহায়ক। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল এ বছর লুর্দে তীর্থ করার আর সেখানে লক্ষ্য করেছি মা মারীয়ার প্রতি মানুষের কত বিশ্বাস। তাই আসুন আমরা আবার পরিবারে জপমালা প্রার্থনা শুরু করি।”

অংশগ্রহণকারী মারীয়া সংঘের সদস্য রেখা কোড়াইয়া তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন,” আমি প্রতিনিয়ত মা মারীয়ার কাছে প্রার্থনা করি আর অনেক ফলও পেয়েছি। মা মারীয়া আমাকে তার সন্তানের মতোই আগলে রেখেছেন।আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে মা মারীয়ার সম্পর্কে অনেক কিছু শুনে আরো ভালো লাগছে।”