শিরোনাম :
বন্ধ ঘরে চলছে কোচিং: হঠাৎ ম্যাজিস্ট্রেট হাজির
সকল প্রকার কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার। এরই মধ্যে কিছু কিছু কোচিং সেন্টার তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের।
কিন্তু এই নির্দেশনা না মেনে বরিশাল নগরীর কয়েকটি কোচিং সেন্টারে নানা কৌশলে পাঠদান চলছিল। কোচিং সেন্টারগুলোর দরজায় তালা দিয়ে বন্ধ করে এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের গোপনীয়তা রক্ষার অনুরোধে চলছিল পাঠদান।
এমন সংবাদ পেয়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরীতে অভিযানে নামে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সহায়তায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় পাঁচটি কোচিং সেন্টার বাইরে থেকে তালাবদ্ধ রেখে ভেতরে পাঠদান কার্যক্রম চালালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট হঠাৎ গিয়ে কৌশলে ধরে ফেলে। পরে পাঁচটি কোচিং সেন্টারকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করে কোচিং সেন্টার খোলা রাখায় নগরীর গোড়াচাঁদ দাস রোড এলাকায় ইডেন গার্লস একাডেমি কোচিং সেন্টারের মালিক মো. তানজিল খান, বিএম কলেজ রোড এলাকার সাইফুরস কোচিং সেন্টারের হারুন অর রশিদ, বৈদ্যপাড়া এলাকার নলেজ একাডেমির মাহফুজুর রহমান, অনির্বাণ কোচিং সেন্টারের অঞ্জন বণিক ও বিসিএস একাডেমির মো. মিন্টুকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।