শিরোনাম :
বাংলাদেশে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য কাথলিক চার্চের শোক প্রকাশ
ডিসিনিউজডেস্ক।।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয়ে কমপক্ষে ৩১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্যাথলিক চার্চ এবং বাংলাদেশে ভাতিকানের রাষ্ট্রদূত শোক প্রকাশ করেছেন।
২১ জুলাই, দেশের রাজধানী ঢাকায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি জেট বিমান বিধ্বস্ত হয়, তখন শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাশে ছিল। এতে এই প্রাণহানী ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।
২২ জুলাই, এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে মোট ৩১ জন নিহত এবং ১৬৫ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ২৫ জন শিক্ষার্থী, একজন পাইলট এবং একজন শিক্ষক রয়েছেন। ২২ জুলাই, সকাল পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে কমপক্ষে ৭৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ স্বাস্থ্য সহকারী মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান।
এই ঘটনায়, বাংলাদেশ ক্যাথলিক বিশপ সম্মিলনীর সম্পাদক বিশপ পল পনেন কুবি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, ক্যাথলিক চার্চের প্রতিটি সদস্য, বাংলাদেশের সকলের সাথে, বিমান দুর্ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত ও ব্যথিত।

বিবৃতিতে, সিবিসিবি সচিব বিশপ কুবি বলেন, “শিশু এবং অন্যান্যদের অকাল, অবাঞ্ছিত এবং অকল্পনীয় মৃত্যু মেনে নেওয়া পিতামাতা, অভিভাবক এবং আত্মীয়স্বজনের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। এই মহান শোকে, বাংলাদেশ ক্যাথলিক চার্চ নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করছে; সকল আহতদের সুচিকিৎসা এবং সুস্থ জীবনে ফিরে আসার কামনা করে; সরকার, প্রশাসন এবং সকল সহৃদয় ব্যক্তিদের প্রতি নিহতদের পরিবার এবং আহতদের সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আহতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানায়।”
বিবৃতিতে নিহত ও আহতদের এবং তাদের পরিবারের জন্য বিশেষ প্রার্থনা ও সমবেদনা জানানোর আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, “সর্বোপরি, বাংলাদেশের কাথলিক চার্চ প্রার্থনা করে এবং আশা করে যেন ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা আর না ঘটে ।”
ঢাকায় নিযুক্ত ভাতিকানের রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ কেভিন র্যান্ডাল, বাংলাদেশ সরকারকে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন , হলি সি-এর পক্ষ থেকে এবং আমার ব্যক্তিগত পক্ষথেকে গতকাল, ২১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে সংঘটিত মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমি গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি, যার ফলে প্রাণহানি ঘটেছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু ছিল এবং অন্যরা আহত হয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে যে, জাতীয় শোকের এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জনগণের সাথে যোগাযোগ রেখে, আমি আপনার এবং আপনার মাধ্যমে শোকসন্তপ্ত পরিবার এবং সমগ্র জাতির প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আমার প্রারর্থনা আশ্বাস দিচ্ছি।

































































