শিরোনাম :
বান্দরবানের ফাতেমা রাণী কাথলিক গির্জার জমি প্রভাবশালীর দখলে
অবৈধভাবে ফাতেমা রাণী কাথলিক ধর্মপল্লীর ৫ একরের অধিক জমি প্রায় ৪ বৎসর যাবৎ শহরের প্রভাবশালী বৌদ্ধ ধর্মগুরু উচহ্লা ভান্তের দখলে আছে।
এ নিয়ে মামলা চললেও দীর্ঘসূত্রিতার কারনে জমির বৈধ মালিক গীর্জা কর্তৃপক্ষ জমির দখল নিতে পারছেন না।
২০১৪ সালের মে মাসে উচহ্লা ভান্তের অনুগত কিছু লোক চার্চের জমির ধান কেটে নেয় এবং চাষীদের মারধোর করে। একরাতের মধ্যে টিনের ঘর তুলে জমির দখল নেয়।
চার্চ কর্তৃপক্ষ উক্ত জমি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরই স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে ক্রয় করে।
এ বিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে চার্চ স্মরণাপন্ন হলে কোর্ট ফাতেমা রাণী কাথলিক চার্চের পক্ষে রায় দেয়। রায় পাওয়ার পরও চার্চ উক্ত জমি দখল নিতে পারেনি।
ফাদার জেরোম ডি’রোজারিও জানান, তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনাব বীর বাহাদুর এমপি বরাবর পত্র দিয়েছেন দাগ নং ৩৪০ নং তারাছা মৌজা, হোল্ডিং নং ৫৮/৫৯, খতিয়ান ১৩৫, ৫.৫৭ একর প্রথম শ্রেনীর জমি উপঞঞা জোত থের প্রকাশ উচহ্লা ভান্তে গং কর্তৃক জমি জবর দখল থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত উক্ত জায়গা দখলমুক্ত হয়নি।
তিনি জানান, জমি সংক্রান্ত সকল বৈধ কাগজপত্র আমাদের কাছে রয়েছে।
তবে, খুব শিঘ্রই জায়গা চার্চের দখলে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন চার্চ কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায়, উক্ত ভান্তে নিজের প্রভাব খাটিয়ে অনেক নিরীহ মানুষের জমিজমা নিজের দখলে রেখেছেন।
আরবি.এমডি. ৫ মে, ২০১৮