শিরোনাম :
বিদেশে বসে ঢাকা ক্রেডিটের সাথে লেনদেন
সুমন কোড়াইয়া || ঢাকা
যোয়াকিম গমেজ থাকেন আমেরিকা। প্রতি মাসে তিনি ২০ হাজার টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে ঢাকা ক্রেডিটে জমা করেন। তার মধ্যে এ মাসে তিনি সঞ্চয় ৮০০ টাকা, শেয়ার ২০০ টাকা, মিলিওনিয়ার ডিপোজিট স্কীম ২৬৫০ টাকা, ঋণ ফেরৎ সুদসহ ১৬,৩৫০ টাকা জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি ইমেলে তিনি ব্যাংকে জমা রশিদটি মোবাইল ফোনে ছবি তুলে তা পাঠিয়ে দিয়েছেন। প্রতি মাসে তিনি সুদূর আমেরিকা বসে এভাবেই তিনি ঢাকা ক্রেডিটে টাকা জমা দিচ্ছেন।
ফাবিয়ান পিউরীফিকেশন কাজ করেন একটি আইএনজিও-তে। থাকেন কক্সবাজারে। তিনিও প্রতি মাসে ওয়ান ব্যাংকে ঢাকা ক্রেডেটে নির্ধারিত হিসাবে টাকা জমা দেন। কক্সবাজারে বসেই তিনি ঢাকা ক্রেডিটের লেনদেন সম্পন্ন করেন।
যোয়াকিম গমেজ ডিসিনিউজকে বলেন, ‘এক সময় আমি আমার আত্মীয়ের মাধ্যমে ঢাকা ক্রেডিটে টাকা জমা দিতাম। এতে আমার সময় বেশি ব্যয় হতো। এ ছাড়া যাকে দিয়ে কাজটি করাচ্ছি তিনি কিছুটা বিরক্ত বোধ করতেন। তাই নিজের কাজ নিজেই করি। ঢাকা ক্রেডিটের সাথে যোগাযোগ করি, তখন অফিস থেকে আমাকে একটি ব্যাংক হিসাব নম্বর দেওয়া হলো। বলা হলো সেখানে টাকা জমা দিতে। জমার রশিদ ইমেলে পাঠাতে এবং কোন খাতে কত জমা দিবো তা বিস্তারিত উল্লেখ করতে। এভাবে আমি প্রায় তিন বছর ধরে ঢাকা ক্রেডিটে টাকা জমা দিচ্ছি। বিদেশে বসে ঢাকা ক্রেডিটে আমার সঞ্চয়ী হিসাবে টাকা জমা করছি।’
তিনি জানান, প্রতিবারই ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা প্রেরণের পর ঢাকা ক্রেডিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা তার হিসাবে টাকা জমা রাখেন এবং তা তার ইমেলে পাঠান। এছাড়া যোয়াকিম ঢাকা ক্রেডিটে এ্যাপের মাধ্যমে জানতে পারেন তার হিসাবের আপডেট তথ্য।
ফবিয়ান আগে ঢাকায়ই থাকতেন। কক্সবাজারে চাকরি হওয়ায় স্বপরিবারে তিনি সেখানেই থাকেন। ঢাকা ক্রেডিট থেকে তিনি জমি ক্রয়ের উদ্দেশে ঋণ নিয়েছিলেন। সেই টাকার কিস্তি দিতে তিনি কয়েকবার কক্সবাজার থেকে ঢাকায় এসেছেন। ঢাকা আসা-যাওয়াতে তার প্রায় দুই-তিন হাজার টাকা খরচ হয়ে যেতো। তিনি বিকল্প পথ খুঁজলেন। এক বন্ধু তাকে বললেন, ব্যাংকের মাধ্যমে তিনি ঢাকা ক্রেডিটে টাকা কক্সবাজারে থেকেই জমা দিতে পারেন। ফাবিয়ান বলেন, ‘আমি এখন প্রতি মাসে ব্যাংকের মাধ্যমে ঢাকা ক্রেডিটের কিস্তিসহ সকল সঞ্চয় জমা দেই। এতে আমার ব্যয় কমেছে, সময়ও বেঁচেছে। যারা ঢাকার বাইরে থাকেন, বা অতিরিক্ত ব্যস্ত তারাও ব্যাংকের মাধ্যমে অফিসে না গিয়ে ঢাকা ক্রেডিটে টাকা জমা দিতে পারেন। এতে সময় ও টাকা দুই-ই বাঁচে।’
ঢাকা ক্রেডিটের একাউন্টস বিভাগের এ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার-ইনচার্জ লিপি রোজারিও ডিসিনিউজকে জানান, যোয়াকিম, ফাবিয়ানের মতো প্রায় একশত জন ঢাকা ক্রেডিটের সদস্য অফিসে না এসেও দেশের বাহিরে ও দেশের ভেতর থেকে ঢাকা ক্রেডিটে টাকা জমা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিট দেশের বাহিরে অবস্থানরত সদস্যদের সেবা দিতে আমরা ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা জমা নিচ্ছি। তবে দেশের ভেতরে যারা আছেন তারাও আমাদের নিকট ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে পারেন। আমাদের উদ্দেশ্য সদস্যরা যেন সরাসরি, সহজে ও দ্রত সময়ের মধ্যে যেন টাকা জমা দিতে পারেন এবং ঢাকা ক্রেডিটের সহিত নিরবিচ্ছিন্ন সংযুক্ত থাকতে পারেন।’
লিপি রোজারিও বলেন, ঢাকা ক্রেডিট একজন সদস্যের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সেবা দিয়ে থাকে। এখান থেকে সদস্যরা বিভিন্ন মেয়াদে টাকা সঞ্চয় করা থেকে বিদেশে গিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য ঋণ পর্যন্ত নিতে পারেন। ঢাকা ক্রেডিট থেকে সলভেন্সি ঋণ নিয়ে বিদেশে গেছেন প্রায় তিন শত শিক্ষার্থী, যারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, আমেরিকা, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় অবস্থান করছেন। তাদের অনেকেই ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি ঋণের কিস্তি পরিশোধ করছেন।
লিপি রোজারিও আরো বলেন, ঢাকা ক্রেডিটের রয়েছে ৭৫টির অধিক প্রডাক্ট ও প্রকল্প। সদস্যরা বিদেশে বসে আমাদের সেবা গ্রহণ করতে পারেন এবং ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে পারেন। তারা বিদেশে বসে টাকা ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে পারেন ভবিষ্যতের নিশ্চয়তার প্রত্যাশায়।
ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে পারেন। তারা বিদেশে বসে টাকা ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে পারেন ভবিষ্যতের নিশ্চয়তার প্রত্যাশায়।
ঢাকা ক্রেডিটের সদস্যরা বিদেশে বসে ঋণও গ্রহণ করতে পারেন।
যে ব্যাংক একাউন্টে বিদেশে/দেশের ভেতর থেকে টাকা জমা দেওয়া যাবে:
হিসাব নাম: দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ.,ঢাকা
ওয়ান ব্যাংক,কাওরান বাজার শাখা
হিসাব নম্বর: ০১২-৫০৮০৪৩০০০২
ইমেল এড্রেস: cccu.ltd@gmail.com
আরো জানতে ইমেল করুন: cccu.ltd@gmail.com
[wp1s id=”11224″]
ছবি: সমিত ক্রুজ