শিরোনাম :
মধুপুরে আদিবাসীদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ
ডিসিনিউজ ॥ ঢাকা
টাঙ্গাইলের মধুপুরে জাতীয় উদ্যান ও সংরক্ষিত বনভূমির নামে আদিবাসীদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
২৭ জানুয়ারি বিকাল তিনটায় অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ ও সমাবেশ আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং।
সমাবেশ বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) নির্মল রোজারিও বলেন, ‘মধুপুরে যে ঘটনা ঘটেছে তা এই করোনার চেয়ে উৎকন্ঠার। সেখানে আদিবাসীদের উচ্ছেদ করে যে বনায়ন, ইকোপার্ক করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে, সেটা সেখানকার বাঙালি ও আদিবাসীদের জন্য উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার। আমরা চাই না দেশের কোনো নাগরীকদের বাস্তচ্যুত করা হোক। এটা মানবাধিকার ও সংবিধানের সাথে যায় না।”
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে বলেন, কয়েকদিন আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সত্তুর হাজার ভূমিহীন লোককে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে, তাঁর জন্য সরকারকে সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। কিন্তু মধুপুরের আদিবাসী ভাই-বোনদের উচ্ছেদ করার যে নোটিশ দেওয়া হচ্ছে-তাকে আমরা কোনোভাবে গ্রহণ করতে পারি না। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সরকার আদিবাসীদের ভূমির অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।”
বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মহাসচিব ও ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতে আদিবাসী ভাইবোনেরা বন রক্ষা করছে। পক্ষান্তরে আমরা দেখছি, বিভিন্ন প্রমোদখানা নির্মাণের নামে আদিবাসীদের উচ্ছেদ করার পাইতারা করছে। আজ আমরা দাবি করতে চাই আদিবাসীদের ভূমি চিহ্নিত করা হোক। যে ভূমিতে শত শত বছর ধরে আদিবাসীরা বসবাস করছে, তাদের যেন সেইসব জমির কাগজপত্র করে ভোগ দখল করার ব্যবস্থা করা হয়।’
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, ‘আমরা চাই অতিবিলম্বে মধুপুরের গারো, কোচ আদিবাসীদের ভূমি অধিকার ও বনের ওপর যে অধিকার, প্রথাগত ও ঐতিহ্যগত যে অধিকার তা স্বীকার করা হবে। আমরা এই বিষয়ে মানেনীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামরা করছি।’
বিক্ষোভ ও সমাবেশ আরো উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ও নাট্যকার মামুনুর রশিদ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, নকমান্দি গারো কমিউনিটি সেন্টারের সভাপতি থিওফিল নকরেক, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের যুগ্ম মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা, এসোসিয়েশনের মিরপুর থানা শাখার সভাপতি যোসেফ স্বপন চৌধুরী, এসোসিয়েশনের ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডেরিক মলয় নাথ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের জাতীয় কমিটির সদস্য চন্দ্রা ত্রিপুরা, গারো স্টুডেন্ট ফেডারেশনের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি ব্রলিন দফোসহ আরো অনেকে।