শিরোনাম :
‘যীশুর পালক পিতা সাধু যোসেফ ছিলেন ত্যাগী ও ধর্মপ্রাণ মানুষ’: বিশপ শরৎ গমেজ
শুলপুর ধর্মপল্লীর প্রতিপালক সাধু যোসেফের পর্বীয় খ্রীষ্টযাগে বাণী সহভাগিতায় ঢাকার সহকারী বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ বলেন ‘যীশুর পালক পিতা সাধু যোসেফ ছিলেন ত্যাগী ও ধর্মপ্রাণ মানুষ।
২৩ মার্চ (শুক্রবার) নবাবগঞ্জের শুলপুর ধর্মপল্লীর প্রতিপালক সাধু যোসেফের পর্ব পালন করেন স্থানীয় খ্রীষ্টভক্তগণ। সকাল ৯টার খ্রীষ্টযাগে পৌরহিত্য করে বিশপ শরৎ গমেজ।
পর্বীয় খ্রীষ্টযাগের বাণী সহভাগিতায় বিশপ শরৎ বলেন, ’ঈশ্বর মানুষকে ভালোবেসে মানব মুক্তির জন্য তাঁর নিজ পুত্রের পালক পিতা হিসেবে সূতোর মিস্ত্রি সাধু যোসেফকে বেছে নিয়েছেন। তিনি হলেন সকল পবিত্র পরিবারের আদর্শ, মন্ডলীর রক্ষাকর্তা। মানুষের মধ্যে মিলন সমাজ গঠনের প্রকৃত আদর্শ হচ্ছেন সাধু যোসেফ। যিনি মারীয়াকে গর্ববতী হিসেবে গ্রহণ করতে ভয়করেনি, যীশুর প্রাণ রক্ষার জন্য ছুটে বেড়িয়েছেন এক স্থান হতে অন্য স্থান।’
বিশপ বলেন, নিজের নয় ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস এবং তাঁর ইচ্ছায় যোসেফ দারিদ্র জীবন-যাপন, মারীয়া ও যীশুকে প্রতিপালন করেছেন। ঈশ্বর তার নিজ পুত্রকে দরিদ্রতা, সংগ্রাম ও কষ্টের মধ্যদিয়ে বেড়ে সাহায্যে করেছেন যেন প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে পারে।
তিনি আরো বলেন, সাধু যোসেফ ছিলেন আদর্শ স্বামী, শ্রমিক এবং বিশ্বসী পিতা। তিনি কখনো দায়িত্ব পালনে পিছুপা হননি। যিনি প্রত্যেক খ্রীষ্টিয় পরিবারের আদর্শ। একজন দীক্ষিত খ্রীষ্টান হিসেবে আদর্শ পরিবারের পিতা হিসেবে সাধু যোসেফকে আমাদের অনুসরণ করা উচিত।
পর্বীয় খ্রীষ্টযাগে ৬জন পুরোহিত, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সিস্টারগণ, ঢাকা ক্রেডিটের বোর্ড অব ডিরেক্টর রতন পিটার কোড়াইয়া, আশেপাশের ধর্মপল্লীথেকে আগত খ্রীষ্টভক্তসহ হাজারো মানুষ সাধু যোসেফের পর্ব পালন করার উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়।
খ্রীষ্টযাগের শেষে পাল-পুরোহিত ফাদার লিন্টু ফ্রান্সিস ডি’কস্তা সকলকে ধন্যবাদ প্রদান করে।
শুলপুর ধর্মপল্লীর পতিপালক সাধু যোসেফের পর্ব ১৯৯৯সাল থেকে ভাবগাম্বীর্যপূর্ণভাবে পালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে ৩টি যুব সংগঠন, একটি উচ্চ বিদ্যালয় এবং একটি ক্রেডিট ইউনিয়ন রয়েছে শুলপুর ধর্মপল্লীতে।