শিরোনাম :
রবী ঠাকুরের কুঠিবাড়িতে দৃষ্টিনন্দন কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে এগিয়ে চলছে দৃষ্টিনন্দন কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ। ভারতের অর্থায়নে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করছে গণপূর্ত বিভাগ।
কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে গ্রিক থিয়েটারের আদলে একটি দৃষ্টিনন্দন মঞ্চ এবং এমফি থিয়েটার, রয়েছে দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরি কাম ডকুমেন্টেশন সেন্টার, দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট অত্যাধুনিক গেস্টহাউজ, টয়লেট, আনসার শেড ও গ্যারেজ।
প্রবেশ মুখে থাকছে কুঠিবাড়ির আদলে অত্যাধুনিক গেট এবং টিকিট কাউন্টার। ইতিমধ্যে ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান কুঠিবাড়ির কাস্টোডিয়ান মুখলেছুর রহমান। ২০২০ সালে ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন এই কর্মকর্তা।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, আমি কয়েক বার কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছি। আশপাশের মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই বলেছে খুব সুন্দর কাজ হচ্ছে এবং কাজের গুণগত মান অনেক ভালো। কাজ দ্রুত গতিতে হচ্ছে। আগামী বছর কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।
২০১৩ সালের মার্চে মাসে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি শিলাইদহ সফরে এসে কুঠিবাড়ির নানা সমস্যা অনুধাবন করে কমপ্লেক্স নির্মাণে অর্থায়ন করার ইচ্ছে পোষণ করেন। ভারতের রাষ্ট্রপতির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১৫ সালের ৭ জুন প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
২০১৭ সালের ৬ মে কুঠিবাড়ির বকুল তলায় দুই দেশের মধ্যে এ বিষয়ক একটি আর্থিক চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশে নিযুক্ত তৎকালীন ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ভারত সরকারের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতির দেয়া প্রতিশ্রুতিতে কুঠিবাড়ির প্রধান ফটকের সামনে দীর্ঘদিন অন্যের দখলে থাকা ৬ একর জমি উদ্ধার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সেখানেই নির্মিত হচ্ছে এই কমপ্লেক্স ভবন। কমপ্লেক্সের নকশা করেছেন দেশের খ্যাতনামা স্থপতি রবিউল হুসাইন।