শিরোনাম :
লকডাউন রাজধানীর ১ম রেড জোন পূর্ব রাজাবাজার
ডিসি নিউজ, ঢাকা
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের মাত্রা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় এলাকাভেদে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোন করে এর ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে যাচ্ছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে পূর্ব রাজাবাজারকে রাজধানীর প্রথম রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এ এলাকার দিয়ে অঞ্চলভিত্তিক লকডাউন শুরু হলো। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে মঙ্গলবার রাত ১২টার পর পূর্ব রাজাবাজার লকডাউন করা হয়।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান সাংবাদিকদের বলেন, লকডাউন করা এলাকা থেকে কেউ বের হতে পারবে না। ওই এলাকায় কেউ প্রবেশও করতে পারবে না।
ডিএনসিসির ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় মঙ্গলবার পর্যন্ত এলাকায় ৩৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে কেউ মারা যাননি। এ এলাকায় প্রায় ১২ হাজার পরিবারে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজার পরিবার রয়েছে নিম্ন ও নিম্নমধ্য আয়ের মানুষ। যারা দিন এনে দিন খায়।
গণমাধ্যম কর্মীরাও লকডাউন এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্দেশনা দিয়েছে। তবে কোনো গণমাধ্যম কর্মী কিংবা স্বাস্থ্যকর্মী ভেতরে থাকলে তারা কর্মস্থলে যেতে পারবেন। 
সাধারণ যান চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সবকিছু হবে নিয়ন্ত্রিত। আর অসহায় এবং দরিদ্রদের জন্য সিটি কর্পোরেশন থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে। এলাকাবাসীর সেবায় আমাদের প্রশিক্ষিত লোক থাকবে। এর মধ্যে ১৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ করা হয়েছে। একজন স্বেচ্ছাসেবী ২-৩টি বাড়ি দেখভাল করবে। তিনি জানান, পূর্ব রাজাবাজারের নাজনীন স্কুল অ্যান্ড কলেজে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য একটি বুথও হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এলাকায় একটি মাত্র প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ (গ্রিন রোডে অবস্থিত আইবিএ হোস্টেলের পাশের সড়ক) খোলা থাকবে। নির্ধারিত ভ্যানে করে কাঁচাবাজার কেনাবেচার সুযোগ থাকবে। ভাসমান এসব ফুডভ্যান থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী পণ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিয়ে আসা হবে। অসুস্থদের জন্য একটি আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের-ডিএমপি তেজগাঁও জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পূর্ব রাজাবাজার এলাকা লকডাউন করা হচ্ছে। আমরা কার্যকর সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ এলাকায় প্রবেশের ৮টি গেট রয়েছে। এর মধ্যে ৭টি বন্ধ রাখা হচ্ছে। একটি গেট খোলা থাকছে। বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে অনুমতি (কার্ড) দিতে হবে। বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাসায় পৌঁছানোর ব্যবস্থাও রয়েছে।
ছবি: রাফায়েল পালমা
































































