শিরোনাম :
শেরপুরে খ্রিষ্টান কিশোরীর ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে জীবননাশের হুমকি
ময়মনসিংহ কাথলিক ধর্মপ্রদেশের শেরপুরে মরিয়মনগর ধর্মপল্লীর কসবা গ্রামে একজন ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয় গত বছর ৪ ডিসেম্বর। পরে ধর্ষণের অভিযোগে রকি মিয়া (২২) গ্রেফতার হয়। সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে নির্যাতিতা গারো কিশোরী, তার স্বজনসহ গ্রামবাসীদের হুমকি দিচ্ছে রকি মিয়ার লোকজন। তারা বলছে, মামলা তুলে না নিলে আরো ধর্ষণের ঘটনা ঘটবে, এমনকি প্রাণনাশের ঘটনাও ঘটবে।
আরো পড়ুন: ডেঙ্গুকে হেলাফেলা নয়, আরো সতর্কতা প্রয়োজন
গতকাল বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের (বাগাছাস) কেন্দ্রেীয় নেতৃবৃন্দ কসবায় নির্যাতনের শিকার হওয়া মেয়েটির বাড়ি পরিদর্শন করে বিষয়টি সম্পর্কে ভালভাবে অবগত হন। বাগাছাসের সেক্রেটারি অলিক মৃ ডিসি নিউজকে আজ বলেন, ‘আমরা মেয়েটির বাড়ি পরিদর্শনে জেনেছি, ধর্ষক ও তার লোকজন হুমকি দিচ্ছে, মামলা তুলে না নিলে ওই গ্রামে আরো মেয়েকে ধর্ষণ করা হবে, প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’
নির্যাতনের শিকার হওয়া পরিবারটি নিতান্ত গরিব, তারা কোনো আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেননি। সেখানে ৪০টি গারো খ্রিষ্টান পরিবার বসবাস করছে, তারা সকলে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।
দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার উল্লেখ করে অলিক মৃ বলেন, আমরা মেয়েটি ও গ্রামবাসীর নিরাপত্তার দাবী জানাই।’
অলিক জানান, সাধারণ ডায়েরি করার জন্য তারা হুমকির ঘটনা জানানোর জন্য শেরপুর সদর থানায় পরিবারের সদস্যদের সাথে যান কিন্তু ধর্ষক প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য হওয়ায় পুলিশ প্রথমে জিডি নিতে চায়নি, গড়িমসি করেছে।
ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের শেরপুর সদর শাখার চেয়ারম্যান দুলাল মারাক ডিসি নিউজকে বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছিলাম যে, মেয়েটির বোন ও দুলাভাই রণেশ সাংমাকে ধর্ষকের বন্ধুরা হুমকি দিচ্ছে। আমরা কয়েকবার চেষ্টা করেছিলাম জিডি করার কিন্তু পুলিশ ডিজি নেয়নি। ধর্ষক যদি ছাড়া পেয়ে এভাবে হুমকি দেয়, সেটা গ্রামবাসীর নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। আমরা ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’
তিনি জানান, ধর্ষক রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ধর্ষণের মেডিকেল রিপোর্ট দুর্বল করেছে। রিপোর্টে এসেছে যে ধর্ষণের ‘আলামত’ পাওয়া যায়নি। ধর্ষক রকি মিয়ার মা শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারি উৎপলের বাসায় কাজ করাতে ধর্ষণের শিকার খ্রিষ্টান কিশোরী ন্যায্য বিচার হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, তার বাবা রতন মিয়া কিছুদিন আগে ছয় কেজি গাজা নিয়ে আটক হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ক্লাস সেভেনে পড়–য়া মরিয়মনগর ধর্মপল্লীর কবসা গ্রামের কিশোরীকে গত বছর ৪ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান গারো কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে রতন মিয়া। পরে ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়।
বাগাসাছের নেতা অলিক মৃ জানিয়েছেন, পুলিশ নির্যাতনের শিকার মেয়েটির পক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে তারা আন্দোলনের জন্য রাস্তায় নামবেন।
আরো পড়ুন:
সমবায় সমিতিতে ঋণ খেলাপি বড় চ্যালেঞ্জ: বক্তাদের অভিমত
ইতিহাসে সর্বপ্রথম ঢাকা ক্রেডিট অ্যাপ
খ্রিষ্টান সমাজের ৯ জনকে সম্মাননা দিল ঢাকা ক্রেডিট
ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজের সাক্ষাৎকার
এটিএম বুথ চালু করতে যাচ্ছে ঢাকা ক্রেডিট