শিরোনাম :
সন্ত্রাসীদের কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না: লে. কর্ণেল নওরোজ
লেপটেন্যান্ট কর্ণেল নওরোজ হুসিয়ারী উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘সন্ত্রাসীদের কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।’
খাগড়াছড়ি জেলার ৩০ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারী মাটিরাঙ্গা সেনা অধিনায়ক লে. কর্ণেল নওরোজ নিকোশিয়ার বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। পার্বত্য খাগড়াছড়িতে ধর্ম, বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠি নির্বিশেষে পাহাড়ী বাঙালি সহাবস্থান বজায় রেখে বসবাস করছে। যারা বহির্বিশ্বে দেশের সুনাম ক্ষুন্ন করতে দেশের মানুষের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।
খাগড়াছড়ি জোন সদরে অনুষ্ঠিত মাসিক নিরাপত্তা সন্মেলন ও মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পাহাড় নিয়ে একটি আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠন গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কোনো মোটর সাইকেল চলাচল করতে দেয়া হবে না। আগামী এক মাসের মধ্যে মোটর সাইকেলের কাগজপত্র ঠিক করে আনার পরামর্শ দেন তিনি।
‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাগজপত্র ঠিক করা না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইটভাটাগুলোতে কাঠ পোড়ানো নিষিদ্ধ মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকারী নীতিমালা মেনে ইটভাটা পরিচালনার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন-মাটিরাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ জাকির হোসেন পিপিএম, মাটিরাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এমএম জাহাঙ্গীর আলম, মাটিরাঙ্গা বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল হাসেম ভূঁইয়া ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর মো. শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমূখ।
উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম ও মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ জাকির হোসেন খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলাকে মাদকমুক্ত করার প্রয়াসে একই নীতি ব্যক্ত করে সকল প্রকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেন।
মতবিনিময় সভায় মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের জোনাল স্টাফ অফিসার মেজর আরেফিন মোহাম্মদ শাকিল, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক, সাবেক পৌর মেয়র আবু ইউসুফ চৌধুরী, মাটিরাঙ্গা ফরেষ্ট রেঞ্জার মো. জহিরুল ইসলাম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. খায়রুল আলম, ২২আনসার ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক মো. সাইফুল ইসলাম, গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ বিদ্যুৎ বড়ুয়া, মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিরনজয় ত্রিপুরাসহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, বিভিন্ন এলাকার হেডম্যান, কার্বারী, ইমাম, ভান্তে ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।