ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ফিচার সেন্ট জন ভিয়ানী হাসপাতাল: ভালোবাসাময় ও যত্নে শ্রেষ্ঠ হাসপাতাল

সেন্ট জন ভিয়ানী হাসপাতাল: ভালোবাসাময় ও যত্নে শ্রেষ্ঠ হাসপাতাল

0
1582

ফাদার সমীর ফ্রান্সিস রোজারিও || ঢাকা
‘A thing of beauty is joy forever’. কবি কিড্স অনেক বছর আগে লিখে গেছেন কিন্তু যুগ যুগ ধরে কোন সুন্দর জিনিস দেখে আমরা তার সৌন্দর্য হৃদয়ে অনুধাবন করি। মনে আনন্দ অনুভব করি। সেন্ট জন ভিয়ানী হাসপাতাল ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের একটি অন্যতম হাসপাতাল। বাংলাদেশের প্রথম খ্রিষ্টান হাসপাতাল। ‘হলি ফ্যামিলী’ হাসপাতাল হাত ছাড়া হওয়ার পর ঢাকার আর্চবিশপ মহামান্য কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও সিএসসি এর উদ্যোগে এবং ফাদার কমল কোড়াইায়ার দক্ষ পরিচালনায় সেন্ট জন ভিয়ানী হাসপাতাল বিগত ১১ নভেম্বও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ হতে তার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।
উদ্বোধনীর দিন আমি উপস্থিত ছিলাম। প্রথমে মনে হয়েছে কেমন হবে এই হাসপাতালের সেবার মান? কিন্তু বিগত ৬ ডিসেম্বর আমি উচ্চ রক্ত চাপের কারণে ভর্তি হই এই হাসপাতালে। আমিই প্রথম ফাদার যিনি এই হাসপাতালে ভর্তি হই এবং সেবা গ্রহণ করি। আমার অনুভূতিতে এই হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক ফাদার কমল কোড়াইয়াসহ সকল সিস্টার, ডাক্তার, নার্স, ব্রাদার ও স্টাফদের আন্তরিক ভালবাসাময় সেবা আমাকে মুগ্ধ করেছে। তাদের ভালোবাসাময় সেবা ও আন্তরিক ব্যবহারে আমি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠি। আমার অনুভূতিতে সেন্ট জন ভিয়ান্নী হাসপাতাল ‘ভালবাসাময় সেবা’ ও ‘যত্নে’ বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ হাসপাতাল। ঈশ^র আমাদের চোখ দিয়েছেন এই সুন্দর পৃথিবীটাকে দেখার জন্য, হাত দিয়েছেন সুন্দরভাবে কাজ করার জন্য, পা দিয়েছেন ভালো পথে চলতে আর হৃদয় দিয়েছেন অন্যকে ভালবাসতে। সেই ভালবাসায় দীক্ষিত হয়ে এখানকার ফাদার, ব্রাদার, ডাক্তার, সিস্টার ও স্টাফমন্ডলী তাদের সেবা দিয়ে থাকেন।
যিশু পথে-ঘাটে, গ্রামে ঘুরে ঘুরে মঙ্গলবাণী প্রচার করতেন, মানুষের রোগ তিনি সারিয়ে তুলতেন। এই হাসপাতালের দক্ষ পরিচালক ফাদার কমল কোড়াইয়া এই হাসপাতালটাকে অন্যান্য হাসপাতাল থেকে আলাদা সেবার মান, সুযোগ- সুবিধা, মানুষ যেন হয়রানি না হয়। গরীব-দুঃখীরা যেন সেবা পায় এই লক্ষ্য নিয়ে নিঃস্বার্থভাবে সেবা কাজ করে যাচ্ছেন।
আমি আমার জীবনের এতোভালো সেবা ও আন্তরিক ব্যবহার অন্য কোন হাসপাতালে পাইনি। এই হাসপাতালে যেসব রোগী আসেন তারা সবাই তাদের সকলের ভালোবাসাময় সেবা ও যত্ম তাদের সবার জীবনে অনুভব করেন। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি এই হাসপাতাল শ্রেষ্ঠ হাসপাতাল হিসেবে সাফল্যের দ্বার প্রান্তে অবতরণ করুক। আমি এই হাসপাতালের প্রশাসন, সকল বিশপ, বিশেষভাবে কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও, বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গমেজ, ফাদার কমল কোড়াইয়াসহ সকল ডাক্তার, সিস্টার, ব্রাদার, নার্স ও স্টাফদেরকে এতো সুন্দর উদ্যোগ, সেবা দানে, পরিশ্রম ও ত্যাগস্বীকারের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আশা করি, এই হাসপাতাল থেকে আপনারাও সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট হবেন।