শিরোনাম :
৯ জুট মিলে উৎপাদন বন্ধ, বিক্ষোভে শ্রমিকরা
খুলনায় ৯টি জুট মিলে উৎপাদন বন্ধে বিক্ষোভে নেমেছে শ্রমিকরা।
বকেয়া মজুরির দাবিতে উৎপাদন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করছেন খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলের শ্রমিকরা। সোমবার সকাল থেকে তারা কাজে যোগ না দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। ঈদের আগে মজুরি পরিশোধ করা না হলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
এরআগে রোববার প্লাটিনাম ও স্টার জুট মিলের উৎপাদন বন্ধ করে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করলেও আজ সেখানে যোগ দিয়েছেন বাকি ৭ কারখানার শ্রমিকরা।
জানা গেছে, গত ১১ থেকে ১২ সপ্তাহ যাবৎ মজুরি পাচ্ছেন না শ্রমিকরা। এতে অনেকটা অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন খুলনা-যশোর অঞ্চলের প্রায় অর্ধলক্ষ শ্রমিক।
এর আগে পাওনাসহ ৯ দফা দাবিতে খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে ৯৬ ঘণ্টা ধর্মঘট ও ৪ ঘণ্টা রাজপথ-রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন পাটকল শ্রমিকলীগ। তৃতীয় দফায় গত ১৫ এপ্রিল এ আন্দোলনের প্রথম দিনে কর্মসূচি চলাকালে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে শ্রমিকলীগ ও সিবিএ নন-সিবিএ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২৫ এপ্রিলের মধ্যে শ্রমিকদের ১০ সপ্তাহর মজুরি, ৩ মাসের বেতন ও আগামী ১৮ মের মধ্যে মজুরি কমিশনের অর্থের হিসাব অনুসারে প্রতিটি শ্রমিকের অনুকূলে স্লিপ দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় সেই বৈঠকে। সে অনুযায়ী লিখিতও দেন বিজেএমসির চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ নাসিম।
কিন্তু ২৫ এপ্রিলের মধ্যে ১০ সপ্তাহের মজুরি ও ৩ মাসের বেতন পরিশোধে বিজেএমসি ব্যর্থ হলে রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬টি পাটকলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পাটকল শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে ফের সাক্ষাৎ করেন। তিনি শ্রমিক নেতাদের কাছ থেকে আরও এক সপ্তাহ সময় নেন। এরপরও শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না হওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
এক পর্যায়ে প্লাটিনাম ও স্টার জুট মিলের শ্রমিকরা দফায় দফায় বিক্ষোভ করেন। রোববার দুপুর ২টায় স্টার জুট মিলের শ্রমিকরা নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান করেন। এদিকে স্টার জুট মিলের উৎপাদন বন্ধের খবর অন্যান্য পাটকলের শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা সন্ধ্যা ৬টায় প্লাটিনাম মিলের উৎপাদন করে দেন।
পরে আজ সকাল থেকে খুলনা যশোর অঞ্চলের খালিশপুর, দৌলতপুর, ক্রিসন্টে, আলিম, ইস্টার্ন, কার্পেটিং ও জেজেআই জুট মিলের শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। ঈদুল ফিতরের আগে বকেয়া মজুরি পরিশোধ করা না হলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে বলে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা জানিয়েছেন।