ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ বিসিএ’র সুবর্ণ জয়ন্তী উত্তোর কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

বিসিএ’র সুবর্ণ জয়ন্তী উত্তোর কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

0
803


ডিসিনিউজ:
বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের (বিসিএ) সুবর্ণ জয়ন্তী উত্তোর কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ক্রেডিটের বি.কে গুড কনফারেন্স হলে।
৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিএ’র প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও। অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিসিএ’র উধ্বর্তন ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ, ঢাকা ক্রেডিটের ভাইস-প্রেসিডেন্ট শীরেন সিলভেষ্টার গমেজ, এসোসিয়েশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধ জোনাস গমেজ, যুগ্ম মহা-সচিব ১ জেমস সুব্রত হাজরা, সংগঠনিক সম্পাদক নিপুন সাংমা, বিসিএ’র আইন বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, বিসিএ’র উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি হিউবার্ট গমেজ, কাককোর ভাইস-চেয়ারম্যান অনিল লিও কস্তা।
বিসিএ’র প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘প্রথমত সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দেই কারণ তাঁর করুণায় আমরা সুবর্ণ জয়ন্তী ভালোভাবে করতে পেরেছি। ধন্যবাদ দেই সকল কমিটির সদস্যদের, সকলের সহযোগিতায় আমাদের অনুষ্ঠান সুন্দর-স্বার্থক করতে পেরেছি।’
তিনি আরো বলেন, ঢাকা ক্রেডিট, খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্ট, কাককো, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আমাদের ডকুমেন্টেশনে ও বিজ্ঞাপন দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।
তিনি ধন্যবাদ জানান কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’রোজারিও সিএসসি, সুবর্ণ জয়ন্তীর প্রধান অতিথি মাননীয় স্পিকারকে।
মি. রোজারিও বলেন, ‘অনুষ্ঠানে সঞ্চালনায় যারা ছিলেন তাদেরও কৃতজ্ঞতা জানাই। সবার মধ্যে একটা ঐক্য ছিলো। যাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয় তারা সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছেন।’
তিনি বক্তব্যে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানান, সুবর্ণ জয়ন্তীর অর্থ কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মাকুর্জ গমেজকে।
“মানুষ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশনের উপর আস্থা রেখেছে তাই সুবর্ণ জয়ন্তী স্বার্থক হয়েছে। এখানে মানুষের বাঁধভাঙ্গা অংশগ্রহণ ছিলো। নিঃস্বার্থভাবে সকলের অংশগ্রহণ ছিলো বলেই অনুষ্ঠান ভালো হয়েছে” বলেন বিসিএ’র উধ্বর্তন ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মাকুর্জ গমেজ। তিনি যোগ করে বলন, আমরা এমন একটি সময়ে বাস করছি যখন বিসিএ’র মতো একটি সংগঠনের প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের (বিসিএ) নিজস্ব কার্যালয়ের খুবই দরকার।’
বিসিএ’র সাংগঠনিক সম্পাদক নিপুন সাংমা বিসিএ’র কার্যক্রমের পর্যবেক্ষণ করে বলেন, বিসিএ’র কার্যক্রমে গুণগতমানের পরিবর্তন এসেছে। আমি মনে করি এই সংগঠন গোটা খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে, তাই সুবর্ণ জয়ন্তী স্বার্থক হয়েছে। নির্যাতন বন্ধ ও অধিকার আদায়ের লক্ষে যাত্রা করা বিসিএ তাদের কৌশল ধরে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই সাধুবাদ জানাই।
কাককোর ভাইস-চেয়ারম্যান অনিল লিও কস্তা তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশ খ্রিষ্টান এসোসিয়েশনের সুবর্ণ জয়ন্তী ভাল ছিলো। এসোসিয়েশন খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের যে কোন সমস্যায় এগিয়ে যায়, তাই এসোসিয়েশনের নেতা ও কর্মীদের ধন্যবাদ জানাই। আমাদের বিসিএ’র কার্যক্রমকে সমর্থন করা উচিত।’
বিসিএ’র যুগ্ম মহা-সচিব ১ জেমস সুব্রত হাজরা বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে আমরা চেষ্টা করেছি সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠান আয়োজন করতে এবং সকলের প্রচেষ্টায় সেটা সম্ভব হয়েছে। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই যারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন।’
বিসিএ’র আইন বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা ক্রেডিটের সেক্রেটারি পংকজ গিলবাট কস্তা অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আজকে খুব ভালো লাগছে কারণ আজকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠান হচ্ছে। সাধারণ এই ধরনের ধন্যবাদ অনুষ্ঠান হয় না। তবে নির্মল রোজারিও সেটা করেছেন। সকলের সহযোগিতায় সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান স্বার্থক হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সুন্দর করার জন্য সাংস্কৃতিক দলকে ধন্যবাদ জানাই।’
বিসিএ’র উপদেষ্টা হিউবার্ট গমেজ বলেন, সুবর্ণ জয়ন্তী অনেক ভালো অনুষ্ঠান হয়েছে। আমি ধন্যবাদ দেই নির্মল রোজারিওতে এতো বড়ো অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য।
অনুভূতি প্রকাশ করেন শিপ্যা প্যারিশ, জর্জ সজল, সুরেন মন্ডলসহ অনেকে।
পরিশেষে বিসিএ’র ভাইস-প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা জোনাস গমেজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান।
কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন ২৭০ জন।
অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন বিসিএ’র মহা সচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া।

ছবি: শমিত ক্রুজ

[wp1s id=”10219″]