শিরোনাম :
হাসনাবাদ খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন
ডিসিনিউজ:
হাসনাবাদ খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: এর সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে আজ। সমিতির চেয়ারম্যান সেলেষ্টিন রোজারিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাসনাবাদ ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার ম্যাক্সওয়েল আলেকজান্ডার টমাস।
১৯৬৭ সনে প্রতিষ্ঠিত হয় হাসনাবাদ ক্রেডিট। সমিতির চেয়ারম্যান সেলেষ্টিন রোজারিও এই সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ডা. আফফ্রেড গমেজসহ যারা এই সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার উন্নয়নেও আমাদের সমিতি কাজ করছে। ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে ছোট ছোট উদ্যোক্তা তৈরি করা হচ্ছে এবং আাত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সাহায্য করছে। যুবকরা যেন ব্যবসা করতে পারে তার জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, তাদের সমিতিতে শতকোটি টাকা মূলধন রয়েছে। তাদের একটি মেডিকেল হাসপাতাল করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই সমিতিতে রয়েছে প্রায় ২৮০০ জন সদস্য। এই সমিতি থেকে সদস্যরা বিদেশ গমন, উচ্চ শিক্ষা, ব্যবসা, বিবাহ, গরু খামারসহ বিভিন্ন উদ্দেশে ঋণ নিয়ে থাকেন।
অন্যান্য অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ, সেক্রেটারি পংকজ গিলবার্ট কস্তা, দি সেন্ট্রাল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান নির্মল রোজারিও, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া, বান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিল্লাল মিয়া, সহকারী কমিশনারী ভূমি রাজিবুল ইসলাম, ঢাকা সমবায় কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।
হিল্লাল মিয়া তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আজ খুব আনন্দের দিন। আমি আনন্দের অংশী হতে এসেছি। দশের লাঠি, একের বোঝা। এই হাসনাবাদ ক্রডিট তারই অংশ। আমি হাসনাবাদ সমিতির কার্যক্রমের প্রশংসা করি। হাসনাবাদের খ্রিষ্টানরা আমার আদর্শ। আপনাদের মন মানসিকতা অনেক ভাল।’
[wp1s id=”10395″]
হাসাবাদ ক্রেডিট ঋণদানের পাশাপাশি সামাজিক কার্যক্রমও করে থাকে। সমিতির সেক্রেটারি রেখা রোজারিও ডিসিনিউজকে বলেন, ‘আমরা সমিতি থেকে আমার ৪৮টি পরিবারের সদস্যদের সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এছাড়া নারীদের স্তুন ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতামূলক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।’
বাবু মাকুর্জ গমেজ অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমাদের চিন্তা করতে হবে ঋণ দেওয়া-নেওয়ার পাশাপাশি আর কি ধরনের প্রকল্প হাতে নিলে সদস্যরা বেশি উপকৃত হবে। ক্রেডিটের মাধ্যমে সমাজ বির্নিমার্ণ করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, আমাদের সময় এসেছে ক্রেডিটের মাধ্যমে শুধু মাত্র ঋণ না দিয়ে নতুন নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, নতুন প্রজন্মের জন্য বিনিয়োগ করা।
তিনি জানান, ঢাকা ক্রেডিট আগামী ৩০ নভেম্বর হাসনাবাদে ঢাকা ক্রেডিটের এটিএম মেশিন চালু করতে যাচ্ছে। এই সুযোগ সকল সদস্যদের গ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।
পংকজ গিলবার্ট কস্তা বলেন, আমাদের টাকা, আমাদের মেধা আমাদের মধ্যে যেন ধরে রাখতে পারি এই প্রচেষ্টা আমাদের থাকতে হবে। কাককোর উদ্যোগে বিভিন্ন সমিতির পুঞ্জিভূত অর্থ যেন কাজে লাগাতে পারি সেটার জন্য সম্মিলিতভাবে আমাদের কাজ করা উচিত।
হেমন্ত আই কোড়াইয়া তার বক্তব্যে বলেন, আমি সুবর্ণ জয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানাই। আজ আমাদের পরিকল্পনা হাতে নেওয়ার বিষয় আগামী ৫০ বছরের জন্য। হাসনাবাদ সমিতির যে মূলধন আছে তা কিভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে ভাবা দরকার।