শিরোনাম :
ঢাকা ক্রেডিটের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব হস্তান্তর
ডিসিনিউজ:
ঢাকা ক্রেডিটের সদ্যনির্বাচিত কর্মকর্তারা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ ঢাকা ক্রেডিটের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তার হাতে পবিত্র বাইবেল ও সমবায় আইনের বই তুলে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। একইভাবে অন্যান্য বিদায়ী কর্মকর্তারাও নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে দি সেন্ট্রোল এসোসিয়েশন অব খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান নির্মল রোজারিও, ন্যায়, সত্য ও সুন্দর দলের মহাসচিব নিপুন সাংমা, সমিতির বিদায়ী ও নবনির্বাচিত কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা বলেন, ‘সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে বিগত তিনটি বছর টিমের ভালো সহযোগিতা পেয়েছি। ভবিষ্যতেও আমরা একটি টিমে কাজ করবো এবং ঢাকা ক্রেডিটকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবো।’
তিনি ঢাকা ক্রেডিটের নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি অনুরোধ করি, আমরা সততার সাথে কাজ করবো, কোনো স্বজনপ্রীতি করবো না। কাজ করে নিন্দুকের কথার জবাব দিবো।’ সুন্দ ও স্বচ্ছভাবে কাজ করার জন্য তিনি প্রাক্তন কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
[wp1s id=”11040″]
সমাপনী বক্তব্যে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ বলেন, ‘আমার সময়ের মধ্যে আমি খুব ভালো টিম পেয়েছি, তাই আমি অনেক সৌভাগ্যবান। ‘না’ বলতে পারাটা অনেক কঠিন, তবে এটা বলতে শিখতে হবে। ঢাকা ক্রেডিট মূলত সদস্যদের প্রতিষ্ঠান, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনা করার জন্য প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ আগে দেখতে হবে।’
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, প্রতিষ্ঠানের ব্যান্ডিং শুধু বিজ্ঞাপন দিয়ে হয় না। সেটা হয় কাজ দিয়ে। তাই কাজ গুরুত্ব দিয়ে করতে হবে। তিনি একটি বিশ^াসযোগ্য টিম গঠন করার জন্য নবাগত সবাইকে আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, ঢাকা ক্রেডিটের কর্মীদের পেশাদারিত্ব আছে। এই পেশাদারিত্ব দিয়েই সমবায় সমিতির সদস্যদের আশা-ভরসার স্থানটি পূরণ করতে হবে। কারণ, সদস্যদের আশা-ভরসার কেন্দ্রস্থল এই সমিতি। আগামীদিনে সমবায় সমিকে সুষ্ঠু পরিচালনার ক্ষেত্রে আরো সতর্ক হওয়ার জন্য নবাগতদের পরামর্শ দেন।
নবনিযুক্ত সেক্রেটারি হেমন্ত আই কোড়াইয়া বলেন, ‘আমার ওপর আজ যে দায়িত্ব অর্পিত করা হলো, আমি তা সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করবো। এর জন্য সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।’
নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটিকে উৎসাহ দিয়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজের প্রশংসা করেন নির্মল রোজারিও। তিনি বলেন, ‘আমি খুব আনন্দিত এই অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে। আমি নতুন নেতৃত্বের সাথে আছি। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ খুবই ভালোভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাকে ধন্যবাদ জানাই।’
ন্যায়, সত্য ও সুন্দর দলের মহাসচিব নিপুন সাংমা নবনিযুক্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘ঢাকা ক্রেডিট অন্যান্য সমবায় সমিতির নিকট মায়ের মতো। আপনারা যারা দায়িত্ব নিয়েছেন, তাদের অনুরোধ করি, আপনারা দয়া করে সমবায় আইন ও সমিতির উপবিধি পড়বেন এবং সেইভাবে সদস্যদের সেবা দিবেন।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজের বিষয়ে সাংমা বলেন, বাবু মার্কুজ গমেজ স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তাঁর আত্ম-ত্যাগের জন্য। কারণ, তাঁর নিবেদিত সেবার প্রমান তিনি রেখে গেছেন।
বিদায়ী ট্রেজারার বিপুল লরেন্স গমেজ বলেন, ‘আমি সকল প্রলোভনের উর্ধ্বে ওঠে কাজ করেছি। আমি নবনিযুক্ত ট্রেজারারকেও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে ও সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করি।’
সদ্যনির্বাচিত ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলবার্ট আশিস বিশ^াস ধন্যবাদ বক্তব্যে বলেন, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ যদি ঢাকা ক্রেডিটে আরো বিশ বছর সেবা দিতেন, তাহলে খ্রিষ্টান সমাজ আরো অনেক ইতিবাচকভাবে পরিবর্তন হয়ে যেতো। তিনি সত্যি অনেক বড়মাপের ও দূরদর্শী একজন নেতা। তিনি পেশাজীবীদের উদ্দেশ্য করে আরো বেশি সুযোগ সৃষ্টি করে সদস্যসেবাকে বেগবান করার পরামর্শ দেন।
ঢাকা ক্রেডিটের সিইও লিটন টি. রোজারিও বিগত ছয় বছর ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে কর্মীদের ওপর যে আস্থা ছিল, বর্তমানে আসা নতুন কমিটিরও কর্মীদের ওপর সেই আস্থা থাকবে বলে বলে প্রত্যাশা করেন। বিগত ছয় বছর কর্মীদের মধ্যে যে টীমওয়ার্ক ছিলো, আগামীতেও তা থাকবে বলে নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা কমিটিকে আশ্বাস দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা ক্রেডিটের বিদায়ী ভাইস-প্রেসিডেন্ট শীরেন সিলভেষ্টার গমেজ, ডিরেক্টর সজল যোসেফ গমেজ, পল্লব লিনুস ডি’রোজারিও, সলোমন আই রোজারিও, মনিকা গমেজ, প্রত্যেশ রাংসা, পাপড়ী প্যাট্রিশিয়া আরেং, আনন্দ ফিলিপ পালমা, পাপিয়া রিবেরুƒ; ক্রেডিট কমিটির চেয়ারম্যান মানিক লরেন্স রোজারিও, সেক্রেটারি জনি এস. গমেজ, সদস্য অন্তর মানখিন, উমা ম্যাগডেলিন গমেজ; ও সুপারভাইজরি কমিটি চেয়ারম্যান জন গমেজ, সেক্রেটারি প্রিয়ন্ত সি. কস্তা, সদস্য বার্নার্ড পংকজ ডি’রোজারিও, মাধবী অনিতা গমেজ ও ষ্টেলা হাজরা।