শিরোনাম :
কাশেম সোলেইমানি: ইরাকে মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ইরানের মিসাইল হামলা
ইরাকে অবস্থিত দুইটি মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ১২টির বেশি ব্যালেস্টিক মিসাইল হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ইরবিল ও আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা হয়েছে। ইরান থেকেই মিসাইলগুলো নিক্ষেপ করা হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, দেশটির শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে ড্রোন হামলায় হত্যার জবাব হিসাবে এই হামলা করা হয়েছে।
তারা এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন শহীদ সোলেইমান’।
ইরানের স্থানীয় সময় রাত দেড়টার দিকে (বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে চারটা) এই হামলা শুরু হয়।
আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে অন্তত ছ’টি মিসাইল আঘাত হানে।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫ হাজারের মতো সৈন্য রয়েছে ইরাকে। মার্কিন হামলায় ইরানি জেনারেল সোলেইমানি নিহত হবার পর ইরাকের পার্লামেন্ট দেশটি থেকে মার্কিন সৈন্যদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।
জবাবে আমেরিকা অবশ্য বলেছিল, ইরাক থেকে সরে যাওয়ার কোন পরিকল্পনাই তাদের নেই।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই সাথে এও বলেছিলেন যে, ইরাক থেকে যদি মার্কিন সৈন্যদের চলে যেতে হয় তাহলে দেশটির ওপর এমন অবরোধ আরোপ করা হবে, যা ইরাক ‘আগে কখনো দেখেনি’।
এরকম ঘটনা প্রবাহের মধ্যেই ইরাকে মার্কিন সেনাদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালালো ইরান।
হোয়াইট হাউজ পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য টুইটারে লিখেছেন, ‘সব ঠিক আছে’। তিনি সকাল হলেএকটি বিবৃতি দেবেন বলেও তার ওই টুইটে উল্লেখ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, ওই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ও সহযোগীদের সকল কর্মীকে রক্ষায় দরকারি সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে এই মিসাইল হামলায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম বলেছেন, ” ইরাকের একটি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার খবরের ব্যাপারে আমরা সচেতন রয়েছি। প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে অবহিত হয়েছেন এবং তিনি গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন ও জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন।”
ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ড জানিয়েছে, সোলেইমানির হত্যাকাণ্ডের বদলা হিসাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
”আমেরিকার সব সহযোগীদের আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি, যারা তাদের ঘাঁটিগুলোকে এই সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করতে দিয়েছে, যেখান থেকেই ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হবে, সেটাই লক্ষ্যবস্তু করা হবে,” ইরানের ইরনা নিউজ এজেন্সিতে একটি বিবৃতিতে বলেছে বাহিনীটি।
ওদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ টুইটারে লিখেছেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, কিন্তু নিজেদের আগ্রাসন থেকে রক্ষা করবো। (বিবিসি বাংলা)