শিরোনাম :
চার্চ ও খ্রিষ্টানদের দ্বারা পরিচালিত স্কুলগুলোর এসএসসির ফলাফল আশাব্যঞ্জক
ডিসিনিউজ, ঢাকা
খ্রিষ্টানদের দ্বারা পরিচালিত কয়েকটি স্কুলে এ্সএসসিতে শতভাগ পাস করেছে। শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করা স্কুলগুলো হলো ঢাকার সেন্ট গ্রেগরীস হাই স্কুল এন্ড কলেজ এবং হলি ক্রস গার্লস হাই স্কুল, বরিশালের উদয়ন হাই স্কুল, গাজীপুরের সেন্ট নিকোলাস হাই স্কুল। সেন্ট গ্রেগরীস হাই স্কুল এন্ড কলেজে পরীক্ষা দেয় ২৩৬ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার শতভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬৪ জন। উদয়ন হাই স্কুলে ১৬১ জন পরীক্ষায় দেয়। পাসের হার শতভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৩ জন। সেন্ট নিকোলাস হাই স্কুলে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ১১৭ জন। পাসের হার শতভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন।
চার্চ এবং খ্রিষ্টানদের দ্বারা পরিচালিত দেশের আনাচেকানাচে অবস্থিত অন্যান্য স্কুলগুলোতেও পাসের পরিমান অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। বান্দুরা হলি ক্রস হাই স্কুলে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ২২০ জন। পাসের হার ৮৯.৫ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন। চট্টগ্রামের মরিয়াম আশ্রম হাই স্কুলে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ২০৯ জন। পাসের হার ৮৯ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। ডন বস্কো হাই স্কুলে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ১১৪ জন। পাসের হার ৬৬.৭ ভাগ।
নেত্রকোনার বিরইডাকুনি হাই স্কুলে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৭০ জন। পাসের হার ৬৫.৭ ভাগ।
ঢাকার মোহাম্মদপুরে সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারী স্কুলে পরীক্ষার্থী ছিল ১৬৫ জন। পাসের হার ৯৯.৪ ভাগ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৩৯ জন। চট্টগ্রাম শহরে সেন্ট প্লাসিড হাউ স্কুল এন্ড কলেজে পরীক্ষার্থী ছিল ২১৭ জন। পাসের হার শতভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৫ জন। গাজীপুরে কালীগঞ্জে তুমিলিয়া বয়েস হাই স্কুলটিতে পরীক্ষা দেয় ১১৬ জন। পাসের হার ৯৮.৩ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ জন। যশোহর শিমুলিয়ার সেন্ট লুইস সেকেন্ডোরী স্কুলে পরীক্ষা দেয় ৪৯ জন। পাসের হার ৯৩.৯ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন।
বাগেরহাটের মংলায় সেন্ট পলস্ সেকেন্ডারী স্কুলে মোট পরীক্ষার্থী ১৮৪ জন। পাসের হার ৯৬.৭ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ জন। দিনাজপুরে সেন্ট ফিলিপস্ হাই স্কুল এন্ড কে জে মোট পরীক্ষার্থী ৩০৫ জন। পাসের হার ৯৮.৭ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৪ জন।
ওপরে উল্লিখিত বিভিন্ন স্কুলের মধ্যে ১৩টি স্কুলই হলি ক্রস সম্প্রদায়ের ব্রাদারদের দ্বারা পরিচালিত।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সমবায় প্রতিষ্ঠান ঢাকা ক্রেডিট কর্তৃক পরিচালিত নদ্দায় অবস্থিত ঢাকা ক্রেডিট ইউনিয়ন স্কুল থেকে ১৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়। পাস করে ১৮ জন।
বরিশালের পাদ্রিশিবপুরে সেন্ট আলফ্রেডস্ স্কুল এন্ড কলেজে মোট পরীক্ষার্থী ১৪৭ জন। পাসের হার ৯৮.৬৪ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। গোপালগঞ্জের নারিকেলবাড়ী হাই স্কুলটিতে মোট পরীক্ষার্থী ২১৬ জন। পাসের হার ৯১.৭৪ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন। সাভারের সেন্ট যোসেফ হাই স্কুল এন্ড কলেজ, ধরেন্ডা স্কুলে মোট পরীক্ষার্থী ২১৬ জন। পাসের হার ৮৭.০৪ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন।
নাটোরের বনপাড়ায় সেন্ট যোসেফস্ স্কুল এন্ড কলেজে মোট পরীক্ষার্থী ৩০৩ জন। পাসের হার ৯৮.৩৫ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৯ জন। পাবনার চাটমোহরে সেন্ট রীটাস্ হাইস্কুলে স্কুলটিতে মোট পরীক্ষার্থী ২৪৯ জন। পাসের হার ৯৭.৫৯ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৬ জন। নাটোরের জোনাইলে সেন্ট লুইস উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট পরীক্ষার্থী ১৪০ জন। পাসের হার ৯৮.৫৭ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ জন।
নাটোরের মরিয়ম হাইস্কুলে মোট পরীক্ষার্থী ১৯ জন। পাসের হার ৯৪.৭৪ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন।
নওগাঁর পোরশায় দানিপুুকুর সেন্ট পলস্ হাইস্কুলে মোট পরীক্ষার্থী ৭ জন। পাসের হার শত ভাগ।
নওগাঁর চাঁদপুকুরে সেন্ট পলস্ হাইস্কুলে মোট পরীক্ষার্থী ৩০ জন। পাসের হার ৮০ ভাগ।
টাঙ্গাইল জলছত্রে কর্পোস খ্রীষ্টি উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ৬৯ জন। পাসের হার ৮১.১৬ ভাগ।
হালুয়াঘাট সেন্ট মেরীস গালর্স উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ৬৭ জন। পাসের হার ৬৪.১৮ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন।
ভালুকাপাড়া সেন্ট তেরেজা উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ১২১ জন। পাসের হার ৭২.৭৩ ভাগ।
বালুচরা সেক্রেট হার্ট উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ৮৮ জন। পাসের হার ৭০.৪৫ ভাগ।
নেত্রকোনার বরুয়াকোনা সেন্ট ফেডারিক উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ৫৮ জন। পাসের হার ৪৮.২৮ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। নেত্রকোনার বিরিশিরি মিশন গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ৭২ জন। পাসের হার ৭৫ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। সিলেট সুনামগঞ্জের নারায়নতলা মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ২০০ জন। পাসের হার ৮৬ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন।
২০২০ সালের ৩১ মে সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির হাতে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানগণ ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন। বেলা ১১টায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
এবার কেবল ওয়েবসাইট ও মুঠোফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পেরেছে। যেসব পরীক্ষার্থী নির্ধারিত নিয়মে মুঠোফোনে খুদেবার্তা পাঠিয়ে প্রাকনিবন্ধন করেছে, তাদের মুঠোফোন নম্বরে খুদেবার্তা পাঠিয়ে ফল জানিয়ে দেওয়া হয়।
চলমান বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। মোট পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় সাড়ে ২০ লাখ। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এই পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন। অপর দিকে রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার কমলেও জিপিএ-৫-এর হার বেড়ে দেশসেরা হয়েছে। সিলেটে পাসের হার সর্বোনিম্ন ১০৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করতে পারেনি কেউ-ই। এবারও এসএসসি পরীক্ষায় মেয়েরা পাশের হারে এগিয়ে।
এ ছাড়াও আগামী ৭ জুন পর্যন্ত এসএসসি ও সমমানের ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। টেলিটক মোবাইল থেকে RSC স্পেস বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর স্পেস রোল নম্বর স্পেস বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) দেওয়া হবে। আবেদনে সম্মত থাকলে RSC স্পেস YES স্পেস পিন নম্বর স্পেস যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। একই এসএমএসে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করা যাবে, এ ক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে ‘কমা’ দিয়ে লিখতে হবে। প্রতি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা হারে চার্জ কাটা হবে।