ঢাকা ,
বার : মঙ্গলবার
তারিখ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ১০ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ দুই মেয়ে ডাক্টার হয়েও বাঁচাতে পারলেন না করোনা আক্রান্ত বাবাকে

দুই মেয়ে ডাক্টার হয়েও বাঁচাতে পারলেন না করোনা আক্রান্ত বাবাকে

করোনায় আক্রান্ত নিকোলাস চিরানের লাশ শেষ দেখাও দেখতে পারলো না তাঁর পরিবার

0
3768

সুমন কোড়াইয়া || নারায়ণগঞ্জ
বিরোদ নিকোলাস চিরান (৬০) সর্বশেষ দুবাই থেকে দেশে এসেছিলেন ২০১৭ সনের ডিসেম্বরে। সেটাই ছিলো পরিবারারের সাথে তাঁর শেষ সাক্ষাৎ। বিশ^ব্যাপী করোনা মহামারিতে বিরোদ করোনায় আক্রান্ত হন মে মাসের শুরুর দিকে। তিনি সেখানে সরকারি চাকরি করতেন।
দুবাইয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর বিরোদকে ভিটামিন-সি জাতীয় ওষুধ ছাড়া অন্য কোনো ওষুধই খেতে দেওয়া হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করে গেছেন। তিনি চিকিৎসা না পেয়ে তাঁর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, ‘আমার দুই মেয়ে ডাক্তার। আমাকে অন্তত ভালো চিকিৎসা দিন।’
সুচিকিৎসা না পেয়ে বিরোদ মারা গেলেন ১১ মে। করোনা পজেটিভ হওয়ায় তাঁর মৃতদেহ আর দেশে পাঠানো হলো না। তার মেঝো মেয়ে ডা: ইলা ক্লারা চিরান জানান, সেই প্রবাসেই তাঁর বাবার সৎকার করা হয়।
দুঃখের সাথে ডা: ইলা বলেন, ‘আমাদের বাবাকে আমরা শেষ দেখাও দেখতে পারলাম না। কোনো ভালো চিকিৎসাও দিতে পারলাম না। এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে?’
তিনি তাঁর বাবার কথা তুলে ধরে বলেন, বাবা সুচিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। এখন শুধু আফসোস হয়। করোনা আমাদের বাবাকে শেষ দেখাও দেখতে দিলো না।
বিরোদ দুবাই ২২ বছর ধরে চাকরি করেছেন। অর্থ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশে আরেরা অনেক প্রবাসীর মতো। তিনিও রেমিটেন্স পাঠিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন বাংলাদেশের অর্থনীতিকে।
তিনি ময়মনসিংহের বিরইডাকুনী ধর্মপল্লীর খ্রিষ্টভক্ত। বিয়ে করেছিলেন গাজীপুরের নাগরী ধর্মপল্লীর শিশিলিয়া ক্রুশকে। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর পরিবার বসবাস করে নারায়ণগঞ্জের ডন চেম্বার এলাকায়।
তাঁর বড় মেয়ে ডা: নিশি নিউলী চিরান, মেঝো মেয়ে ডা: ইলা ক্লারা চিরান ছোট ছেলে অনিক ইউজিন চিরান।
ডা: ইলা ধন্যবাদ দেন বরিশালের ফাদার অনল ডি কস্তাকে যিনি প্রবাসী বাঙালিদের জন্য অনলাইনে পবিত্র খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করে থাকেন। গত রোববার ফাদার অনল করোনায় মারা যাওয়া বিরোদের জন্য অন লাইনে পবিত্র খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করেছেন। ফাদার অনলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডাক্তার ইলা।
বিদেশে এই পর্যন্ত বিরোদসহ আমেরিকায় মারা গেছেন আঠারগ্রামের হাসনাবাদেও শিলা দেছা।
দেশে মারা গেছেন চার জন খ্রিষ্টভক্ত। করোনা উপসর্গে দেশে খ্রিষ্টীয় যোগাযোগ কেন্দ্রের কর্মী পল কস্তাসহ মারা গেছেন পাঁচজন খ্রিষ্টভক্ত।

[wp1s id=”12689″]