ঢাকা ,
বার : শনিবার
তারিখ : ১১ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলা : ২৮ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ ইতিহাসের নির্মাতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

ইতিহাসের নির্মাতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

0
601

|| রেমন্ড আরেং ||

 ২৩ জুন। বাঙালির ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল দিন। এ দিন বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ এবং উপ মহা দশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন  আওয়ামী লীগের  প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী । আজ ২০২০ সালের ২৩ জুন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১তম  প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী । ১৯৪৭ সালে  ব্রিটিশ শাসনের অবসান ও পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির অব্যবহিত পরে  জননেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুল হকের নেতৃত্বে  ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন কেএম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে এই দলের গোড়া পত্তন হয় পর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাই ছিল এই দলের মৌল লক্ষ্য। তাই জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষ-অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গী, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, শোষণ-বৈষম্যহীন সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে এবং একটি আধুনিক, প্রগতিশীল সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা নির্মাণের লক্ষ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দার্শনিক ভিত্তি রচনা করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি গ্রহণের মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল হিসাবে দলের নাম হতে ‘মুসলিম’ শব্দ রহিত করে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ নামাকরণ করা হয়। এমন একটি প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী দলের একজন নগণ্য কর্মী হিসাবে আমি খুবই গর্বিত। এই দীর্ঘ সময়ে আওয়ামী লীগের নানান চড়াই-উৎরাই পার হতে হয়েছে। মানষের মৌলিক অধিকার যেমন শিক্ষা, চিকিৎসাসহ  ভোট ও ভাতের অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি, গণতন্ত্র উদ্ধারের অন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে কম মূল্য দিতে হয়নি এই দলকে! অনেক আন্দোলন, অনেক সংগ্রাম, অনেক জীবন-রক্ত, জেল-জুলুম আর ত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই আওয়ামী লীগ। তবে রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামী লীগের অর্জনই অনেক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা  আওয়ামী লীগের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। ফলে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস একসূত্রে গাঁথা।

১৯৪৮ সালে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে সূচিত হওয়া ভাষা আন্দোলনে সর্ব দলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি গঠনে আওয়ামীলীগ অগ্রনী ভূমিকা পালন করে যা ১৯৫২ সালে গণজাগরণে রূপ লাভ করে। আর সেই সময়ের তরুণ জননেতা শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং নিপীড়নে শিকার হয়ে কারারুদ্ধ থেকেও আন্দোলনকারীদের প্রেরণাদাতার অবিস্মরণীয় ও গৌরবদীপ্ত ভূমিকা পালন করেন। ভাষা আন্দোলনের বিজয়ের পটভূমিতে ১৯৫৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রাদেশিক পরিষদেও নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত যুক্তফ্রন্ট ভূমিধস বিজয় লাভ করে। পরাজিত মুসলিম লীগ পূর্ব বাংলায় হীনবল হয়ে পড়ে।  আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট সরকার পূর্ব বাংলায় মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করে। এই সরকারের মেয়াদ মাত্র ৫৬ দিন হলেও এই সময়ের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়। আওয়ামী লীগের উদ্যোগেই মাতৃভাষা বাংলা আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা লাভ করে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিচালিত এই সরকারই ২১শে ফেব্রুয়ারিকে ‘শহীদ দিবস’ হিসাবে জাতীয়ভাবে ছুটির দিন হিসাবে ঘোষণা করে এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করে, প্রতিষ্ঠা করে বাংলা একাডেমি।

১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ রিপাবলিক পার্টির সাথে কোয়ালিশনে কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করলে  আরো বেশ কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে; এর উল্লেখযোগ্য হলো ভাষা শহীদ পরিবারের জন্য অর্থ অনুদানের ব্যবস্থা, পহেলা বৈশাখকে বাংলা নববর্ষ হিসাবে পালন, ময়মনসিংহে ভেটেনারী কলেজ প্রতিষ্ঠা, ফেঞ্চুগঞ্জে সার কারখানা স্থাপন, সাভারে ডেইরী ফার্ম প্রতিষ্ঠা, ঢাকায় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি। এবং প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় সরকারের শিল্প, বাণিজ্য ও শ্রম মন্ত্রী হিসাবে বঙ্গবন্ধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৭ সালে  পাকিস্তানের রাষ্ট্রনীতিকে কেন্দ্র করে জননেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানির মতবিরোধের ফলে  আওয়ামীলীগ দুই শিবিরে ভাগ হলে দল ভয়াবহ সংকটের মধ্যে পড়ে। এমন অবস্থায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়াদীর অনুসারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার  গ্রহণ করেন এবং দলকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে পরিপূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করেন। এরপর স্বৈরশাসক আইয়ুব সরকার বিরোধী আন্দোলন, ’৬২-অবশেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভূদ্বয় ঘটে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সরকার স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে যখন অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে ব্যস্ত ঠিক তখনই পাকিস্তানের দোসর,স্বাধীনতা বিরোধীচক্র দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদেও সহায়তায় ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট কালো রাত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। কিন্তু  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই সাড়ে তিন বছরের শাসনামলেই  স্বাধীন বাংলাদেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে সংসদীয় সরকারের প্রবর্তন, স্বাধীনতার দশ মাসের মধ্যে একটি ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল এবং আধুনিক সংবিধানের উপহার, মুক্তিযুদ্ধকালীন যে সমস্ত ভারতীয় সৈন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছেন তাদের দ্রুত প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা, স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে ১৪০টি দেশ হতে স্বীকৃতি আদায়, ১ কোটি শরণার্থীসহ  ৩ লাখ মা-বোন যারা যুদ্ধকালীণ সময়ে শারিরীকসহ নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা, মাত্র ১৫ মাসের মধ্যে নতুন সংবিধানের আলোকে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা পাকিস্তানী প্রেতাত্মা ও দোসর এবং স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের তা সহ্য হয়নি। তারা ইতিহাসের জঘন্যতম ঘটনাটি ঘটায়। তারা বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের অধিকাংশ পরিবারের সদস্যদের নৃশংস ও বর্বরোচিতভাবে হত্যা করে  বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের লেজুর রাষ্ট্র হিসাবে পরিণত করে। এভাবেই সূচিত হয় বাংলাদেশের কৃষ্ণকালো অধ্যায়। শুরু হয় হত্যা, ক্যূ’র রাজনীতি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জঘন্যভাবে সপরিবারে হত্যার পর ৬ বছরের জীবন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসলে তাঁর নেতৃত্বে দলের হতদ্যোম নেতা-কর্মীরা  নতুন উদ্যোমে সংগঠিত হয়; শুরু হয় তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বাঙালির হারানো গৌরব মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার আর বাঙালি জাতির হারোনো গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথ পরিক্রমায় সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা, অশ্রু-কান্না-রক্তের বিনিময়ে বাঙালি ফিরে পায় ভোট আর ভাতের অধিকার। অবশেষে  ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেআওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জন সংহতি সমিতির সাথে শাস্তি চুক্তি করে পাবর্ত্য চট্টগ্রামের হানাহানি, ভ্রাতৃহন্তার অবসান, ভারতের সাথে গঙ্গা পানি চুক্তি সম্পাদন, প্রমত্তা যমুনা নদীর  ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ,মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের ব্যবস্থা, নারীর ক্ষমতায়ন ( স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত), খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি (৪০ লাখ খাদ্য ঘাটতি থেকে ২৬ লাখ খাদ্য উদ্বৃত্ত), বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি (১৬০০ মেগা ওয়াট থেকে ৪৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন), সাক্ষরতার হার শতকরা ৪৫ থেকে শতকরা ৬২.৫ উন্নীতকরণ । এ ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচীর আওতায় মুক্তিযোদ্ধা, অসহায়, বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা নারীদের জন্য ভাতা  এবং  প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা এবং বয়স্কদের জন্য ‘শান্তিনিবাস’ ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নানান ষড়যন্ত্রের কারণে আওয়ামী লীগ ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে পরাজয় বরণ করে। আবার শুরু হয় হত্যা-গুম, দমন-পীড়ন-হয়রানির রাজনীতি, সাম্প্রদায়িক নির্যাতন আর লুটপাতের রাজনীতি। আবশেষে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আন্দোলন-সংগ্রাম আর সীমাহীন ত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র বাঙালি গণতন্ত্র ফিরে পায়।

২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত অবাধ, সুষ্ঠু আর নিরপেক্ষ সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে রাষ্ট্রীয় শাসনভার হাতে নেয়। এরপর থেকেই আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা সমসাময়িক কালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য ও দক্ষ পরিচালনায় রাষ্ট্রে সুশাসন, স্থিতিশীল অর্থনীতি, খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষার প্রসার, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন, বিদ্যৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, উন্নয়নে গতিশীলতা, রফতানী আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রিজার্ভ ফান্ড বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাসহ অসহায় মানুষদের আর্থিক সহায়তা, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচীর মাধ্যমে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার এবং নারী ক্ষমতায়নসহ নানাবিধ ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ উৎক্ষেপণ, দীর্ঘদিনের অমিমাংসিত সমুদ্র সীমা বিজয়, ভারতের সাথে অমিমাংসিত ছিটমহলগুলোর শান্তিপূর্ণ সমাধান, সাবমেরিন ক্যাবলের মালিকানা অর্জন, পদ্মা সেতু নির্মাণ, উড়াল সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল প্রকল্প, নুতন নুতন বিদ্যৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনসহ আরোও অনেক মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন সমাপ্তির পথে। উন্নয়নের সমস্ত সূচক আজ উর্ধ্বমূখী স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে মানুষ আজ বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেল হত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। সাধারণ বিচার প্রার্থীরাও আজ বিচার পাচ্ছেন। সবশেষে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট দুর্যোগ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে শক্তহাতে মোকাবেলা করছে। এই মহামারির ফলে সৃষ্ট দুর্যোগ ও অর্থনৈতিক মন্দা মোকবেলার লক্ষ্যে  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। আমার বিশ্বাস, জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদুরপ্রসারী ও সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ করোনা বিরোধী এ  যুদ্ধেও বিজয়ী হবে। কারণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস, বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রাম ও অর্জনের ইতিহাস।

লেখক: সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

রেমন্ড আরেং এর আরো লেখা পড়ুন:

বিউটিশিয়ানদের প্রতি দৃষ্টি দিবেন কি?

শেখ হাসিনা : একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক

ছয় দফায় বাংলার মুক্তি