শিরোনাম :
উত্তরবঙ্গের এক আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাফায়েল কিস্কুর। পড়াশোনার জন্য তিনি রাজধানী ঢাকায় আসেন। পড়াশোনা শেষে জীবিকার উদ্দেশে থেকে যায় এই শহরে। পারিবারিকভাবে নিজেই গড়ে তোলেন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ট্রিনিটি ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস। তার শুরুটা এতটা সহজ ছিল না। কিন্তু নিজের যোগ্যতা ও পরিশ্রম দিয়ে ব্যবসাটা ভালোই চলতে থাকে। সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা ও উৎসাহ দেন তার স্ত্রী। এ ছাড়াও তার সহোদর ও কাছের মানুষদের সহযোগিতায় বেশ ভালোই চলছিল ব্যবসাটি।
হঠাৎ করোনার আঘাতে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। লকডাউনের পাশাপাশি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রাফায়েল কিস্কুর ব্যবসায় ধস নামে। নিজেই ভাবতে শুরু করেন কীভাবে এই সংকট থেকে কাটিয়ে ওঠা যায়। নিজের বুদ্ধিমত্তা ও ঘনিষ্ঠজনদের পরামর্শ এবং সহযোগিতায় ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
ট্রাভেল এজেন্সির পাশাপাশি তিনি শুরু করেন স্বাস্থ্যসামগ্রী সরবরাহের কাজ। নিজের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তিনি বিদেশ থেকে স্বাস্থ্যসামগ্রী নিয়ে এসে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করে তিনি করোনাকালীন সংকট মোকাবেলায় সহায়তা করছেন। সফলও হয়েছেন শতভাগ। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রাফায়েল নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্যসামগ্রী সরবারহ করে যাচ্ছেন।
এই মহামারিতে তিনি নিজের জীবনের উৎসাহ থেকে অন্য সকল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে ধৈর্য ধরে আয়ের বিকল্প পন্থায় আর্থিক সংকট কাটিয়ে ওঠার পরামর্শ দেন। পরিকল্পনা মাফিক কাজ করলে সফলতা আসবে বলে তার ধারণা।
রাফায়েল ভবিষ্যতে তার প্রতিষ্ঠানকে আরো বড় করে সাজাতে চান। খ্রিষ্টান সমাজসহ তরুণ উদ্যোক্তদের নিয়ে কাজ করার আগ্রহ তার। তিনি চান, তার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অনেকেরই কর্মসংস্থান হোক।
































































