শিরোনাম :
প্যারিসে শিক্ষক হত্যাকে ‘ইসলামী সন্ত্রাসী হামলা’ বললেন ম্যাক্রোঁ
শুক্রবার বিকেলে ফ্রান্সে এক শিক্ষককে গলা কেটে হত্যার ঘটনাকে ‘ইসলামী সন্ত্রাসী হামলা’ বলে বর্ণনা করেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। রাজধানী প্যারিসের উত্তর-পশ্চিমের শহরতলী কনফা-সাঁত-ওনোরিন এলাকার এ ঘটনার পরপরই পুলিশের গুলিতে নিহত হয় হামলাকারী। খবর বিবিসির।
নিহত ব্যক্তি তার ছাত্রদের হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কিত বিতর্কিত কার্টুন দেখিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। ঘটনাটি তদন্ত করছে দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশ বিভাগ।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, তিনি ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’র শিক্ষা দিচ্ছিলেন বলে তাকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
নিহত ব্যক্তির নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি। হামলাকারী সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য জানায়নি পুলিশ।
ফ্রান্সের পুলিশ বিভাগ জানায়, কনফা-সাঁত-ওনোরিন এলাকায় বড় একটি ছুরি হাতে ওই শিক্ষকের ওপর হামলা চালায় ওই সন্ত্রাসী। এ সময় তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এরপর হামলাকারী পালানোর চেষ্টা করলেও স্থানীয়রা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং হামলাকারীকে আটকাতে সক্ষম হয়। পুলিশ চিৎকার করে হামলাকারীকে আত্মসমর্পণ করতে বলে। কিন্তু সে উল্টো পুলিশকে হুমকি দেয়। এরপর হামলাকারীকে লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি ছোঁড়ে এবং এতে তার মৃত্যু হয়।
লে মঁন্ড পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, নিহত ব্যক্তি ইতিহাস ও ভূগোলের শিক্ষক ছিলেন।
তিন সপ্তাহ আগে ফরাসী ব্যাঙ্গ ম্যাগাজিন শার্লি হেবদোর পুরনো অফিসের সামনে দুই ব্যক্তিকে হামলা চালিয়ে আহত করা হয়। ২০১৫ সালে শার্লি হেবদোর ওই অফিসে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছিল। শার্লি হেবদো ম্যাগাজিনে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ছাপা হওয়া যেসব কার্টুন মুসলিমদের ক্ষুব্ধ করেছিল, ওই ধরণের কার্টুনচিত্র প্রকাশের সঙ্গে বাকস্বাধীনতার সম্পৃক্ততা নিয়ে ক্লাসরুমে আলোচনা করেছিলেন শুক্রবারের হামলায় নিহত শিক্ষক।
ফরাসি মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই কার্টুন দেখিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনার জন্য এ মাসের শুরুর দিকে কয়েকজন মুসলিম অভিভাবক স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও করেছিলেন।
শুক্রবার ফ্রান্সের জাতীয় সংসদের ডেপুটিরা সংসদে দাঁড়িয়ে নিহত শিক্ষকের প্রতি শোক প্রকাশ করেন। এটিকে তারা ‘নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। দেশটির শিক্ষামন্ত্রী জ্যঁ-মাইকেল ব্ল্যাঁকোয়ের টুইট করে নিহত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। (সমকাল)