শিরোনাম :
ফ্রান্সের গির্জায় হামলায় অর্থোডক্স পুরোহিত গুলিবিদ্ধ
ফ্রান্সের লিঁওতে একজন গ্রিক অর্থোডক্স পুরোহিতের গায়ে গুলি করা হলে তিনি গুরুতর জখম হন।
গুলি চালিয়ে তৎক্ষনাৎ সেখান থেকে পালিয়ে যায় বন্দুকধারী।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এখনো পর্যন্ত হামলাকারীর উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে ফ্রান্সেরই আরেক শহর নিসের একটি চার্চে ছুরির আঘাতে তিনজন মারা যান।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ এই হত্যাকাণ্ডকে “ইসলামি সন্ত্রাসী হামলা” বলে আখ্যা দিয়েছেন।
বিভিন্ন উপাসনালয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
লিঁওর সেই পুরোহিত চার্চ বন্ধ করার সময় গুলি ছোড়া হয়।
পুলিশ বলছে, হামলাকারীর হাতে ছিল শটগান।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন নিরাপত্তা বাহিনী ও জরুরি কাজে নিয়োজিতরা তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে ছিলেন এবং তারা সেখান থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছেন।
শনিবার রাতে লিঁওর পাবলিক প্রসিকিউটর নিকোলাস জ্যাকেট একজনকে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন সন্দেহে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
যদিও যাকে আটক করা হয়েছে তার কাছে বন্দুক পাওয়া যায়নি। তদন্তকারীরা তার পরিচয় জানার চেষ্টা করছে।
যে পাদ্রীর গায়ে গুলি লেগেছে তার নাম নিকোলাস কাকাভেলাকিস। তার পাকস্থলীর কাছে দুইবার গুলি লেগেছে এবং সে এখন বেশ গুরুতর অবস্থায় আছে।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জঁ ক্যাটেক্স বলেন, সরকার সকল ধর্মের মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে উপাসনা করতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেবে। (বিবিসি বাংলা)