ঢাকা ,
বার : সোমবার
তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ৯ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা ঢাকা ক্রেডিট মানিক লরেন্স রোজারিওকে চোখের জলে চিরবিদায় (ভিডিও)

মানিক লরেন্স রোজারিওকে চোখের জলে চিরবিদায় (ভিডিও)

0
989

ডিসিনিউজ || ঢাকা

স্ত্রী, সন্তান, স্বজন, সহকর্মী, বন্ধু, শোভাকাঙ্খী ও সমবায়ের নেতা-কর্মীরা চোখের জলে বিদায় দিলেন ঢাকা ক্রেডিটের ক্রেডিট কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক লরেন্স রোজারিওকে।

২ নভেম্বর ভাটারার নূরেরচালায় নিজ বাসায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৫২ বছর।

৩ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও গির্জায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার খ্রিষ্টযাগের পর তেজগাঁও গির্জার কবরস্থানে তাঁর মরদেহ কবরস্থ করা হয়। খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করেন ফাদার রবি হিউবার্ট গমেজ, সিএসসি।

খ্রিষ্টযাগে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, ঢাকা ক্রেডিটের ট্রেজারার পিটার রতন কোড়াইয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, কর্মী, বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি।

নাটোরের বোর্ণী ধর্মপল্লীর বাগবাচ্চা গ্রামের সন্তান মানিক লরেন্স রোজারিও। অনেক আগেই প্রয়াত হয়েছেন তাঁর পিতা এডওয়ার্ড রোজারিও ও মাতা শান্তি গমেজ। তাঁর বড়ো বোন ডা: তরু রোজারিও।

তিনি ঢাকা ক্রেডিটের ক্রেডিট কমিটির চেয়ারম্যান ও সুপারভাইজরি কমিটির সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের ভাটারা শাখার ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
খ্রিষ্টযাগের উপদেশের ফাদার রবি বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকে মানিককে দেখেছি, তিনি খুব সহজ-সরল, মেধাবী ও পরিশ্রমী ছিলেন। তিনি সমাজসেবার সাথেও জড়িত ছিলেন। তাঁর অকস্মাৎ মৃত্যু পরিবারের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি তাঁর পরিবারের সকলকে ছাতার মতো ছায়া দিয়ে রেখেছিলেন।’

ঢাকা ক্রেডিটের ৪৩ হাজার সদস্য ও ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে মানিকের শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট পংকজ গিলবার্ট কস্তা। তিনি বলেন, ‘মানিক আমার অনেক স্নেহভাজন ও প্রিয় ছিলেন। তিনি ছিলেন দক্ষ সংগঠন ও সমবায়ী নেতা। সামাজের জন্য তাঁর আরো অনেক কিছু দেওয়ার ছিলো।’

বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও মানিকের আত্মার কল্যাণ কামনা করেন। শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, ‘মানিকদা এভাবে চলে যাবেন আমরা তা আশা করিনি। তিনি ছিলেন নিরেট সৎ ও নিষ্ঠাবান মানুষ। তিনি সাদাকে সাদা, আর কালোকে কালো বলতেন। অনেক মানুষ আছে যারা মুখে এক, বাইরে আরেক। কিন্তু মানিকদাকে দেখেছি যা সত্যি তিনি তাই বলেছেন।’

মানিক লরেন্স রোজারিও মৃত্যুকালে রেখে গেছেন স্ত্রী শিউলী বিশ্বাস ও দুই পুত্র অরিয়ন ও শ্রেষ্ঠ, অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্খী।

মানিক লরেন্স রোজারিওর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের ডিরেক্টর পাপিয়া রিবেরু, আনন্দ ফিলিপ পালমা, সলোমন আই রোজারিও, প্রত্যেশ রাংসা, পাপড়ী প্যাট্রিসিয়া আরেং, মনিকা গমেজ ও পল্লব লিনুস ডি’রোজারিও, ক্রেডিট কমিটির চেয়ারম্যান সুকুমার লিনুস ক্রুশ, সদস্য লরেন্স পিটার গমেজ ও উমা ম্যাগডেলিন গমেজ, সুপারভাইজরি কমিটিরি চেয়ারম্যান জন গমেজ, সদস্য ষ্টেলা হাজরা ও বার্নার্ড পংকজ ডি’রোজারিও, ঢাকা ক্রেডিটের সিইও লিটস টমাস রোজারিও, সিও জোনাস গমেজ ও সুইটি সি পিউরীফিকেশন এবং হাউজিং সোসাইটির সেক্রটারি ইমানুয়েল বাপ্পী মন্ডল, ঢাকা বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি প্রদীপ সরকার, ঢাকাস্থ মথুরাপুর সমিতির চেয়ারম্যান বাবলু ডেভিড গমেজ, সেক্রেটারি শিপন রোজারিও প্রমুখ।

[wp1s id=”14141″]