শিরোনাম :
সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন সঞ্চিতা
ভবের মায়া সাঙ্গ করে, সবাইকে কাঁদিয়ে পরম পিতার কোলে চিরনিদ্রায় আশ্রয় নিলেন সঞ্চিতা। ঢাকা ক্রেডিটের কর্মী রোমিও চার্লস ব্লেইকের স্ত্রী ভিক্টোরিয়া সঞ্চিতা ব্লেইক ২৫ ফেব্রুয়ারি, শনিবার বেলা ১১ টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৪৭ বছর।
ঢাকার গ্রিণরোডের গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে তিনি মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়েন। তিনি রক্তজনিত রোগের কারণে মৃত্যুবরণ করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি অসুস্থতার কারণে ডাক্তারের স্বরণাপন্ন হন। দীর্ঘদিন ধরে সঞ্চিতা ‘হেপাটাইসিস সি’ জনিত রোগে ভুগছিলেন। যার চিকিৎসা এখনো আবিস্কার হয়নি। ডাক্তার প্রয়াত সঞ্চিতাকে আগেই বলে রেখেছিলো সব মায়ার বাঁধন ছেড়ে হঠাৎ করেই তাকে চলে যেতে হতে পারে। আর ২৫ ফেব্রুয়ারি সত্যিই সবাইকে কাঁদিয়ে সন্তান-স্ত্রী- মা সঞ্চিতা চলে গেলেন।
মৃত্যুকালে সঞ্চিতা বৃদ্ধ মা, স্বামী, তিন সন্তান রেখে গেছেন। সকলের প্রিয় সঞ্চিতা ছিলেন মৃদু হাস্যময়ী বধু, স্নেহময়ী মা এবং একজন পরম বন্ধু। তার মৃতুতে সকলের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। সহকর্মীর স্ত্রী বিয়োগের শোক দেখা যায় ঢাকা ক্রেডিটেও। কর্মকর্তাদের চোখেও দেখা গেছে শোকের ছায়া।
২৬ ফেব্রুয়ারি, রোবার সকাল ১০টায় তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করা হয়। বেলা ১১টার দিকে তাকে সমাহিত করা হয় তেজগাঁও হলি রোজারিও চার্চের কবরাস্থানে। খ্রিস্টযাগ প্রার্থনায় সঞ্চিতার পরিবারের সাথে যোগ দেন ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্ট বাবু মার্কুজ গমেজ এবং কর্মকর্তাগণ। এছাড়া ঢাকা ক্রেডিটের উর্ধ্বতন অফিসারবৃন্দ এবং সহকর্মীরা খ্রিস্টযাগে অংশ নেয়। সঞ্চিতার সমাধিতে এসময় ঢাকা ক্রেডিটের প্রেসিডেন্টসহ কর্মকর্তাবৃন্দ, ঢাকা ক্রেডিটের সহকর্মীরা এবং অন্যান্য সংগঠন ও নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
যিনি চলে গেছেন, তিনি আর আসবে না। এখন শুধু একটাই সান্ত্বনা, করুনাময় পিতার কোলে সঞ্চিতা চিরশান্তির আশ্রয় পেয়েছে, এটাই সকলের বিশ্বাস এবং প্রার্থনা।
আরবি/আরপি/ ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭