শিরোনাম :
কলারয়ো-চান্দুড়িয়া সড়কের বেহাল দশা : ভোগান্তির শেষ নেই
যেমন ভোগান্তির চরম সীমায়, তেমনি প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পড়ছে কলারয়ো-চান্দুড়িয়া সড়কে চলাচলকারী জনসাধারণ।
কলারয়ো-চান্দুড়িয়া সড়কটি জনসাধারণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চলাচলের মাধ্যম। দীর্ঘদিন সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অনেকটাই অনুপযোগি হয়ে পড়েছে চলাচলের জন্য। নিয়মিতভাবেই যেন বিপদের মুখোমুখি হচ্ছে পথচারীরা।
১৭ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই সড়কটি বিভিন্ন স্থান পরিনত হয়েছে খানাখন্দে। গর্তের কারনে পিচের সড়কগুলো বিটোমিন ইট খোয়া উঠে রীতিমত কাঁচা মাটির সড়কে পরিনত হয়েছে। সরজমিনে ঘুরে দেখা গেল কলারোয়া হাসপাতাল সড়কের বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ পেরিয়ে পৌরসভাধিন প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তাটির অবস্থা আরো খারাপ। পায়ে হাঁটারও অবস্থা নেই বললেই চলে। পা ফেললেই হোচট খাওয়ার উপক্রম।
লোহাগুড়া, দমদম, সোনাবাড়িয়া, বুঝতলী, চন্দনপুর, চান্দুড়িয়া ইছামতী নদী ঘেষে সীমান্ত পযর্ন্ত রাস্তাগুলোর বিভিন্ন এলাকায় শুধু খানাখন্দকে পরিনত হয়নি, প্রায় প্রতিদিন রাস্তার বিভিন্নস্থানে শুকনো ও ঝাড়ার জন্য উঠতি মসুরের পাল, সরিষা, গম, গাছসহ বিভিন্ন ফসলের গাছ বিছিয়ে রাখেন স্থানীয়রা। এ কারণে যান চলাচলে যেমন বাধাগ্রস্ত হয়, তেমনি দুর্ঘটনাও ঘটছে।
পাশাপাশি সড়কটির পাশঘেষে অবস্থিত ৬টি ইটের ভাটার মাটি পড়ে ভয়ানক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ভাটার কাজে জিনিসপত্র আনা নেওয়ার জন্য ট্রলি ও ট্রাকের অনিয়ন্ত্রিত চলাচলেও প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। ভাটার বর্জ্য ও দূষিত ধোয়ায়ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে স্থানীয়রা। এ ছাড়াও রয়েছে নছিমন ও মটরচালিত গাড়ির লাগামহীন বেসামাল চলাচল। কলারয়ো-চান্দুড়িয়া সড়কটি যেন এখন একটি দুর্ঘটনা এবং ভোগান্তির ভাগার।
ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন, এই সমস্যা দেখার যেন কেউ নেই। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিজিবি ক্যাম্পসহ জনগুরুত্বপূর্ণ দপ্তর রয়েছে উপজেলার পশ্চিমাঞ্চল জনপদে। তবুও বিস্ময়কর হতাশা লেগে আছে সড়কটির উন্নয়নে।
অনেকেই বলছেন, যতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি হলে এলাকার উন্নয়ন অনস্বীকার্য। সড়কটির মেরামত, রক্ষাণাবেক্ষণ এবং যান চলাচলের উপযোগি করে এই নিরাসনে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগিসহ সচেতন মহল।
আরবি.আরপি. ৫ এপ্রিল, ২০১৮