শিরোনাম :
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক ভূমিধ্বসের আশঙ্কা
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দর সমূহের ওপর দিয়ে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এতে ভূমিধসেরও আশঙ্কা রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে।
লঘুচাপের প্রভাবে শনিবার (০৯ জুন) বিকেল ৪টার পর থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে নগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ দেখা দিয়েছে। এর প্রভাবে বিকেলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টা ২৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান বলেন, লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর/উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের ওপর বিস্তার লাভ করেছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। এসব এলাকায় ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ৩ নম্বর সতর্কতা স্থানীয় সর্তকর্তা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসেরও আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের শিবিরগুলো ভূমিধ্বস ও পাহাড়ধ্বসের সবচেয়ে বেশী ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে এবং সেই সাথে গভীর সাগরে বিচরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরবি.আরপি.১০ জুন ২০১৮