ঢাকা ,
বার : শুক্রবার
তারিখ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলা : ১২ পৌষ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সুখবর

বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সুখবর

0
1416

দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধার ও সংরক্ষণসহ হিন্দু ধর্মীয় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন, ধর্মীয় শাস্ত্র ও সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার, তীর্থস্থান ভ্রমণে সহায়তার লক্ষ্যে আইন প্রণয়নে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।

ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়েছে।মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে উত্থাপিত বিলের উদ্দেশ্য ও কারণসম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, হিন্দু ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় কল্যাণ সাধন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিপূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষে ‘দ্যা হিন্দু রিলিজিয়ার্স ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৩’ জারি করা হয়।২০১১ সালে আদালতের নির্দেশে আইনটি রহিত হয়। ২০১৩ সালের ৭নং আইন দ্বারা আইন কার্যকর রাখা হয়। বিদ্যমান আইনটি সংশোধিত পরিমার্জিত আকারে বাংলা ভাষায় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বিল আনা হয়েছে।বিলে বলা হয়, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্ট বোর্ড থাকবে। সরকার মনোনীত ২১ সদস্য নিয়ে এই ট্রাস্টি বোর্ড গঠিত হবে। ধর্মমন্ত্রী ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও সরকার মনোনীত একজন ট্রাস্টি ভাইস চেয়ারম্যান ও ধর্ম সচিব ট্রাস্টের সচিব হিসেবে দায়িত্বপালন করবেন। বিলে ট্রাস্টের কার্যাবলি, ট্রাস্টের তহবিল, বাজেট, হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা, পরিচালনা ও প্রশাসন, কর্মচারী নিয়োগ, বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ, বিধি ও প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধান যুক্ত করা হয়েছে।বিলে টাস্ট্রের কার্যাবলি সম্পর্কে বলা হয়, এই ট্রাস্টের কাজ হবে হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, উপাসনালয় এবং শ্মশান প্রতিষ্ঠা সংস্কার, সংরক্ষণ ও উন্নয়নে আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা এবং দেশ-বিদেশে তীর্থস্থান পরিদর্শনে, হিন্দু ধর্মীয় উৎসব পালনে ও দুস্থ হিন্দুদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধার ও সংরক্ষণসহ হিন্দু ধর্মীয় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন, ধর্মীয় শাস্ত্র ও সংস্কৃতির বিকাশে হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থাবলি প্রণয়ন, অনুবাদ বা প্রচারপত্র প্রকাশ, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কর্মশালার আয়োজন ইত্যাদি।

আরবি.আরপি. ২৭ জুন ২০১৮