শিরোনাম :
গরমে অতিষ্ঠ নগরবাসী: আগামীকাল বৃষ্টিতে ফিরতে পারে স্বস্তি
দেশজুড়ে বয়ে যাওয়া দাবদাহের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। রাজধানীতে গরমের তীব্রতা যেন আরও বেশি। কয়েক দিন ধরেই রাজধানীতে দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে।
মাত্রারিক্ত গরমে নাকাল জনজীবন। তীব্র গরমে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগ। চিকিৎসকদের পরামর্শ, পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান আর ফলমূল খাওয়ার।
সদরঘাটের ফল বিক্রেতা মোহাম্মদ সনজিদ বলেন, ‘সকাল আটটা নয়টা পর্যন্ত তাও রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফল বিক্রি করা যায় কিন্তু তারপর যে রোদ ওঠে তখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অনেক কষ্টকর, দিনে এখন তিন চার বার গোসল করেও শরীরে স্বস্তি ফিরে পাইনা।’

সাধারণত রমজান মাসে ঢাকা শহরে মার্কেট পাড়ায় বেশ ব্যস্ততা থাকে। ঈদের কেনাকাটা পুরো-দমে জমে উঠে এ সময়ে। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। তীব্র গরমে অনেকে এখন বাসায় থাকাটা শ্রেয় মনে করছেন।
ভ্যান চালক মোহাম্মদ জাকির জানান রোজার মাসে এই অসহ্য গরমে অনেক কষ্ট পাচ্ছি, নিয়ত থাকলেও রোজা রাখতে পারিনা। সংসার চালাতে ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ যোগাতে আমাকে কাজ করতেই হবে, কিন্তু রোজা রেখে এই গরমে ভ্যান চালানো সত্যিই অনেক কষ্ট।

বৃষ্টি না থাকায় তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী সোমবার (১৩ মে) থেকে কমতে পারে গ্রীষ্মের দাবদাহ। রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নোয়াখালী, রাজশাহী, পাবনা অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে।
































































