ঢাকা ,
বার : বৃহস্পতিবার
তারিখ : ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলা : ৯ মাঘ ১৪৩১
Dcnewsbd Facebook
Dcnewsbd Twitter

শিরোনাম :

প্রথম পাতা দেশ ২০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও ‘জনকল্যাণ সংস্থা’

২০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও ‘জনকল্যাণ সংস্থা’

0
265

সহজ শর্তে ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়ে চার প্রতারক উধাও হয়েছে।

চাঞ্চল্যকর এই কাণ্ড ঘটেছে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায়। উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের শীতলাই গ্রামে ‘জনকল্যাণ সংস্থা’ নামে ওই চার প্রতারকের খোলা প্রতিষ্ঠানটি এখন বন্ধ। এতে বিপাকে পড়েছেন এখানে অর্থ লগ্নিকারীরা।

ভূক্তভোগীরা জানান, সম্প্রতি দুই ব্যক্তি এলাকায় নিজেদের ‘জনকল্যাণ সংস্থা’ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা পরিচয় দেন। এই পরিচয়ে তারা শীতলাই গ্রামের সাইদুর রহমানের বাড়ি ভাড়া নেন। কথা ছিল তারা সাইদুরকে পাঁচ লাখ টাকা এবং মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাড়া দেবেন। এনিয়ে একটি চুক্তিও করেন প্রতারকরা। রোববার সাইদুরকে সব টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল।

আরো জানা গেছে, বাড়ি ভাড়া নিয়ে এক সপ্তাহ আগে প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর আগের দুজনের সঙ্গে যুক্ত হন আরো দুজন। এই চারজন মিলে উপজেলার মাড়িয়া, গোয়ালকান্দি ও হামিরকুৎসা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে দুই শতাধিক গ্রাহক সংগ্রহ করেন। সহজ শর্তে ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ঋণ দেয়ার প্রলোভন দেখান ওই চারজন। এ জন্য গ্রাহকের কাছে প্রতি লাখের জন্য ১০ হাজার ২০০ টাকা করে জামানত দিয়ে প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট ফরম পূরণের কথা বলেন। রোববার ঋণ দেয়ার কথা ছিল।

গ্রাহকদের জানানো হয়েছিল, ঋণ দেয়ার সময় তারা জামানতের টাকাও ফেরত পাবেন। আর এই ফাঁদে পড়েন এলাকার অন্তত দুই শতাধিক গ্রাহক। তাদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা জড়িতরা।

প্রতারণার শিকার গ্রাহকদেরর ভাষ্য, রোববার সকালে ঋণ নেয়ার জন্য তারা সংস্থার অফিসে গিয়েছিলেন। কিন্তু গিয়ে দেখতে পান তালা ঝোলানো। অর্থ আদায়কারী চার ব্যক্তির হদিস নেই। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রতারিত লোকজন ভীড় করেন।

ওই বাড়ির মালিক সাইদুর রহমান বলেন, কখন ভাড়াটিয়ারা চলে গেছেন, তিনি টের পাননি। তারা এমন প্রতারক কোনোভাবেই বুঝতে পারেননি তিনি।

এই বিষয়ে কথিত জনকল্যাণ সংস্থার কর্মকর্তাদের দেয়া পাঁচটি মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এদিকে জনকল্যাণ সংস্থা নামে কোনো এনজিও বা প্রতিষ্ঠানের বাগমারায় কাজ করার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের জানা নেই বলে জানান বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিউল ইসলাম।

তিনি বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানটির কোনো কাগজপত্র তার দফতরে নেই। প্রতারিত হওয়া ব্যক্তি ও সংস্থাটির কাজ করার বিষয়ে কেউ আগে জানায়নি। তবে তিনি খোঁজ নিয়ে আইনত ব্যবস্থা নেবেন।